৫ জানুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৩

চট্টগ্রামে আবারো বেড়েছে চাল ও পিয়াজের দাম

চট্টগ্রামে আবারো বেড়েছে চাল ও পিয়াজের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে মানুষ। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটের খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৫৬) বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে গেছে। চিকন চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে চাল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক বেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

তার উপর একই সময়ে পিয়াজের কেজি আবার ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বাজারে এমনিতেই শাক-সবজি, লবণ-মরিচ তেল-মসল্লা সবকিছুর দাম বাড়তি। তার উপর চাল ও পিয়াজের দাম বাড়া মানে গরিবের পেটে লাথি মারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু খুচরা বাাজারে নয়, নগরীর ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারেও বেড়েছে চাল ও পিয়াজের দাম। খাতুনগঞ্জের চালের আড়ত ইদ্রিস অ্যান্ড সন্সের মালিক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ভারত থেকে আমদানি মূল্য বাড়ায় দেশেও চালের মূল্য বেড়েছে। একইভাবে পিয়াজের আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান চাক্তাইয়ের পিয়াজ আড়ৎদার শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক গণি মিয়া। তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এই সময়ে দেশের বাজারে যেমন নতুন চাল আসছে। তেমনি পিয়াজও আসছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল সেটা জেনে যাওয়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। তারা বলেন, বাংলাদেশের বাজারে ভোগ্যপণ্যের অধিকাংশই ভারতীয় পণ্য। আর এসব পণ্যের আমদানিতে ভারত নির্ভর হওয়ায় তারা যা খুশি তা করছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের হাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের মতে, পণ্য আমদানির জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি না করা পর্যন্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এ চক্র থেকে বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই। ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহ-দু’য়েক আগে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে ভারতীয় পিয়াজের দাম ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। নতুন বছরের শুরু থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা। এর আগে ৯০টাকা পর্যন্ত উঠেছিল ভারতীয় পিয়াজের দাম। একইভাবে এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজি ৫০-৫৫ টাকায় নেমে আসে। আর এখন এই পিয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। এর আগে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছিল প্রতি কেজি পেয়াজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় আমদানি করা চাল প্রতিবস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। মিনিকেট ও কাজললতার দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২৫০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভারতীয় চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩টা। মিনিকেট ও কাজললতার দাম বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরি, বহদ্দারহাট, পাহাড়তলি বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট ৫৭ থেকে ৬৩ টাকা, নাজির শাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৭ টাকায়। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=99068