৯ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৭:৫১

রোহিঙ্গা সঙ্কটের বহুমুখী প্রভাব

আমিনুল ইসলাম শান্ত
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে বিধিবদ্ধ, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের অধিভুক্ত সমুদ্র অঞ্চল একটি বিতর্কিত আন্তর্জাতিক সালিসের মাধ্যমে মিয়ানমারকে ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের শুরু হয়েছে কূটনৈতিক ব্যর্থতা। সম্পদহীন হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার নিয়ে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলা আর সম্পদসমৃদ্ধ ক্ষুদ্রাঞ্চল ছেড়ে দিয়ে কথিত বিজয়ের যে কৃত্রিম উল্লাস হয়েছে, সেখানে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সামরিক কূটনীতি। সে সূত্র ধরেই বাংলাদেশের কূটনৈতিক দুর্বলতার বর্ধিত ফলাফল হলো রোহিঙ্গাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া। বাংলাদেশের দুর্বল ও পরনির্ভরশীল কূটনীতির ফলে মিয়ানমার ও ভারত প্রতিবেশী হিসেবে এমন সব পরিকল্পনা করার প্রয়াস পায়, যার ফলে রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটে।

রোহিঙ্গা আসার চার মাস পর বর্তমানে কেমন আছেন শরণার্থী ক্যাম্পে? আমি ক্যাম্পগুলোতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত বহুবার গিয়েছি, আমার পর্যবেক্ষণ হলোÑ তারা ভালো নেই। ২০১৭ সালে নবাগত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৬০ শতাংশই শিশু, যার বিরাট একটা অংশ আবার মা-বাবাহীন বা এতিম। শিশুরা মারাত্মকভাবে ট্রমাটাইজড। এসব শিশুকে সাইকোলজিক্যাল ট্রমা থেকে উদ্ধার করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সীমিত। শিশুদের শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ ও আত্মপরিচয় দেয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষাকার্যক্রম এবং একই সাথে বিনোদন প্রয়োজন।
ক্যাম্পে অভিভাবকহীন শিশুদের অনৈতিক ব্যবহার বা নির্যাতিত হওয়া থেকে সুরক্ষা দেবে কে? তরুণী নারীদের ইজ্জত-সম্ভ্রম সংরক্ষণের ব্যবস্থা কী? রাত হলে ক্যাম্পের অভ্যন্তরের জগৎ সবারই অজানা। শরণার্থী ক্যাম্প নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কতগুলো আন্তর্জাতিক বহুলপরীক্ষিত নিয়মপদ্ধতি আছে। সেসব পদ্ধতির প্রয়োগ এখনো দৃশ্যমান হয়নি ক্যাম্পে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সঙ্কটের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেসব আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আপাতত প্রাথমিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমরা মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পাওয়া অনেক ত্রাণ নির্দিষ্ট মূল্যের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কম দামেও স্থানীয় বাসিন্দা-ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। একটি পাঁচ লিটার ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেল মাত্র ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি করে দেয়ার উদাহরণ অগণিত। জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করেছেন নামমাত্র মূল্যে। তদ্রƒপ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে পাওয়া অতিরিক্ত সম্পদ ও অতিরিক্ত খাদ্যপণ্য সস্তায় বিক্রি করে দেয়ায় স্থানীয় স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে আশঙ্কার ঠিক উল্টো প্রভাব পড়ে। উখিয়া, টেকনাফ, কুতুপালং, বালুখালীতে দ্রব্যের জোগান বেড়ে যায় মোট স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার বিপরীতে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণসম্পদ বিক্রয় করা নিয়ে স্থানীয় বিবেকবান জনগণ, সেবাকর্মী, সেবাসংস্থা ও প্রশাসনের মধ্যে নেতিবাচক সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনকি উল্লিখিত কারণে বিগত ১২ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সম্পদ অপচয় হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন নোটিশ দিয়ে ত্রাণ বিতরণ সাময়িক বন্ধ করে দেয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ বিক্রয় করে দেয়ার পেছনে মূল কারণ হলোÑ একজন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনের গাণিতিক তালিকা অনেক বড়। কখনো মাথাব্যথার ওষুধ, কখনো পান খাবার নেশা, কখনো ছোট শিশুর জুস খাওয়ার আগ্রহ, কখনো লবণ আছে, তেল আছে, হলুদের গুঁড়া নেই। তখন রান্নার জন্য হলুদের গুঁড়া প্রয়োজন, রান্নার লাকড়ি হিসেবে কাঠ প্রয়োজন, এমন হাজারো তালিকায় মানুষের জীবন আবদ্ধ; কিন্তু ত্রাণসমাগ্রী হিসেবে মানুষ কেবল ঘুরেফিরে কিছু দ্রব্য পায়। যে কারণে একজন রোহিঙ্গা তার অবশিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য স্থানীয় বাজারে স্বল্পমূল্যে দামি পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য প্রয়োজন বিনিময় প্রথা, যা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থাকে সরকার কাজ ভাগ করে দিয়ে সহজেই সামলাতে পারে।
জনজীবনে অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা যদি বলি, একজন স্থানীয় উখিয়াবাসীর বক্তব্যÑ ইতঃপূর্বে পুরো শীতকালে শীতের সবজি নিয়ে কালেভদ্রে সবজির ট্রাক আসত স্থানীয় হাটে। আর এখন সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। রোহিঙ্গাদের চাহিদা মেটানোর জন্য এত বেশি সবজির ট্রাকের আমদানি, যাতে স্থানীয় ব্যক্তিরাও স্বল্পমূল্যে সবজি ক্রয় করে তুষ্ট। স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থায় পার্টটাইম-ফুলটাইম কাজের সুযোগ পাচ্ছে। রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের ভাষা একই হওয়ায় এনজিওতে স্থানীয়দের চাহিদা অনেক বেশি। কক্সবাজার সদরের কথা যদি বলি, স্থানীয় রেন্টাল কারের ব্যবসা এনজিওগুলোর চাহিদার কারণে আকাশচুম্বী। একটি নোয়া বা হায়েস গাড়ি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার থেকে ক্যাম্পে যাতায়াত (৫০ কিমি. দূরত্ব) ভাড়া পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে ছয় হাজার টাকা। স্থানীয় আবাসিক হোটেলে মওসুমের দুই মাস আগ থেকেই শুরু হয় উপচে পড়া ভিড়। অনেক এনজিও হোটেল বা বাসা ভাড়া নিয়ে অফিস চালু করে। স্থানীয় বড় বাজারে পাইকারদের ব্যবসা জমজমাট ত্রাণের ও বাড়তি জনবলের চাহিদা মেটাতে।

