১১ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৬

ফের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

সমুদ্রপথে আবারো আসছে রোহিঙ্গা। বুধবার শীলখালী হয়ে শতাধিক রোহিঙ্গা ভর্তি ট্রলার উপকূলে নোঙর করেছে। আর সদ্য আগত শতাধিক রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমারে শুক্রবার সেনা বহনকারী একটি গাড়িতে সেখানকার বিদ্রোহী গ্রুপ আরসার সশস্ত্র হামলায় বর্মি সেনা নিহত ও ২জন আহত হওয়ার ঘটনায় রাখাইন এলাকা আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ফলে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনা টহল জোরদার করেছে দেশটি। এপারে বিজিবিও সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে সদ্য আগত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাখাইনের মংডু তোরাইন এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গাড়ি বহর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ফলে একজন মিয়ানমার সেনা নিহত ও ২জন আহত হওয়ার ঘটনায় রাখাইনের পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

রাখাইনের বুচিডং ছিনতাইং গ্রামের মোহাম্মদ ইউনূছের ছেলে মো. সালাম (৪৫) জানায়, তাদের গ্রামটি ছিল একটি নির্জন এলাকায়। সেখানে কোনদিন বর্মি সেনা, বিজিপি যায়নি। যে কারণে ছিনতাইং গ্রামের কোন মানুষ এ পর্যন্তও এদেশে আসেনি। শুক্রবার আরসার সশস্ত্র হামলায় বর্মি সেনারা রাগান্বিত হয়ে আবারো জুলুম, অত্যাচর, নির্যাতন শুরু করেছে।

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রোগ্রাম অফিসার সৈকত বিশ্বাস জানান, গত ৫দিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতি সম্পন্ন এবং তাদের শরীরে কোন ডিপথেরিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

উখিয়া-টেকনাফের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মার্মা জানান, গত ২দিনে ২শতাধিক রোহিঙ্গা এসেছে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ বলেন, আরসার ঘটনার পর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে তারা অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে। যে কারণে বিজিবিদের সতর্ক করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

ইত্তেফাক/আরকেজি

 

 

http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2018/01/10/142991.html