আল-আকসা মসজিদ
৮ জানুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৫

আল-আকসা নয় পুরো হারাম শরিফেই ইসরাইলের নজর

দখলদার ইসরাইল শুধু আল-আকসা মসজিদ নয়, পুরো হারাম শরিফ দখল করে সেখানে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে একটি উপাসনালয় গড়ে তুলতে চাইছে। এ কারণে ইসরাইলের সঙ্গে মুসলমানদের লড়াই সমগ্র হারাম শরিফকে রক্ষার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শায়েখ আহমেদ আল তায়েব।
জেরুসালেম ইস্যুতে আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি মিসরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এর কয়েক দিন আগে শায়েখ আহমেদের দেয়া বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর। সংবাদমাধ্যমটি কুদস নিউজ এজেন্সির বরাতে জানায়, গ্র্যান্ড শায়েখ বলেছেন- শুধু আল-আকসা মসজিদের জায়গাটুকুই নয়, আশপাশের সব কিছু ধর্মীয়ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের প্রার্থনা ও আশ্রয়স্থল। তাই মসজিদের পাশের হারাম শরিফ এলাকায় অবস্থিত ডোম অব রক, সব করিডর ও কূপগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মিসরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শায়েখ এমন সময় আল-আকসা ইস্যুতে মন্তব্য করলেন, যখন সেখানে জেরুজালেম ইস্যুতে কয়েক দিন পরেই একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডাকা হয়েছে। আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আল-আকসা মসজিদ দখলের মাধ্যমে এর ঐতিহ্য নষ্ট করে সেখানে একটি মন্দির গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র করছে। যাকে তারা ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে নামকরণ করেছে। আর এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। গত মঙ্গলবার ইসরাইলের পার্লামেন্টে ‘ইউনাইটেড জেরুসালেম’ শীর্ষক বিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাঠ সম্পন্ন হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, জেরুজালেমের কোনো অংশের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি রাষ্ট্রের আওতায় ছেড়ে দিতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন দরকার পড়বে। এতে করে ইসরাইলের দুই অংশের সংযুক্তি সহজ হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন আরও ধূসর হবে।
গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দিয়ে ইহুদিদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ সুগম করেছেন। বর্তমানে জেরুসালেম ইস্যুতে পুরো মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভ চলছে। দখলদার ইহুদিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি।

 

http://www.dailysangram.com/post/314421