২৯ জানুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ১০:০১

ঢাকায় ভোর ভয়ঙ্কর

কুয়াশায় মোড়ানো শীতের স্নিগ্ধ সকাল। রাজধানীর চিরচেনা কোলাহল তখনও শুরু হয়নি। ঢাকার মুখখানিতে যেন জড়িয়ে আছে মায়াবী সুন্দর ঘুম। ক্লান্ত শরীর নিয়ে যে শহর প্রতিদিন মধ্যরাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে, তার জেগে উঠতে ঢের বাকি। তবে এমন পরিবেশেও চঞ্চল থাকে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনস্টেশন। সারাদেশ থেকে যেখানে এসে নামতে থাকেন এই শহরের কোনো পুরনো বাসিন্দা; অথবা নতুন কোনো অতিথিও ভোরের ঢাকায় এসে হাজির হন। দিনের সঙ্গে ভোরের ঢাকার এমন বৈপরীত্য যেন তার চিরচেনা রূপ।

তবে ঢাকার শান্ত, সুনিবিড় আর কোলাহলমুক্ত ভোরকে ভয়ঙ্কর করে তুলছে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা। নগরীর অনিন্দ্যসুন্দর সকালের পিচঢালা পথকে রক্তাক্ত করে তুলছে তারা। রাস্তা থেকে নির্বিঘ্নে কেউ বাসায় যেতে পারবে-এমন নিশ্চয়তা নেই। পথে পথে ছিনতাই আতঙ্ক। ভোরের ঢাকায় পুলিশি নিরাপত্তার ঢিলেঢালা দৃশ্যপটের সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। গত সাত মাসে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে প্রাণ গেছে সাতজনের। তাদের মধ্যে পাঁচজনই ভোরে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার একই দিনে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন।

রাজধানীর বেশ কিছু স্পটে শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ভোরের ঢাকা কতটা ভয়ঙ্কর। কাগজপত্রে ভোরে ঢাকার সড়কে পুলিশের ডিউটি থাকলেও মাঠে গিয়ে দেখা গেল, গাড়িতেই তারা ঘুমাচ্ছেন। পুরান ঢাকা, মিরপুরের ছিনতাইপ্রবণ এলাকাগুলোর সরেজমিন চিত্র দেখতে গিয়ে হতাশই হতে হলো।

বিশেষ করে সর্বশেষ যেসব স্পটে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও ভোরে ছিল না পুলিশি টহল। আবারও কিছু এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ি থাকলেও সেখানে তাদের সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। কোনো কোনো গাড়ির ভেতরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের ঘুমাতে দেখা গেছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাজপথে পুলিশ আরও সক্রিয় হলে ছিনতাইয়ের ঘটনা কমতে পারে। আবার বারবার ছিনতাই হচ্ছে এমন 'ব্ল্যাক স্পটে' সিসিটিভির ফুটেজ বসানোরও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।

চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে পুলিশভ্যানে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি : শনিবার রাত আড়াইটা। চন্দ্রিমা উদ্যানের মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ঢাকা মেট্রো-ঠ সিরিয়ালের একটি পুলিশভ্যান। গাড়ির নম্বরপ্লেট অস্পষ্ট। প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল, পুলিশভ্যানে কেউ নেই। একটু কাছে গেলেই দেখা গেল, গাড়ির ভেতরে কম্বল গায়ে ঘুমাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশের কারণে ঘুম ভাঙে তার। পরে জানা গেল, তার নাম তানজীদ টিকাদার। তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

তানজীদ সমকালকে জানালেন, ওই পুলিশভ্যানের চালক তিনি। তার সঙ্গে আরও একজন রয়েছেন, যিনি আশপাশে ডিউটিতে আছেন। তবে আশপাশে খুঁজেও তানজীদের সহকর্মীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন বলে জানান। এ ছাড়া শনিবার মধ্যরাতে চেকপোস্ট ফাঁকা রেখেই ভাসানী নভোথিয়েটারের সামনে সব পুলিশ সদস্যকে ফুটপাতের এক জায়গায় জড়ো হয়ে শলাপরামর্শ করতে দেখা গেছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, পুলিশের গাড়ির চালকসহ অন্য সদস্যরা দায়িত্ব পালনকালে ঘুমিয়ে পড়লে দুই ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এক, কোনো জঙ্গি বা দুস্কৃতকারী পুলিশের ওপর হামলা করলে তা সঠিক সময়ে প্রতিহত করা সম্ভব হবে না। দুই, সংশ্নিষ্ট এলাকায় টহল না দিয়ে এক জায়গায় গাড়ি রাখা হলে ছিনতাইকারীসহ অন্য অপরাধীরা তার সুযোগ নেবে।