কক্সবাজারের একজন শিক্ষানবিস এমবিবিএস ডাক্তার বা একজন ডিপ্লোমা ডাক্তারও দিনে চার-পাঁচ হাজার টাকা সম্মানীতে হেলথ ক্যাম্প করেন। প্রতিদিন চার-পাঁচটি ফ্লাইট ভরে যাত্রী, বিশেষ করে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের আগমন বিমান পরিবহনে আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধি করে। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপক আগমন ঘটে এ সময়ে এবং এখনো অব্যাহত। স্থানীয় পেট্রলপাম্প থেকে তেল ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে ঢাকা থেকে যাওয়া ত্রাণবাহী লড়ি, ট্রাক ও অন্যান্য বাহনের। অতএব, দৃশ্যত এখন পর্যন্ত সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তবে এ কথা স্বীকার্য, আমাদের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যয় বেড়েছে বহুগুণে। ভবিষ্যতে আমাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে, যা বুঝা যাবে আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতার পরিমাণ, পরিধি, প্রকৃতি ইত্যাদির ওপর।
রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে কাজ করছে এমন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সাথে বিভিন্ন সময় মতবিনিময় করেছি, কক্সবাজারে বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিয়েছি। বিদেশী সংস্থাগুলো মনে করে, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় প্রদত্ত আইডি কার্ডে ইউএনএইচসিআরের স্বাক্ষর যুক্ত করা প্রয়োজন ছিল। তা না হলে ভবিষ্যতে সরকারপ্রণীত শরণার্থীর পরিসংখ্যান অস্বীকার করতে পারে ইউএনএইচসিআর, যদিও পুরনো শরণার্থীদের আইডি কার্ড প্রদান করেছে ইউএনএইচসিআর। উল্লেখ্য, নতুন আগত রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এ কাজটি এক অর্থে ইতিবাচক। কারণ, শরণার্থী হিসেবে মর্যাদা দিলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া বা ভবিষ্যতে যেকোনো প্রক্রিয়ায় পুশব্যাক করার ক্ষেত্রে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বাদ সাধবে।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সামাজিক প্রভাব বহুমাত্রিক, তবে প্রধান দিকগুলো হলো অপরাধপ্রবণতা। এ কথা প্রমাণিত, অতীতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের কেউ কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে ও অল্প টাকায় ভাড়াটে হিসেবে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়েছে; কিন্তু সেটা সামগ্রিক চিত্র নয়। গাণিতিক হিসাবে ০.০১ এর নিচে এবং তাও স্থানীয় অধিবাসীদের ছত্রছায়া বা প্রশ্রয়ে। আর অপরাধের ধরন হলো প্রচলিত, যেমন ব্যক্তিগত বিরোধ বা নারীঘটিত বিরোধের জের। কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার ঘটনা অপ্রমাণিত। উল্লেখ্য, সব দেশ ও সমাজেই কিছু জনগণ অপরাধপ্রবণতার সাথে জড়িত। রোহিঙ্গারাও তার ঊর্ধ্বে নয়। আর পশ্চাৎপদ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সীমান্তবর্তী অধিবাসীদের অতীতকাল থেকেই আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা ড্রাগ চোরাচালানে ব্যবহার করে আসছে। এর সাথে বাংলাদেশের নামি-বেনামি বহুমাত্রার লোকজন জড়িত। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা এবং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেটা এখন আরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইয়াবা ট্রাফিকিং এখন প্রচলিত পদ্ধতিতে বাধাগ্রস্ত।

