২৮ জানুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৭:৫২

আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ॥ আহত ১২

প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফর উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের মধ্যে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলী ছুঁড়ে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে গত শুক্রবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করছিলেন হাবিবের অনুসারী এক নেতা। তিনি উপস্থিত অতিথিদের নাম উল্লেখ করার সময় সিনিয়র-জুনিয়র প্রটোকল মানছিলেন না। এসময় এমপি সামাদের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমদ বিষয়টি নিয়ে সভা পরিচালনাকারীকে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় বর্ধিত সভা। সভা শেষে অতিথিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় বরইকান্দি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি সামাদের গ্রুপের নেতা গৌছ উদ্দিনের অনুসারী ফারুক সহ বেশ কয়েকজন মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও হাবিব গ্রুপের নেতা ফখরুল ইসলাম শায়েস্তার উপর হামলা চালায়। এসময় তার প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-০০৯৪) ভাঙচুর করা হয়। এসময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ উভয় সংঘর্ষে আহত হন ১২ জন। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, পুলিশের দুই সদস্যসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলী ছুড়ে।

http://www.dailysangram.com/post/316929