২৫ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:২৬

অপরাধ কমানোর বন্দুকযুদ্ধ কৌশল!

কখনো অপরাধী ধরতে বিশেষ অভিযান, আবার কখনো অপরাধী ধরে সহযোগী বা অস্ত্র সন্ধান করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান—এরপর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যুর খবর। এমন অভিযানের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। নতুন বছরে সেটি আরো বেড়েছে। বছরের প্রথম ২৩ দিনেই নিহত হয়েছে ২৬ জন। এই সময়ে যশোরে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে গুলিবিদ্ধ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজনেরই পরিচয় শনাক্ত হয়নি। যশোরের বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ওই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে হঠাৎ ৯ জনের মৃত্যু নিয়ে ওই এলাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার ভোরে বরগুনার পাথরঘাটায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন ‘জলদস্যু’ নিহত হয়েছে। আগের রাতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে এক ‘ডাকাত’।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, কোনো এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর অভিযান চালানো হয়। কৌশল হিসেবে অপরাধীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতেই ঘটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যুর ঘটনা। পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, অভিযানের সময় মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। মানবাধিকারের প্রতি নজর রেখে অভিযান চালানো হয় বলেও দাবি করেন তাঁরা।

তবে বিচারবহির্ভূত এসব ‘হত্যার’ ঘটনায় উদ্বিগ্ন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, এটি অপরাধ দমনের কৌশল নয়, অপকৌশল। দেশের অপরাধ পরিস্থিতির কারণে আইন-শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার ঝুঁকির মধ্যে পড়েনি, উল্টো ‘ক্রসফায়ারের’ মতো ঘটনাই পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৯১১ জন। এদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এবং তাদের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। একইভাবে র‌্যাবের অভিযানে নিহত হয়েছে ২২৫ জন। অন্যরা প্রাণ হারিয়েছে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে। এই পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পুলিশের অভিযানে ও হেফাজতেই বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।

আসকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু ক্রসফায়ারের ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করেছে। যশোরের ঘটনায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, হত্যা করে কেউ দায় এড়াতে চাইছে কি না। এত বড় ঘটনা, কেউ শনাক্ত হয়নি!’ তিনি আরো বলেন, ‘তুলে নিয়ে নিখোঁজ করে রাখা বা বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপকৌশল হিসেবে দেখছে মানুষ। কৌশল হতে হবে ভালোর জন্য, জনগণের উৎকণ্ঠার কারণ তৈরি করার জন্য নয়।’

তবে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়া বা কমার বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে তদন্তের বা অপরাধের তথ্য বের করার কাজ। ক্লু ধরে আসামি গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী অভিযানে আরো আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানোর সময়ই এসব ঘটনা ঘটছে।’ অভিযানে মৃত্যু মানবাধিকার পরিস্থিতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের হাই কমান্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে। এর পরও আত্মরক্ষার্থে পুলিশের গুলি চালাতে হয়।’

পুলিশ সদর দপ্তরের আরেক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোনো এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কঠোর অভিযানে ব্যবহার করা হয় বিশেষ কৌশল। আসামি ধরে অস্ত্র উদ্ধার এবং সহযোগীদের পাকরাও করার চেষ্টা করা হয়। মূলত তখনই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। হার্ডলাইনে যাওয়ার নির্দেশনা থাকায় পুলিশ হামলার শিকার হলে গুলি চালায়। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা বোঝাই যায়! কঠোর অভিযান অন্য অপরাধীদের জন্য মেসেজ। কঠোর অভিযানের মানে কোনো নমনীয়তা নয়। জীবিত উদ্ধারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় হামলার জবাব দেওয়া।’ কথিত বন্দুকযুদ্ধ প্রসঙ্গে একই রকম বক্তব্য দেন আরো কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

এ মাসে প্রায় দিনই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ : গতকাল ভোরে বরগুনার পাথরঘাটায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ‘জলদস্যু’ নিহত হয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতরা জলদস্যু মুন্না বাহিনীর সদস্য। মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সন্তোষপুর-দেহাটি সড়কে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমান আলী নামের এক ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে র‌্যাবের অভিযানে কথিত বন্দুকযদ্ধে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, গুলিবিদ্ধরা ডাকাতদলের সদস্য।

সোমবার ভোরে রংপুরের ধর্মদাসে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রজব আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত রজব ডাকাতদলের সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।

গত শনিবার ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর-দেওড়া আঞ্চলিক সড়কে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাশার নামে একজন নিহত হয়। সরাইল থানার ওসি মফিজুল ইসলাম বলেন, দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর তাদের নিয়ে অভিযানের সময় ওই ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৬ জানুয়ারি আশুগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে থাকা হত্যা মামলার আসামি সোলায়মান কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

১১ জানুয়ারি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুকপাড়া চর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুমন বাহিনীর ‘তিন দস্যু’ নিহত হয়। ৯ জানুয়ারি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে নৌ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফরিদ নামে এক যুবক। ৭ জানুয়ারি কুমিল্লায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু তাহের নামে এক যুবক নিহত হয়।