ক্যাম্পে অবস্থান, চলাচলের সীমাবদ্ধতা, পথঘাটে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবির বহুমাত্রিক চেকপোস্ট থাকায় অপরাধে জড়ানোর পথ বহুলাংশে বন্ধ। তবে সামাজিক নিরাপত্তার অন্য দিক হলো স্থানীয় কক্সবাজার অধিবাসীদের একটি বৃহৎ অংশের মানুষ রোহিঙ্গাদের সাথে অতীত থেকেই বিভিন্ন প্রকার আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। অতীতে যারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়েছে বা বাংলাদেশী ভোটার হয়েছে তার জন্য কেবল রাজনৈতিক শ্রেণীই দায়ী নয়, বরং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এ জনমিশ্রণও সঞ্চালন হয়ে আসছে। এই সামাজিক মিশ্রণের উদাহরণ বিশ্বের অপরাপর প্রায় সব দেশেরই সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ, জনমানুষের সৃষ্টি হয়েছে আগে, আর পরে সৃষ্টি হয়েছে জাতি, রাষ্ট্র ও জাতীয় সীমারেখা।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের রাজনৈতিক প্রভাব এক কথায় ‘অসীম’। আমি ঘুমদুম সীমান্তে কয়েক দফা জরুরি সেবা নিয়ে কাজ করেছি আর্তমানবতার সেবায়। রোহিঙ্গারা আসার প্রাক্কালে একটি যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল মিয়ানমার। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার বারবার বাংলাদেশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা একটি সুস্পষ্ট যুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছিলেন। মিয়ানমারের ওইসব কর্মকাণ্ডের পেছনে নির্ঘাত একটি অ্যাসেসমেন্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট ছিল, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত উসকানিই দেয়া হোক যুদ্ধে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ কথার সূত্র ধরে বলা যায়, যুদ্ধের প্রসঙ্গ এলো কেন? নিঃসন্দেহে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সমস্যা দৃশ্যমান হয়েছিল? কথা হলো, শুধু আকাশসীমা লঙ্ঘন নয়, যদি কেউ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ করে ও যুদ্ধে বাধ্য করে, তখন আমরা চাইলে কি বিরত থাকতে পারব? সেই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জাতীয় প্রস্তুতি পুরোপুরি বেসামরিক তো নয়ই, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঊর্ধ্বেও নয়। রোহিঙ্গা টেস্ট কেসে বিজয়ের পর আঞ্চলিক পরাশক্তি এখন যদি আসামের মুসলমানদের জাতীয়তা কেড়ে নেয়, কালক্রমে যদি পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বাংলাভাষীদের একটি তালিকা পুশব্যাক করানো হয়, তবু আমাদের রথ দেখায় ব্যস্ত থাকলেই চলবে? পুরো বাংলাদেশ কি একটি শরণার্থী ক্যাম্প হতে যাচ্ছে?
মোগলদের শাসন, মুসলিম আধিপত্য, ব্রিটিশ ভারতের উপনিবেশ, ভারত-পাকিস্তানের বিভক্তি, ৬৫ যুদ্ধ ও স্থান বদল, আর ’৭১-এর স্বাধীনতার বাঁকে বাঁকে নানান জটিল উপকরণ ছড়িয়ে আছে, যাকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক প্রভাবকেরা নিপুণ ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনার পথে হাঁটছে। আর আমরা আছি গর্বিত জাতি হওয়ার ফানুস স্বর্গে। বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে গ্রহণযোগ্য কূটনীতি সময়ের দাবি।
লেখক : গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/283395