টহলে নিয়োজিত একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, যে নিয়মে রাতে পুলিশকে ডিউটি দেওয়া হয়, তাতে সার্বক্ষণিক একাগ্র চিত্তে দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে একটানা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। চালক সংকট থাকায় ডিএমপিতে অধিকাংশ চালক টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটিতে থাকেন। অন্য ফোর্সরা রাতে টানা ১২ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন।

নিরাপত্তাহীন চিড়িয়াখানা রোড : গতকাল সকাল ৭টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে ১ নম্বর পর্যন্ত সড়কে পুলিশের কোনো টহল দেখা যায়নি। এ ছাড়া শনিবার মধ্যরাতেও কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কোনো গাড়ি দেখা যায়নি। তবে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাফরুল থানাধীন এলাকায় পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনে একটি পুলিশভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১১৫১১৩) রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়ির পেছনে দুই পুলিশ সদস্য ঘুমাচ্ছিলেন।

পুলিশের ওই গাড়িতে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য শহিদুল ইসলাম। তিনি সমকালকে বলেন, শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদের ডিউটি। এএসআই জুয়েলের নেতৃত্বে তারা ডিউটিতে আছেন। ক্লান্তিতে তাদের দলের দুই সদস্য ঘুমিয়ে পড়েছেন। চিড়িয়াখানা রোডে সকালে সুরভী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সমকালকে বলেন, নাইটকোচে যেসব যাত্রী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিড়িয়াখানা রোডের রাইনখোলায় এসে নামেন, ভোরে নামলেও অনেকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে বাস কাউন্টারে বসে থাকেন।
রাস্তায় লোকজন চলাচল শুরু হলে তারা গন্তব্যে যান। আবার অনেককে বাস কাউন্টারে বসতে বললেও কেউ কেউ থাকেন না। ঝুঁকি নিয়ে তারা ভোরে কাউন্টার ছাড়েন। চিড়িয়াখানা রোডের হৃদয় ভ্যারাইটি স্টোরের কর্ণধার সালাউদ্দিন বলেন, এই রোড ও আশপাশের এলাকায় প্রায়ই নানা কৌশলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাই প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ বসানোর দাবি করেন তিনি। বরিশাল থেকে আসা আল-আমিন নামের এক বাসযাত্রী বলেন, ভোরে রাস্তায় পুলিশ থাকলেই হবে না। তাদের সক্রিয়ভাবে সব জায়গায় টহল দিতে হবে।

দয়াগঞ্জের সেই স্পটে পুলিশ নেই! : গত ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দয়াগঞ্জ রেলব্রিজের নিচে ছিনতাইকারী রিকশারোহী যাত্রীর ব্যাগ ধরে টান দেয়। এতে রিকশা থেকে পড়ে প্রাণ হারায় পাঁচ মাস বয়সী শিশু আরাফাত। ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও গতকাল সেখানে বা আশপাশে পুলিশের দেখাই মিলল না। দয়াগঞ্জের ওই স্পট পড়েছে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায়। সেখানে টহল পুলিশ না দেখে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আশপাশে পারগেণ্ডারিয়া সড়ক থেকে শুরু করে শহীদ ফারুক সড়কেও টহল পুলিশের খোঁজ নিতে রিকশায় চড়া শুরু করলেন এই প্রতিবেদক। কোথাও পুলিশের দেখা মিলল না।

জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিসুর রহমান দাবি করলেন, ওই ছিনতাইয়ের পর পুলিশের তৎপরতায় পুরো এলাকাই এখন নিরাপদ। আগের চেয়ে দয়াগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ ছিল, তবে... : দয়াগঞ্জের ওই ছিনতাই স্পটের পশ্চিম দিকে ধোলাইখালের দিকে যেতে হাঁটাপথের দূরত্বেই পাওয়া গেল গেণ্ডারিয়া থানা পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট। সময় তখন সকাল পৌনে ৭টা। সেখানে পুলিশ সদস্যদের পাওয়া গেলেও তারা ফুটপাতে চেয়ার পেতে ঘুমিয়ে ছিলেন। পুলিশ বক্সের ভেতরও ঘুমাতে দেখা গেল একজন এএসআইকে।

