৭ জানুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৯:৩১

এবার বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপবে ২০ লাখ ভারতীয় অসমীয়া?

ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় গেলেই শুরু হয় সেই পুরানো জুজু। সেটি হলো, ভারতে নাকি বিপুল পরিমাণ অবৈধ বাংলাদেশী রয়েছে। এই জুজুটি তোলা হয়েছে ২০ বছর আগে যখন বিজেপি ভারতে প্রথম প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করে। এই শ্লোগান তোলার পেছনে ভারতের প্রধানত দুইটি উদ্দেশ্য কাজ করে। প্রথমটি হলো, ভারতের চারপাশে অবস্থিত ছোট ছোট প্রতিবেশীর ওপর চাপ সৃষ্টি করা এবং দ্বিতীয়ত ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশী অনুপ্রবেশের আওয়াজ তুলে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করা। ভারতের নির্বাচনে অতীতেও এই ইস্যুটি ব্যবহার করেছে একাধিক বড় রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে ব্যবহৃত হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সাতটি রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে। এই সাতটি রাজ্য হলো আসাম, ত্রিপুরা, অরুনাচল, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মেঘালয় ও মিজোরাম। ভারতের বিগত সাধারণ নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৪ সালের নির্বাচনে সেদিনের বিজেপি নেতা এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই স্লোগান তুলে আংশিকভাবে হলেও বাজিমাত করে ছিলেন। তিনি সেদিন নির্বাচনী প্রচারণায় এই মর্মে হুমকি দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে জয় লাভ করলে সারা ভারত থেকে তিনি সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করবেন। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ নাথ সিং বলেছিলেন যে, সারা ভারতে নাকি দুই কোটি অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছে। তার মতে, এসব বাংলাদেশী নাকি কোনরূপ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো এই যে, এই ২ কোটি বাংলাদেশীর সংখ্যা তিনি কোথায় পেলেন, সেই বিষয়টির ওপর তিনি কোনরূপ ব্যাখ্যা দেননি।
এবারেও আবার সেই পুরাতন জুজু তোলা হয়েছে। এবার একটু নতুন ফরম্যাটে, যাতে করে তাদের বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা যায়। ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছে আসামের রাজ্য সরকার। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে এখনও স্বীকৃতি মেলেনি প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দার। যাচাই বাছাই শেষে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে ২০ লাখেরও বেশি মুসলিম ভারতের আসাম রাজ্যে গেছেন। বিজেপি সরকারের অধীনে ভারতীয় নাগরিক স্বীকৃতি পেতে তাদের ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে থেকে সেখানে বসবাসের দালিলিক প্রমাণপত্র দিতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মুসলিমদের কেউ কেউ বলছেন,তারা তেমন একটা লেখাপড়া জানেন না। তাই তাদের পূর্বসূরীরা এসব প্রমাণ বা নথি সংরক্ষণ করার কথা বুঝতে পারেননি। নাগরিকত্ব প্রমাণের মত অনেক কাগজপত্রই এখন আর তাদের হাতে নাই। নাগরিক প্রমাণের মতো যথেষ্ট কাগজপত্র নেই অনেকেরই। তাই জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার আওতায় অনেকের নাম থাকবে না, ফলে তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন।এর ফলে অনেক মুসলিমকে বের করে দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল সাইলেশ তালিকার খসড়া প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যাদের এখন পর্যন্ত যাচাই করা হয়েছে তাদের নিয়ে এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বাকিদের নাম বিভিন্নভাবে যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষ হলেই আমরা আরেকটি খসড়া প্রকাশ করব।’

