৩০ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৭

বেড়েছে মুদ্রা পাচার উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

কোন কারণ ছাড়াই হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। দেশে বড় কোন বিনিয়োগ না থাকলেও মুদ্রা বাজারের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নানা উপায়ে অর্থপাচার বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, অর্থপাচার যে হচ্ছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়াই তার প্রমাণ। বিশ্ববাজারে এখন ডলারের দাম কমতির দিকে। কিন্তু বাংলাদেশে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। তারা বলছেন, নির্বাচনের বছরে এমনটি হয়।

এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, নির্বাচনী বছর হওয়াতে কালো টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক থাকতে হবে। তবে টাকা পাচারের তথ্য অনেকাংশে সঠিক নয়।
ডলারের ব্যাপক চাহিদার মধ্যে মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা কমিয়ে আনার চেষ্টায় ডলার ছেড়েই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২৫ কোটি ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার ডলার বিক্রি করা হয় চার কোটি ডলার।
তাতে লাভ খুব বেশি হচ্ছে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৮২ টাকা ৩২ পয়সা দরে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো ওই দরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে। আর তারা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার সময় নিয়েছে আরও বেশি। কোনো কোনো ব্যাংক ৮৪ টাকার বেশি দামেও ডলার বিক্রি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান গত এক বছরে ক্রমাগত কমছে। তাতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয়ে ‘ইতিবাচক’ প্রভাব পড়লেও আমদানিতে খরচ বেড়েছে।
অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি বাড়ার কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমদানির তথ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারকেও এর একটি কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরও বলেন, বিশ্ববাজারে যখন ডলারের পতন হচ্ছে, ঠিক ওই সময় বাংলাদেশের বাজারে ডলারের দাম বাড়ছে। এর পেছনে বড় কোনও দুর্বলতা আছে। আমদানির আড়ালে কিছু থাকলেও থাকতে পারে। নির্বাচনের বছরে এমনটি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনের বছরে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার বেড়ে যাওয়ার কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে চলেছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থ। অনেকে ভুয়া এলসি (ঋণপত্র) অথবা ওভার ইন-ভয়েসের মাধ্যমেও অর্থপাচার করছেন বিভিন্ন দেশে।
দেশ থেকে প্রতিবছর বিভিন্নভাবে বিশাল অঙ্কের অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে থাকে। যেসব মাধ্যম ও পথ ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে, এবার সেসব পথ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । এজন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থপাচারের মাধ্যমগুলো শনাক্ত ও বন্ধ করার পাশাপাশি এ চুক্তির লক্ষ্য হলো আমদানি-রফতানির আড়ালে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএফআইইউ’র কর্মকর্তারা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও কাজ শুরু করেছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নানান কড়াকড়ির পরও প্রত্যেক নির্বাচনী বছরেই অর্থপাচার বেড়ে যায়। এবার কি সত্যিই তা বন্ধ হবে?
এক সাংবাদিক সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অসাধু ব্যবসায়ী ও অর্থপাচারকারীদের সতর্ক করেন। তিনি দেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ শনাক্ত এবং তা উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানান।

মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আর্থিক অনিয়ম বা অর্থপাচার ধরতে সরকারের গঠন করা বিএফআইইউ’র সঙ্গে আগামী সপ্তাহ নাগাদ একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে এনবিআর। অর্থপাচার বন্ধে ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএফআইইউ’র সঙ্গে সমন্বয় করে এনবিআর কাজ করবে। এর মাধ্যমে অর্থপাচারের ঘটনাগুলোর তদন্ত করবো।
আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যোগাযোগ এবং তথ্য আদান-প্রদান করবো। পাচার করা অর্থ চিহ্নিত হলে তা ফিরিয়ে আনা হবে। একইসঙ্গে পণ্যের চালান কোথায় যায়, তাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি-নিষেধের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, অসাধুরা যাতে বুঝতে পারে ধরা পড়লে খবর আছে।
এর আগে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ২১ নবেম্বর তিনি আরও জানান, পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে বিএফআইইউ’র সঙ্গে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিএফআইইউ’র উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ বলেন, বিদেশে অর্থপাচারের বিষয়ে অনেক দিন ধরে বিএফআইইউ কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে। আরও অধিক তদন্তের জন্য অর্থপাচারের কয়েকটি ঘটনা ইতোমধ্যে দুদকেও পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্য পেলে নিজ উদ্যোগে তদন্ত করছে। সরকারের অন্য সংস্থা থেকে তথ্য পেয়ে বিএফআইইউও কাজ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে একবছরে ডলারের দাম বেড়েছে চার টাকা। গত বছর ১৭ জানুয়ারি এক ডলারের দাম ছিল ৭৮ দশমিক ৯০ টাকা, আর এ বছরের ১৭ জানুয়ারি তা বিক্রি হয়েছে ৮২ দশমিক ৮৪ টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকে গতকাল সোমবার ডলার বিক্রি হয়েছে ৮২ দশমিক ৩২ টাকায়। দেশের অন্য ব্যাংকগুলোতে ৮৪ টাকায় ডলার বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। ছয় মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। কার্ব মার্কেটে দাম আরও চড়া। খোলাবাজারে সোমবার মার্কিন ডলার ৮৪ থেকে ৮৫ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৮২ টাকা ৩২ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করলেও অগ্রণী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক ৮৪ টাকা, জনতা ব্যাংক ৮৪ টাকা ১০ পয়সা, আইএফআইসি ব্যাংক ৮৪ টাকা ৪৫ পয়সা এবং এবি ব্যাংক ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছে ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার বা অন্য মুদ্রা কেনাবেচা করে তাকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার বলা হয়। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে এক থেকে দেড় টাকা বেশি দামে ডলার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সাড়ে ছয় মাসে (২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১২৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অথচ গত অর্থবছরের এই সময়ে বাজার স্থিতিশীল থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো ডলার বিক্রি করতে বা কিনতে হয়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, যখন যেটা প্রয়োজন সেটাই আমাদের করতে হয়। যখন সরবরাহ বেশি ছিল তখন আমরা বাজার থেকে ডলার কিনেছি। এখন চাহিদা বাড়ায় বিক্রি করছি। এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্বনর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরঞ্জামের আমদানি বেড়েছে। আমদানি খরচ মেটাতে ডলারের চাহিদাও বেড়েছে, ফলে স্বাভাবিক কারণেই বাড়ছে ডলারের বিনিময় হার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আমদানি ব্যয় যেখানে ২৯ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং রেমিটেন্স ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও আগে কমানো দরকার ছিল বলে মনে করেন ফরাসউদ্দিন।

