২৭ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ১০:৫৭

জনগণের ঘাড়ে ঋণের দায়ভার বাড়ছে

দেশে দৃশ্যমান বিনিয়োগ না থাকায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। এতে করে জনগণের ঘাড়ে ঋণের দায়ভার বাড়ছে। সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের কারণে ব্যয় বাড়ছে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে দাতা সংস্থা এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ না দিয়ে বেশি সুদে জবাবদিহিতার দায়হীন সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা নিচ্ছে সরকার। পাইপ লাইনে দাতা সংস্থা থেকে ২ শতাংশ হারে ঋণ নেয়ার সুয়োগ থাকলেও ১২ শতাংশ সুদে সঞ্চয়পত্রের ঋণ দিচ্ছে সরকার। সরকারি আমলারাও এটাই পছন্দ করছে। কারণ এই ক্ষেত্রে দায়মুক্ত হওয়া খুব সহজ। চলতি জানুয়ারি মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের ঋণ ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়লে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
জানা গেছে, দেশে দৃশ্যমান কোন বিনিয়োগ না থাকায় সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে আমানতকারিরা। এতে করে বিনিয়োগ কোনভাবেই বাড়ছে না। ব্যাংকে আমানতের সুদ হার কম হওয়াতেই গ্রাহকরা ব্যাংক বিমুখ হচ্ছেন। আমানতের সুদ হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি হওয়ায় কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করার পরেও সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েই চলছে।

গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। তার আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বাড়ে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসের পর থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমলেও সার্বিকভাবে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের নিট আয় হয়েছে ২৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেড় শতাংশ বেশি এবং পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৭৯ শতাংশ। বৃদ্ধির হার কমলেও এর আগে কোনো অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের এত বেশি আয় হয়নি। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট আয় সাড়ে ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয় ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। পরের মাস আগস্টে তা আগের বছরে তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ কমে হয় ৩ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে নিট আয় ৫ শতাংশ কমে হয় ৩ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। তবে অক্টোবরে ৮ শতাংশ বেড়ে নিট আয় হয় ৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। নবেম্বর বিক্রি আবার কমে যায়। আগের বছরের ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা থেকে কমে চলতি অর্থবছরের নবেম্বরে আয় হয় ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। সর্বশেষ ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের নিট আয় দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় এই আয় ছিল ২৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এই খাত থেকে সরকারের আয় হয় ১৩ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে আয় বাড়ে ৭৬ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে মোট আয় হয় ৩৯ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। আগের বিক্রি থেকে এই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশোধ করতে হয় ৯ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ নিট আয় দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মূল ও মুনাফা পরিশোধের পর যে পরিমাণ অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিনিয়োগ। তাই বিনিয়োগের ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটে নির্ধারিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। বিনিময়ে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের প্রতিমাসে মুনাফা দিতে হয়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সুদহার কমিয়েও লাগাম টানতে পারেনি সরকার। সম্প্রতি সুদ হার কমানো, কেনার নির্ধারিত সীমা, অর্থের উৎস জানাসহ অন্যান্য শর্ত পালনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপে কাজ শুরু করেছে সরকার। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু এর আগেই সঞ্চয়পত্র বিক্রির বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ক্রয়কারীর অর্থের উৎস জানানো, নির্ধারিত সীমার বেশি যেন কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা। এতে ঊর্ধ্বগতি কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিবছরই বাজেটের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে মাত্র ৮২৪ কোটি টাকা নিট বিনিয়োগ আসায় পরবর্তী অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু পরের অর্থবছর থেকেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা যায়।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে লক্ষ্য ছিল ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থবছর শেষে নিট আয় হয় ১১ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এর তিনগুণেরও বেশি ২৮ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা আয় হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে ১৫ হাজার কোটি লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বছর শেষে আয় হয় ৩৪ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত অর্থবছরের মূল বাজেটে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বছর শেষে ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা নিট আয় হয়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই খাত থেকে সরকার নিট আয়ের লক্ষ্য ধরেছে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।

ব্যাংকে আমানতের সুদহার কম থাকায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংক আমানতে সুদের হার ৪ থেকে ৬ শতাংশ। অন্যদিকে কমানোর পরও বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের সুদহার ১১ থেকে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ গড়ে কমিয়ে আনা হয় ২ শতাংশ। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিন বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বর্তমানে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
জানা গেছে, ব্যাংক আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির নিচে নেমে যাওয়ায় সঞ্চয়পত্র কিনতে ব্যাংকগুলোয় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কেবল গত পাঁচ বছরেই ১ লাখ ৩১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে সরকার। সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের ঋণ ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ কমলেও বছর বছর বেড়ে চলেছে সঞ্চয়পত্রে দেনার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এর পাঁচ বছর পর ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের দেনা দাঁড়ায় ৬৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। তবে পরের পাঁচ বছরে এ খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুনে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নেয়া ঋণে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। যদিও ট্রেজারি বিলের বিপরীতে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদে ৯১ দিন মেয়াদি এবং ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ সুদে পাঁচ বছর মেয়াদি ব্যাংকঋণ নিতে পারত সরকার। সঞ্চয়পত্র থেকে চাহিদার অতিরিক্ত ঋণ পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ তো নিচ্ছেই না, উল্টো ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বকেয়া থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বিভিন্ন ব্যাংককে। এতে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগে অর্থাৎ্ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। চলতি বছরের মে পর্যন্ত অর্থবছরের ১১ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকার। অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সবচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। একক মাস হিসেবে শুধু ডিসেম্বরেই বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস থেকে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের পুরো হিসাব এখনো হাতে পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। সে হিসেবে ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরটিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। এর মধ্যে অনুন্নয়ন বাজেট ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪ কোটি টাকার। সুদ পরিশোধে রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদই ৩৯ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। সে হিসেবে মোট বাজেটের প্রায় ১৭ শতাংশ অর্থই ব্যয় হবে ঋণের সুদ পরিশোধে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সঞ্চয়পত্রের সুদে।

চলতি অর্থবছর শেষে দেশী-বিদেশী মিলিয়ে রাষ্ট্রের মোট ঋণ দাঁড়াবে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে দেশের ভেতর থেকে নেয়া ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৫০ লাখ এবং মাথাপিছু ঋণ দাঁড়াবে ৪৬ হাজার ১৭৭ টাকা। বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ ৩৯ হাজার ৯৬৩ টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বিদেশি ঋণ গ্রহণে নানাভাবে পরামর্শ দিলেও তা গ্রহন করছে না সরকার। দেশের বিশিষ্টজনের কথা না মেনে সরকার উচ্চ হারে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে করে জাতীয় ব্যয় বাড়ছে। বাড়ছে জনগণের দেনাও। কিন্তু প্রতি বছর সরকার এই উচ্চ হারের সুদ পরিশোধ করলেও কেন কম সুদে অভ্যন্তরিণ খাত থেকে কিংবা বিদেশি ঋণ গ্রহণ করছে না তা বুঝা যাচ্ছে না। এভাবে সরকার ঋণ গ্রহন করতে থাকলে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হবে। ব্যাংকগুলো সঞ্চয় পাবে না। আর এতে করে শিল্প ঋনও পাবে না ব্যবসায়ীরা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে গোটা অর্থনীতির ওপর।

http://www.dailysangram.com/post/316800