১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রিপুল নামে এক সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত নিহত হয়। একই দিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইউনুছ মিয়া নিহত হন। চুনারুঘাট থানার ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, ইউনুছ মিয়া মাদক সেবন ও কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একই দিনে ফেনীর ধর্মপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র‌্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনোয়ার হোসেন রাজু নামে এক যুবক নিহত হয়।

ক্রসফায়ারে এগিয়ে পুলিশ : আসকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে ‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’, ‘গুলিবিনিময়’ ও হেফাজতে ১৬২ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ও হেফাজতে নিহত হয়েছে ১২৪ জন। র‌্যাবের অভিযানে মারা গেছে ৩৬ জন। ২০১৬ সালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মারা গেছে ১৯৫ জন। তাদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের এবং র‌্যাবের অভিযানে মারা গেছে ৫৫ জন। ২০১৫ সালে মারা গেছে ১৯২ জন। তাদের মধ্যে পুলিশের অভিযান ও হেফাজতে ১২৪ এবং র‌্যাবের অভিযানে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। ২০১৪ সালে নিহত ১৫৪ জনের মধ্যে পুলিশের অভিযানে ১০০ এবং র‌্যাবের ৩৭ জন। ২০১৩ সালে ২০৮ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ১৪৮ জন পুলিশি অভিযানে এবং ৪৪ জন র‌্যাবের অভিযানে নিহত হয়। পাঁচ বছরে বাকিরা বিজিবি, কোস্ট গার্ড এবং যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারায়।

যশোরে রহস্যজনক ক্রসফায়ার

গত শনিবার যশোর সদর উপজেলার নোঙরপুর এবং ঝিকরগাছায় আলাদা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অচেনা চারজন নিহত হয়। এরপর রবিবার সদর উপজেলার রঘুরামপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরেকজনের মৃত্যু হয়। একই দিন বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া থেকে উদ্ধার করা হয় গুলিবিদ্ধ আরেকটি লাশ। একই দিন যশোর সীমান্তবর্তী মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া থেকে একটি এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ও সাতক্ষীরার কলারোয়ার চিত্লা এলাকা থেকে আরো দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। জেলার বাইরে থেকে উদ্ধার করা লাশগুলোও যশোরের সীমান্তে পড়েছিল। নিহতদের বয়স ১৩ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাদের বুকে ও মাথায় গুলির ক্ষত ছিল। দুই দিনে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এর আগে ৭ জানুয়ারি যশোরের মণিরামপুরে সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের কথিত বন্দুকযুদ্ধে রাজু সরদার এবং ৬ জানুয়ারি ঝিকরগাছায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাবু হাসান ওরফে পালসার বাবু নিহত হয়।

জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান গত মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটনাগুলো সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময়ে ঘটেছে। নিহত ছয়জনের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

যশোর থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি ফখরে আলম জানান, নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। গত ২০ জানুয়ারি রাতে পুলিশ ঝিকরগাছায় যে দুজনের লাশ উদ্ধার করে তাদের একজন ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া উজ্জ্বল হোসেন রাফি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকায়। ২১ জানুয়ারি যশোরের সীমান্তবর্তী মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রাম থেকে যার লাশ উদ্ধার করা হয় সে ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের সৈয়দ মনিরুল কাদিরের ছেলে এবং যশোর শাহিন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ আদিব কাদির (১৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ থেকে ১৯ জানুয়ারি ঝিকরগাছায় চারটি ডাকাতি হয়। এর মধ্যে কাউড়িয়া এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর দারোগা বাড়িতেও ডাকাতি হয়। ওয়াজেদ আলীর জামাতা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান হাবিব ঢাকায় কর্মরত। তাঁর আরেক জামাতাও পুলিশের কর্মকর্তা। এসব ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় তৈরি হয়। ২০ জানুয়ারি শোনা যায়, কয়েকজন ডাকাত আটক হয়েছে। ওই দিন রাতে চাপাতলা এলাকায় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয় এলাকায় ডাকাত হানা দিয়েছে। ওই ঘটনার পর চাপাতলা মাঠ থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ দুজনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। সূত্র মতে, চাপাতলা মাঠ থেকে উদ্ধার করা রাফি পেশাদার ডাকাত। তার আসল বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী। তবে আবিদের মা জেসমিন খাতুন দাবি করেন, আবিদ হোস্টেলে থেকে যশোর শহরের শাহিন স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। বার্ষিক পরীক্ষার পর আবিদ বাড়ি আসে। ৮-১০ দিন আগে রাফি তাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই আবিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হতো; কিন্তু ঘটনার দুই-তিন দিন আগে থেকে আবিদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঝিকরগাছা থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ‘আমরা কোনো ডাকাতকে আটক করিনি। চাপাতলা মাঠে ডাকাতরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাতের লাশ উদ্ধার করি।’

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2018/01/25/593847