২২ জানুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ৮:১২

অচলাবস্থা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখলেন ট্রাম্প

সম্পূর্ণ কার্যকর নয়- এমন একটি সরকার নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে যাত্রা শুরু করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে। নতুন বর্ধিত বাজেট সিনেটে পাস না হওয়ায় সেখানকার কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন খাতে কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত রয়েছেন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। ওদিকে নতুন বাজেট অনুমোদনের জন্য ডেমোক্রেটদের কাছে ধরনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল রিপাবলিকান। স্থানীয় সময় শনিবারও এ নিয়ে দেনদরবার চলছিল। এতে সরকার যেমন কার্যত অকার্যকর হয়ে আছে তেমনি সমঝোতার ক্ষেত্রে গোঁ ধরেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলই।

ডেমোক্রেটদের দাবি অভিবাসী ইস্যুতে সমঝোতায় আসতে হবে সরকার বা রিপাবলিকানদের। কিন্তু উল্টো সুর ধরেছে রিপাবলিকানরা। তারা বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি কার্যক্রম উন্মুক্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা নয়। তার অর্থ হলো আগে তাদেরকে সমর্থন দিতে হবে ডেমোক্রেটদের। শুক্রবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির তহবিলের বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয় নি। তার অর্থ হলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি পরিপূর্ণ কার্যকর নয় এমন একটি সরকার নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পা দিতে হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় যেসব অভিবাসী অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল তাদেরকে অস্থায়ীভাবে বৈধতা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এসব অভিবাসীকে ‘ড্রিমারস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডেমোক্রেটদের আপত্তি এখানেই। তারা চাইছে এসব অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার ঘোষণা থেকে সরে আসতে হবে সরকারকে। এমন ড্রিমারসের সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে আট লাখ। তাদেরকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার কারণে ডেমোক্রেটদের ঘায়েল করে বক্তব্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল। তারা বলতে চান, এসব অভিবাসীর পক্ষ নিয়ে ডেমোক্রেটরা তাদের ভোটব্যাংক নিশ্চিত করতে চান। এ ইস্যুতে আটকে আছে নতুন বাজেট সংক্রান্ত বিল। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলা হয়েছে বাড়িতে অবস্থান করতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে নতুন বাজেট অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত বিনা বেতনে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রিত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ শনিবারটি এক বিরল অবস্থার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক সংকট সেখানে তীব্র হয়েছে। এই সংকট আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় সময় রাত সাতটায় উভয় কক্ষ সমস্যা সমাধানে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে। তারা রোববার নতুন করে এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ওদিকে প্রথম দিনটিতে সংকটের জন্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটরা একে অন্যকে দায়ী করে। সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ডেমোক্রেটরা যদি সহসা ঐকমত্যে না আসে তাহলে সরকারি তহবিলের বিষয়ে সোমবার একটি বিলের ওপর ভোট হবে সিনেটে। এর ফলে সরকারি কার্যক্রম উন্মুক্ত হবে।

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=101566