৫ জানুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৬

দুই জনের খোঁজ না পাওয়াতে পরিবার উদ্বিগ্ন

আটকের ৪৮ ঘণ্টা পর সাতক্ষীরার তালায় পাঁচ শিবির নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, পাঁচটি পেট্রোল বোমা, তিনটি ককটেল ও তিনটি জিহাদী বই উদ্ধার করার কথাও জানিয়েছে তালা থানা পুলিশ।

পুলিশের দাবি তালা উপজেলার কপোতাক্ষ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে গত বুধবার ভোরে গোপন বৈকঠকালে পাঁচ শিবির নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, এ অভিযানে শিবির ক্যাডারদের বোমা হামলায় তালা থানার এসআই মিজান, এএসআই মাহফুজ ও এএসআই রফিকুল গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তালা উপজেলার দোহার গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে ইনামুল সরদার, শাহজাতপুর গ্রামের শাহাজান খানের ছেলে হাবিবুর খান, শুভংকরকাটি গ্রামের রহিম শেখের ছেলে মহাসিন শেখ, শ্রীমন্তকাটি গ্রামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে সুজন মোড়ল ও উত্তর নলতা গ্রামের শেখ আসাদুজ্জামানের ছেলে আনোয়ার হোসেন সাগর।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি বলেন, তালা উপজেলার কপোতাক্ষ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার পশ্চিম পাশের একটি টিন শেডের ঘরে শিবিরের গোপন বৈঠক চলছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবির ক্যাডাররা বোমা নিক্ষেপ করে। এতে তালা থানার একজন এসআইসহ দুই এএসআই আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান, পাঁচটি পেট্রোল বোমা, তিনটি ককটেল ও তিনটি জিহাদী বইসহ পাঁচ শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের নামে নাশকতা সৃষ্টি, পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক কৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা কি ছিল
মঙ্গলবার সকালে তালা চরগ্রামের ব্িরজ এলাকার একটি মসজিদে ফজরের নামাজের পর শিবিরের জেলা সেক্রটারি আব্দুল গফুরসহ ৭ জন বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। পরে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করে ৫ জনকে তালা থানা হাজতে আটকে রাখে বলে আটককৃত পরিবারের দাবি। অন্যদিকে শিবিরের জেলা সেক্রেটারি আব্দুল গফুর ও শ্রীমন্তকাটি গ্রামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে সুজন মোড়কে অনত্র রাখে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ ৫ জনকে আটক দেখালেও বাকি দুজনকে আটক না দেখানোয় পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সঙ্গে আটক হওয়া সুজন মোড়লকে গতকাল আদালতে তোলা হলে তার পরিবারকে জানান, একই দিনে তার ভাই শিমুলকে ও পুলিশ আটক করে। তবে আটকের বিষয়ে পুলিশ বরাবরাই অস্বীকার জানায়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

http://www.dailysangram.com/post/313990