গত বিধান সভার নির্বাচনে বিজেপি আসাম রাজ্যে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। তারা আওয়াজ তোলে যে, বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিম বাংলাদেশীরা আসামের স্থানীয় হিন্দুদের কাজকর্ম এবং কর্মসংস্থানে ভাগ বসাচ্ছে। এসব অভিযোগের পটভূমিতে একটি আদমশুমারি চালানো হয়। আদমশুমারির ফলাফল নিয়ে মুসলমান অধ্যুষিত বরপেটা, ধুবড়ি, করিমগঞ্জ, কাছাড়সহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয় তালিকা প্রকাশকে ঘিরে। নাগরিক নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা আসামের অর্থমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা রয়টার্সকে আগেই বলেছিলেন, “আসামে বসবাসরত ‘অবৈধ বাংলাদেশী’দের চিহ্নিত করতেই এনআরসি করা হয়েছে। এতে যাদের নাম থাকবে না, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।”
॥ দুই ॥
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়ায় স্থান পেয়েছে ৫৭.৭৫ শতাংশ বাসিন্দা। ওই খসড়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে বারাক উপত্যকার বাংলা ভাষাভাষী বাসিন্দাদের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় ধীরগতির প্রমাণ মিলেছে। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে আসামের মুসলিম বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তিনশুকিয়া, জোরহাট, দিবরুগড় জেলার বেশিরভাগ বাসিন্দা আসামী ভাষায় কথা বলেন। ওই তিন জেলার অধিকাংশ বাসিন্দাকে যাচাই বাছাই শেষে নিবন্ধন তালিকার প্রথম খসড়ায় স্থান দেওয়া হয়েছে। তিনশুকিয়ায় ৭৩ শতাংশ, জোড়হাটে ৮৭ শতাংশ এবং দিবরুগড়ের ৭৩ শতাংশ মানুষ নিবন্ধনের খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এর বিপরীতে বাংলা ভাষাভাষীদের আবাস বারাক উপত্যকার বাসিন্দাদের জমা পড়া আবেদনের মধ্যে খসড়া তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে ৪৬.৩ শতাংশ বাসিন্দাকে। কাছাড়, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জে নিবন্ধন চেয়ে করা ৪১ লাখ আবেদনের মধ্যে খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৯ লাখ বাসিন্দা।

এই তথাকথিত নিবন্ধনের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। আসামের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হলো বাঙালি এবং মুসলমান। আসামের আদমশুমারি অনুযায়ী আসামের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মুসলমান। এখন বলা হচ্ছে যে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে ধরা হবে ভিত্তি বছর। যারা ঐ সালের ২৪শে মার্চের আগে থেকে আসামে বসবাস করছেন তারা নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। অর্থাৎ ২৩শে মার্চের পর যারা আসাম এসেছেন তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে না। আর নিবন্ধনের আওতায় না এলে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বও থাকবে না। নিবন্ধনের উদ্দেশ্য হলো, এসব ব্যক্তির সকলকেই রাষ্ট্রহীন বা স্টেটলেস করা। নিবন্ধন চূড়ান্ত হয়নি এবং নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফলও প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রবীণ ও অভিজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, এই নিবন্ধনের ফলে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ নিবন্ধনের বাইরে থাকবেন। ফলে এই ৫০ লক্ষ মানুষ স্টেটলেস বা রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবেন। আরও বলা হচ্ছে যে, আনুমানিক এই ৫০ লক্ষ মানুষের প্রায় সকলেই বাংলাদেশী মুসলমান। মাত্র একটি ক্ষুদ্রাংশ হিন্দু। ফলে এই ৫০ লক্ষ মানুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হবে বা ঠেলে পাঠানো হবে।

১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের আগে যারা আসামে বসবাস করতেন বলে দাবি করছেন তাদেরকে সেই দাবির সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। বাঙালি মুসলমানরা বলেছেন যে, তারা গরিব এবং অশিক্ষিত। তাই তারা এসব কাগজপত্রের মর্যাদা বোঝেননি। তাই তাদের অনেকের কাছেই ঐসব কাগজপত্র নাই। এখন যারা ঐসব কাগজপত্র দাখিল করতে না পারবেন তারাতো সকলে স্টেটলেস হয়ে যাবেন এবং তাদেরকে চূড়ান্ত পরিণতিতে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো বা পুশব্যাক করা হবে। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছে আসামের রাজ্য সরকার। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে এখনও স্বীকৃতি মেলেনি প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দার। যাচাই বাছাই শেষে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