নাম প্রকাশ না করে সেখানকার একজন পুলিশ সদস্য জানালেন, তারা শীতের ভেতর রাতভর ডিউটি করেছেন। শেষ দিকে এসে একটু ঝিমুনি এসেছে। তবে তাদের আরও দুই সদস্য সক্রিয় আছেন। সকাল ৮টার দিকে তাদের ডিউটি শেষ হবে।

ইব্রাহিমের মৃত্যুর সেই এলাকা পুরোটাই অনিরাপদ : শুক্রবার ভোরে সায়েদাবাদ রেলগেট থেকে দয়াগঞ্জ ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকার পথের মধ্যে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন খুলনার ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান ইব্রাহিম। তিনি নিজে দৌড়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশের বিবরণ অনুযায়ী ঘটনাস্থলটি গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় পড়লেও হাসপাতালটিসহ আশপাশের এলাকা পড়েছে ওয়ারী থানা এলাকায়। গতকাল সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে সায়েদাবাদ ব্রিজ থেকে শুরু করে করাতিটোলা, রেললাইন এলাকা, রাজধানী সুপার মার্কেটের দক্ষিণ দিকের সড়ক থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন হাসপাতালের মোড় পর্যন্ত কোথাও ছিল না পুলিশ। ওই সড়ক দিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে শত শত মানুষের যাতায়াত রয়েছে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে চলে যাওয়া নিরিবিলি ওই সড়কটি পুরোটাই অনিরাপদ।

তাঁতীবাজার মোড়ে ব্যাংকের এটিএম বুথের একজন নিরাপত্তাকর্মী জানালেন, ওই সড়কে মাদকসেবী ছিনতাইকারীরা তৎপর থাকে। ভোরে দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন লঞ্চে সদরঘাটে নামেন। আবার ঢাকা থেকেও ওই অঞ্চলের লোকজন সদরঘাটের দিকে যান। ভোরের ওই সময়টা রাস্তা ফাঁকা থাকায় মাদকসেবী ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা ব্লেড ও ময়লা-আবর্জনা নিয়ে রিকশাযাত্রীদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। মাঝেমধ্যে পুলিশের গাড়ি দেখা গেলেও তাদের তৎপরতা দেখা যায় না।

ভোরের ছিনতাইকারীদের হাতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৫ জন : ঢাকায় মাসে গড়ে অন্তত ১৫টি ছিনতাই মামলা রেকর্ড হয়। তবে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অধিকাংশ সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লে অনেকেই পুলিশের দ্বারস্থ হন না। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের কাছে গেলে ছিনতাই মামলা না নিয়ে হারানো জিডি নিতে উৎসাহী হয় থানা পুলিশ। শুধু চাঞ্চল্যকর বড় ঘটনা বা ছিনতাইকারীদের হাতে খুনের পরই তোলপাড় হয়। গত জুন থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় শুধু ভোরেই ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নারী, শিশু ও ছাত্র রয়েছেন।

সর্বশেষ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন খুলনার ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুর রহমান ইব্রাহিম। একই দিন ভোরে ধানমণ্ডিতে টানাহেঁচড়ায় ছিনতাইকারীদের গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বেসরকারি হাসপাতালকর্মী হেলেনা বেগম। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে দয়াগঞ্জে রেলব্রিজের নিচে ছিনতাইকারীর হেঁচকা টানে রিকশা থেকে পড়ে প্রাণ হারায় একটি শিশু। ৮ অক্টোবর ভোরে ওয়ারীর কেএম দাস লেনে ছিনতাইকারীরা কুপিয়ে হত্যা করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খন্দকার আবু তালহাকে। এর আগে ২১ জুন ভোরে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদার। গত ৫ ডিসেম্বর ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মারা যান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ফরহাদ আলম (৪০)। এর আগে ২০১৬ সালের ২১ মে ভোরে কাঁটাবনে ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়াংকা দত্তের ব্যাগ ধরে টান দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারা যান তিনি।

২০১৪ সালের অক্টোবরে ভোরে সোবহানবাগে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী আয়েশা আক্তার রিপার ব্যাগ টান মানে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালের এপ্রিলে মিরপুরের রাইনখোলায় ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে সকালে তাদের গুলিতে নিহত হন হযরত আলী নামের এক ব্যক্তি। এর বাইরে প্রায়ই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনসেট, টাকাসহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় নাসরিন আক্তার পুষ্প নামের নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

 

http://samakal.com/capital/article/18011454