বেসরকারি শিক্ষক জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের উদ্যোগে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১৭ দিনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। ছবিটি গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তোলা
২৭ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ১১:০২

আজ থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

জাতীয়করণের দাবির প্রতি সরকারের নির্বিকার ভূমিকার প্রতিবাদে আজ শনিবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সারা দেশের সব এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা আবুল বাশার হাওলাদার গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ধর্মঘটের পাশপাশি রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।
আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেননি। সরকার আমাদের দাবিতে এখনো কোনো সাড়া না দেয়ার কারণে আমরা আমারণ অনশনের পাশপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচি গ্রহণের বাধ্য হয়েছি। এরপরও যদি সরকার দ্রত আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা আর এক মুহূর্ত এখানে থাকব না। ক্লাস বর্জনের কারণে এখন যে ক্ষতি হচ্ছে প্রয়োজনে আমরা শুক্রবার ক্লাস নিয়ে তা পুষিয়ে দেব শিক্ষার্থীদের। ছয়টি শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের জোট বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে লাগাতার ধর্মঘটের এ সিদ্ধান্ত নেন।

প্রসঙ্গত,রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গত ১০ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল কলেজ মাদরাসাসহ সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকেরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এর পাশাপাশি গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিতে প্রতিদিন বাড়ছে শিক্ষকের সংখ্যা। গতকাল শুক্রবারও সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা মিছিলসহকারে কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেছে।

অনশনে যোগ দেয়া শিক্ষকরা বলেন, জাতীয়করণের দাবি পূরণ ছাড়া তারা ঘরে ফিরবেন না। যতদিন দাবি পূরণ না হয় ততদিন তারা রাজপথে অবস্থান করবেন। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সব বৈষম্যের অবসান দাবি করেন জাতীয়করণের মাধ্যমে।

http://www.dailysangram.com/post/316809