২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৫১

১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় সব আসামি খালাস

আলোচিত ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির দুই মামলার আট আসামি ও দুই কম্পানিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ রায় দেন। মামলা দুটির একটি হলো এইচএমএমএস ফিন্যানশিয়াল কনসালট্যান্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেয়ার কারসাজি। অন্যটি হলো সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, এ মামলা দুটি দায়ের করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, গতকাল ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৬ সালের শেয়ার কারসাজির মামলায় দুই কম্পানির সব আসামিকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এইচএমএমএস ফিন্যানশিয়াল কনসালট্যান্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেয়ার কারসাজি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ডিএসইর সদস্য সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ইকবাল হাসান। সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি মামলায় এম জে আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদ খালাস পেয়েছেন। দুই প্রতিষ্ঠানকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২১ জুন শেয়ারবাজারের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারিক কার্যক্রম শুরুর পর প্রথম রায় ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ৩ আগস্ট। ওই রায়ে ফেসবুকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রচারের দায়ে জনৈক মাহবুব সরোয়ারকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2018/02/02/597048