১৯ জানুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩০

শিক্ষাজগতে দুদকের প্রবেশ যেন অর্থবহ হয়

গত ১০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের শীর্ষ সংবাদ ছিল এরকম : সাড়ে ৮ হাজার ভুয়া পিএচইডির তদন্তে দুদক। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের ধরতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যও ছাপা হয়েছে (মানবজমিন)। আমি নিজে ওই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, দুদকের তথ্যমতে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী রয়েছেন! এ ধরনের একটি সংবাদ জেনে একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়। পিএইচডি ডিগ্রি নিছক একটি সাধারণ ডিগ্রি নয়। এটি অর্জন করতে হলে প্রচুর পড়াশোনা ও গবেষণার প্রয়োজন হয়। এটি এমন একটি গবেষণা, যা কোনো একটি তত্ত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয়। যারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি নেন, তারা ল্যাবে কাজ করেন। যারা সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি নেন, তারা সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যেসব তত্ত্ব রয়েছে, তা প্রয়োগ করে তাদের নিজ নিজ গবেষণা সম্পন্ন করেন এবং নতুন নতুন ফলাফল উপস্থাপন করেন। এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কাজ। শুধু পত্রিকার কাটিং, যে কোনো গ্রন্থে প্রকাশিত তথ্য উল্লেখ করে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে কপি করে) গবেষণা সম্পন্ন করা যায় না। গবেষণার একটি পদ্ধতি আছে। আমরা যখন ইউরোপে পিএইচডি গবেষণায় জড়িত ছিলাম, তখন রুশ ভাষা শিখতে আমাকে মস্কো পাঠিয়েছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ আমার গবেষণার বিষয় ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি। সত্তরের দশকের এ পররাষ্ট্রনীতি বুঝতে এবং আর্কাইভ ও ডকুমেন্ট দেখতে আমার মস্কো যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। শুধু তাই নয়, লাইব্রেরিতে আমাদের সবার জন্য ছোট ছোট কক্ষ ছিল, যেখানে আমাদের সারাদিন পড়ে থাকতে হতো।

প্রবাসে যারাই গবেষণা করেছেন, তাদের সবার অভিজ্ঞতাই এমন। আর গবেষণার কাজটি এমনই যে, কখনও-সখনও তা ৭-৮ বছরও লেগে যায়। পিএইচডি গবেষণা অত সহজ নয়। কিন্তু বাংলাদেশে যারা পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছেন, কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করছেন, তাদের অনেকে নিজেরাই নিজেদের বিতর্কিত করছেন। আমার দুঃখ লাগে যখন দেখি সমাজের উচ্চশ্রেণীর কিছু শিক্ষিত মানুষ এটি জেনেও না জানার ভান করছেন। অনলাইনে পাওয়া ডিগ্রি যে ব্যবহার করা যায় না, এবং এটি যে ফৌজদারি অপরাধতুল্য, তা তারা জানেন। তারপরও তারা এ ডিগ্রি ব্যবহার করে চলেছেন। একজন সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার কথা জানি। তিনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, তা যে অবৈধ বা ভুয়া, তা তাকে স্মরণ করিয়ে দিলেও তিনি দিনের পর দিন ওই ডিগ্রি ব্যবহার করে চলেছেন। আরেকজনের কথা জানি। তিনি একটি বড় এনজিওর প্রধান। তাকে ফিলিপাইনের একটি প্রতিষ্ঠান সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি দিয়েছে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে অনুসন্ধান চালানো হয়, আমি ইউজিসির প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম, এভাবে পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করা যায় না। এমনকি তিনি নিজেকে অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দেন, এটিও অবৈধ। এ ধনের ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা অনেক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দেখার কি কেউ নেই? প্রশ্ন উঠতে পারে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা তাহলে কী? এক্ষেত্রে ইউজিসির চেয়ারম্যানের একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছে। ওই প্রতিবেদকের কাছে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে নোটিশ দিতে দিতে হয়রান হয়ে গেছি। এটি ফৌজদারি অপরাধ। কারণ এ সনদ দেয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়।’ তিনি দুদকের অনুসন্ধানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভুয়া সনদধারীদের সবাইকে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এ বক্তব্যের পেছনে কিছুটা সত্যতা আছে, কিছুটা তথ্য বিভ্রান্তিও রয়েছে। ইউজিসি আইনে সরাসরি ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের ধরার কোনো বিধান নেই। তবে ইউজিসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কাজ করে- আর তা হচ্ছে বিদেশে নেয়া ডিগ্রির সমমান নির্ধারণ করে। আমরা যখন ইউজিসিতে ছিলাম, তখন এ ধরনের অনেক ডিগ্রির (পিএইচডিসহ) সমমান আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের একাধিক বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন কি তা হয়?