দীর্ঘদিন ধরে ডলারের বিপরীতে টাকা অতিমূল্যায়িত ছিল। ভারত, ভিয়েতনামসহ বাংলাদেশের প্রতিযোগী বিভিন্ন দেশ আগেই তাদের মুদ্রার মান কমিয়েছে। আমরা অনেক দেরিতে এই কাজটি করছি। তবে টাকা যেন খুব বেশি দুর্বল হয়ে না যায়- সে বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের ধারণা, আমদানি বাড়ার পাশাপাশি ‘প্রচুর অর্থ’ বিদেশে পাচার হচ্ছে।
এ কথা ঠিক যে আমদানি বাড়ার কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমদানি ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, রপ্তানি আয় তার চেয়ে অনেক কম হারে বাড়ছে। রেমিটেন্স প্রবাহের গতিও খুব বেশি নয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দর বাড়ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি হল, বিরাট একটা অংশ বিদেশে পাচার হচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থার বরাত দিয়ে ফরাসউদ্দিন গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
আহসান মনসুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ কারণে এটা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সজাগ দৃষ্টি দরকার।
পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালকের মতে, কোনো কারণে অনিশ্চয়তা বাড়লে অর্থ পাচারের প্রবণতাও বাড়ে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যেমন পাচার করেন, তেমনি ব্যবসায়ী বা আমলারাও অর্থ বাইরে নিয়ে যান। আর এক শ্রেণির লোক পারিবারিকভাবেই বিদেশে অবস্থানের জন্য অর্থ পাচার করে। এ কারণ আমরা বিদেশে ‘বেগম পাড়া’ গড়ে ওঠার খবর পাই।
আহসান মনসুর বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে মূলত তিন ভাগে। প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিটেন্স দেশে আসার কথা সেটা না এসে তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে তা কানাডা-আমেরিকায় চলে যাচ্ছে। যে রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা, তা দেশে না এসে বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
দেশ থেকে অর্থ পাচারের একটি পথ হচ্ছে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েস দেখানো। অর্থাৎ যে দামে পণ্য কেনা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে বাড়তি অর্থ বিদেশে পাচার হয়। আবার যে পণ্য আমদানি হওয়ার কথা, তার বদলে কম দামি পণ্য আনা অথবা খালি কন্টেইনার আনার ঘটনাও ধরা পড়েছে কখনও কখনও।
আবার পণ্য রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমেও অর্থ পাচার হয়। যে পণ্যের দাম ১০০ ডলার, ক্রেতার সঙ্গে বোঝাপড়া করে তা ৭০ ডলার দেখিয়ে রপ্তানি করেন ব্যবসায়ী। বাকি ৩০ ডলার তিনি বেদিশে সেই ক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে তা বিদেশেই রেখে দেন।

২০১২ সালের প্রথম দিকে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ৮৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এরপর থেকে তা কমতে কমতে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৮০ টাকার নিচে নেমে আসে। ২০১৭ সালের প্রথম দিকেও ডলারের দর ছিল ৮০ টাকার নিচে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে তা ৮০ টাকা ছাড়ায়, এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
২০০৩ সালে দেশে ভাসমান মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা (ফ্লোটিং) চালু হয়। অর্থ্যাৎ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আগ পর্যন্ত টাকা-ডলারের বিনিময় হার বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করে দিত।

http://www.dailysangram.com/post/317183