জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশন
২৯ জানুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ১০:০৬

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। একই সাথে চলছে সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘট। জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকেরা গত ১০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর ১৫ তারিখ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যান তারা। তবে দাবির বিষয়ে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার কারণে একই সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
ছয়টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের জোট বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের নেতৃত্বে শিক্ষকেরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে প্রতিদিন বাড়ছে শিক্ষকদের সংখ্যা।
ফোরামের উপদেষ্টা আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দাবি আদায়ের বিষয়ে শিক্ষকেরা অনমনীয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে সর্বমোট ৩৮ হাজার ৪৭৮টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২২ হাজার। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ৬২ লাখ। বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মোট ৯৭ ভাগ পরিচালিত হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। বেসরকারি খাতের এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা এমপিওভুক্ত নয় এবং বছরের পর বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন হাজার হাজার শিক্ষক। অপর দিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী মূল বেতনের সাথে এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫ শতাংশ বোনাস দেয়া হয়। বাকি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। বর্তমানে হাইস্কুলের একজন শিক্ষক চাকরির শুরুতে মোট ১৩ হাজার ৫০০ টাকা পান। আর কলেজের একজন লেকচারার পান ২৩ হাজাপর ৫০০ টাকা। শিক্ষকদের দাবিÑ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না হলে এবং শিক্ষকদের জীবন-মান উন্নত না হলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসবে না। শিক্ষার মান বাড়বে না। জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারবে না। শিক্ষকেরা আরো জানান, জাতীয়করণ হলে সরকারের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত তেমন টাকা লাগবে না। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান নানা বৈষম্য দূর করতে হলে জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান শিক্ষকরা।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/289106