এখানে যে বিষয়টি লক্ষ করা যাচ্ছে তা হল এক ধরনের শৈথিল্য। অর্থাৎ যার ওপর যে দায়িত্বটি বর্তেছে, অথবা যিনি যে কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তিনি সেই কাজটি করছেন না, অথবা করতে অপারগ। যেসব শিক্ষা সচিব সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছিলেন বা আছেন, তাদের তো উচিত ছিল এ বিষয়টি নিয়ে ভাবার। তারা কি তা ভেবেছেন? কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কি ইউজিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন? দেননি। এর পেছনে কারণ আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিক সচিব রয়েছেন, যারা এ ধরনের ডিগ্রি নিয়েছেন। শিক্ষা সচিব তাই তার সহকর্মীদের বিরক্ত করতে চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, কালচারাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে যেখান থেকে এসব অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়। আমাদের সচিবদের অনেকে নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করে থাকেন। তারা ভালো করেই জানেন এ ডিগ্রির কোনো বৈধতা নেই। গবেষণা না করে, কোনো ধরনের লাইব্রেরি কিংবা ফিল্ডওয়ার্ক না করে যে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়া যায় না, এটা বোঝার জ্ঞান নিশ্চয়ই শীর্ষ আমলাদের আছে।
আমি ইউজিসির চেয়ারম্যানের ভূমিকায় হতাশ। সারা দেশের প্রায় ১৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেসরকারিসহ) দেখভাল করার দায়িত্ব যার এবং যিনি দিকনির্দেশনা দেবেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তিনি তার দায়িত্বে পুরোপুরি মনোনিবেশ করছেন না। একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী কেউ তার মূল দায়িত্বের বাইরেও কাজ করতে পারেন, তবে মূল দায়িত্বের প্রতিই তার সর্বাধিক মনোযোগ থাকা উচিত বলে মনে করি। ইউজিসির দায়িত্ব অনেক এখন। শুধু অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের আইনের আওতায় আনতে দুদককে সহযোগিতাই নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চশিক্ষার দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন। ইউজিসির চেয়ারম্যানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের ক্ষেত্রেও কথাটা সমানভাবে প্রযোজ্য। উপাচার্যদের জন্যও একটি নীতিমালা দরকার। ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ কাজটি করেনি।

উপাচার্যদের কর্মকাণ্ডও মনিটর করা প্রয়োজন। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (রংপুর) পরপর দু’জন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, সেক্ষেত্রে ইউজিসির বক্তব্য কী? একজন উপাচার্যের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির তদন্ত করছে দুদক। যে কাজটি করার কথা ইউজিসির, সে কাজটি করছে দুদক। তারপরও কথা থেকে যায়। ওই তদন্তের অগ্রগতি কতদূর? দ্বিতীয় যে উপাচার্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তার দুর্নীতি সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন তিনি নাশতার জন্য ব্যয় করতেন সাত হাজার টাকা- এটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট। আর ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি না করেও তিনি উত্তোলন করেছিলেন (৩ বছরে) ১৬ লাখ টাকা। এটি ছিল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। দুদক কি তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে? রাষ্ট্রের টাকা মানেই তো জনগণের টাকা। এ টাকা যিনি নয়ছয় করেন, তিনি শিক্ষক হতে পারেন, তবে দুর্নীতিবাজ।

পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে আরও কিছু কথা বলা প্রয়োজন। যে প্রতিবেদনটির কথা উল্লেখ করেছিলাম, সেখানে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি মন্তব্য আছে। তার মন্তব্য ছাপা হয়েছে এভাবে : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পিএইচডির তত্ত্বাবধায়ক হচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে তারা এদের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এটি মোটেও সুখকর নয়। অধ্যাপক ইসলাম একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আমাদের মতো অনেক শিক্ষকের শিক্ষক তিনি। কোনোদিন তিনি উপাচার্য হননি। সারা জীবন ছাত্র পড়িয়েছেন আর লেখালেখি করেছেন। একজন শিক্ষকের এটাই তো মূল কাজ। তার মতো একজন সিনিয়র শিক্ষক যখন এ ধরনের মন্তব্য করেন, তখন আমাদের নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। তিনি মিথ্যা বলেননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এটাই এখন চিত্র। আমি অবাক হয়ে যাই- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে যা হচ্ছে, তা দেখার কেউ নেই! আইনগতভাবে বৈধ, কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে এ ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন আছে। ছুটি না নিয়ে, লাইব্রেরিতে না গিয়ে, ফিল্ডওয়ার্ক না করে কী করে পিএইচডি করা যায়, আমি জানি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা দেয় না। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেয়। এটা দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির মান প্রশ্নের মুখে পড়েছে। থিসিসগুলো পড়ে দেখা যেতে পারে, যেখানে ‘মেথডোলজি’ বলতে কিছু নেই! ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’-এর নাম আর যাই হোক, পিএইচডি হতে পারে না। আমার বিভাগে কোনো একদিন ক্লাস না করেও বছরের সারাটা সময় চাকরি করেও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি নেয়া যায়! প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি এর অনুমোদনও দেন। এরই নাম উচ্চশিক্ষা! আর উচ্চশিক্ষা পরিচালনার ভার যাদের হাতে ন্যস্ত, তারা ব্যস্ত থাকেন রাজনৈতিক তথা ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের চেষ্টায়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে ৯ বছর। তাদের অনেক অর্জনের একটা হচ্ছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। সরকারপ্রধানের উদ্দেশ্য মহৎ সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু যাদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা যোগ্য নন। উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চাই আমরা। একটা শক্তিশালী তরুণসমাজ আমাদের আছে, যারা বিসিএসের নামে ‘সোনার হরিণ’ খুঁজে বেড়ায়। অথচ তাদের আমরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পারতাম। এজন্য দরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, দরকার দক্ষ শিক্ষা প্রশাসক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হচ্ছে একেকটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে। বাবা-মা, সন্তান, সন্তানের স্বামী বা স্ত্রী- সবাই আজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক! তারা এত বেশি মেধাসম্পন্ন যে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে আবেদন করতে ভয় পান! এই যে শিক্ষাব্যবস্থা, এ ব্যবস্থায় যে জনশক্তি তৈরি হবে, তা দেশটিকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে কোনো অবদান রাখবে না।

ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুদক। আমি দুদককে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমার শঙ্কা হচ্ছে প্রভাবশালীদের চাপে শেষ পর্যন্ত না এ অভিযানটি কাগজ-কলমেই থেকে যায়। দুদক জাতির বৃহত্তম স্বার্থের খাতিরেই এ কাজটি শেষ করুক। কাজটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে করতে পারিনি। ইউজিসিতে থেকে পারিনি। পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। দুদক একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক- আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahman09@gmail.com

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/8734