বিজেপি সরকারের অধীনে ভারতীয় নাগরিকের স্বীকৃতি পেতে তাদের ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে থেকে সেখানে বসবাসের দালিলিক প্রমাণপত্র দিতে হবে।
॥ তিন ॥
ভারতের আসামে প্রতীক্ষিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়ায় স্থান পেয়েছে ৫৭.৭৫ শতাংশ বাসিন্দা। ওই খসড়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে বারাক উপত্যকার বাংলা ভাষাভাষী বাসিন্দাদের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় ধীরগতির প্রমাণ মিলেছে। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে আসামের হিন্দু ও মুসলিম বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব আগেই স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই নিবন্ধন কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা। এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে আসাম গণপরিষদ, অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ও অন্য কিছু সংগঠন মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হওয়ার পর আসামে যাওয়া মানুষদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
আসাম থেকে বাঙালি খেদানোর নামে মুসলিম খেদাও অভিযান নতুন কোনো বিষয় নয়। কারণ এই বাঙালি খেদাও অভিযান শুরু হয়েছে অনেক আগেই। তবে ধর্মের কল বাতাসে নড়তে শুরু করেছে। এই ব্যাপারে ভারত সরকার তথা আসাম সরকারের সাথে সর্বাগ্রে বৈঠক করা উচিত ছিল বাংলাদেশ সরকারের। কারণ চূড়ান্ত পরিণামে যদি বিদেশীদের নামে বাঙালিদের খেদানো শুরু হয় তাহলে কিন্তু এই সব অতিরিক্ত মানুষকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দুইটি কারণে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রথম কারণ এই যে, ভারতের ভাষ্যমতে তারা বাংলাদেশী। সুতরাং তাদেরকে বাংলাদেশেই পাঠানো হবে। দ্বিতীয় কথা হলো এই যে, ওদের বিপুল জনগোষ্ঠী শুধুমাত্র বাঙালি নয় তারা মুসলমানও বটে। সুতরাং এই দুই কাউন্টেই তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হবে। এসব কারণে এই বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ উচিত ছিল সরকারের এবং সেই সাথে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর। এমনিতেই বাংলাদেশ ১০ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে বসে আছে। তার ওপর এই ২০ লাখ অসমীয়ার বোঝা যদি ঘাড়ে চাপে তাহলে এই দরিদ্র বাংলাদেশটি অতিরিক্ত ৩০ লাখ মানুষের বোঝা কিভাবে ঘাড়ে নেবে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবাদ না জানালে কি হবে ? বাংলাদেশেরও আগে প্রতিবাদ তুলেছেন, পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গত বুধবার পশ্চিম বঙ্গের আহম্মেদপুরে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় মমতা ব্যানার্জী দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি বহিষ্কারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এই ষড়যন্ত্রটি করা হচ্ছে আসামের জনসংখ্যার নিবন্ধনের মাধ্যমে। ৩১শে ডিসেম্বর রাতে নিবন্ধনের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। সেই প্রথম পর্বের রিপোর্টে অন্তত ২০ লক্ষ বাঙালি মুসলমানের নাম ঐ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। মমতা কেন্দ্রকে এই মর্মে হুশিয়ারি দেন যে, তারা আগুন নিয়ে খেলছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে রাজ্য থেকে বের করে দিতে চায়।

প্রথম যে খসড়াটি প্রকাশিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আসাম রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ অভিযোগ আসছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত জনসংখ্যার নামের তালিকা কিভাবে বের হয় তার ওপর নির্ভর করবে এই ইস্যুতে পশ্চিম বঙ্গ ও আসামের বিরোধ এবং অন্যদিকে বাংলাদেশ ও আসাম তথা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সম্পর্ক। তবে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন যে, রোহিঙ্গাদের মত বাংলাদের পশ্চিম ফ্রন্টেও আরেকটি রোহিঙ্গা সমস্যা উত্থিত হচ্ছে, ধীরে ধীরে।
Email: asifarsalan15@gmail.com

http://www.dailysangram.com/post/314315