১১ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:০৭

বিবিএস’র পরস্পরবিরোধী তথ্য

সারা দেশ ও ২৫ জেলায় খানা সমান

মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য নিয়ে দাতাসংস্থা ও স্থানীয় গবেষণা মহলে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু সরকার বিবিএসের তথ্যকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচডি) নিয়ে ব্রসিয়ারে বলা হয়েছে সারা দেশে মোট তিন কোটি ৬০ লাখ খানা (পরিবার) রয়েছে। একই সংস্থার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২৫টি জেলায় খানার সংখ্যা তিন কোটি ৬০ লাখ। কোনটি সঠিক? পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি লিখার ভুল।

ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচডি) নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের জরিপের আগে গতকাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশনায় এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। আরো বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক আমীর হোসেন ও এনএইচডি প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল আলম।

বিবিএসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৭২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ^ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৬৮৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন ১৭টি জেলায় ৮৬ লাখ ৯ হাজার পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ জেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তৃতীয় পর্যায় সিলেট, খুলনা বিভাগের ২২ জেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে খানা তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। যেসব মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তারা এই তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য নিয়ে সুবিধাভোগী নির্বাচন করবে।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, আগামী ১৪ জানুয়ারি হতে দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু। এটি চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রোকোনা জেলাসহ ২৫টি জেলায় এক কোটি ৬০ লাখ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এভাবে তিন পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ খানা থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য একটি দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অভিশাপ। এটা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে পারলে তারাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে দরিদ্রের সংখ্যা কমছে। সেটিকে টেকসই করার জন্য সরকার কাজ করছে। বর্তমানে দেশে দরিদ্রের হার ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং অতিদরিদ্র ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/283937