৪ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৫

ক্ষমতা সামর্থ্যহীনদের জন্য নয়

-মাসুদ মজুমদার

সময় আপেক্ষিক না বহতা নদীর মতো বহমান, সেই বিতর্ক তোলা থাক। তবে সময় ব্যাপক অর্থ বহন করে। ইংরেজ কবি বলেছেন- ‘সময়’ এক বৃদ্ধ যাযাবর। ইংরেজি এই কবিতাংশের সাথে অর্ধশিক্ষিত লোকজনও পরিচিত। বিধাতাও কালের শপথ করেছেন। এই সময়েই সভ্যতা পাল্টায়, স্থানান্তর হয়। শাসক ও শাসনের ভাঙাগড়া সময়কে এড়াতে পারে না। শাসক পারে না সময়ের বাঁধন ছিঁড়তে। শাসিতরাও সময়ের বেষ্টনী অতিক্রম করতে পারে না। এই সময় শুধু ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড বা দিন-সপ্তাহ, পক্ষ, মাস, বছর, দশক ও যুগ-শতাব্দীর হিসাব নয়। সময় কোনো আপেক্ষিক ধারণার নামও নয়। এটি প্রতীকার্থে সভ্যতার একক ধারণা যেমন বহন করে, তেমনি কালের স্রোতধারার এককত্বের একটি সূচকও তুলে ধরে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়টা বিতর্কিত। আলোচিত-সমালোচিত, কিন্তু সময়টি কারো জন্য থেমে থাকেনি। ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে এ সময়টি। তবে ভবিষ্যৎ বলে দেবে, এভাবে জাতীয় ইতিহাস ‘দখল’ কতটা দায়মুক্তি দেবে; কী পরিমাণ দায়বদ্ধ করে রাখবে।

সৌরবর্ষ অনুযায়ী, আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনাচার পরিচালিত হয়ে থাকে। এ পঞ্জিকার আন্তর্জাতিক আবেদনও কম নয়। অফিস-আদালত থেকে কূটনৈতিক আচার এরই আওতায়। বাংলা সন আমাদের ঋতুবৈচিত্র্যের সাথে খাপ খাইয়ে দেয়। ফসলি সন হিসেবে গাঁওগেরামে এর কদর বেশি। শহুরে জীবনে পয়লা বৈশাখের পান্তা-ইলিশের ভড়ং ছাড়া আর তেমন আবেদন বাংলা সনের নেই। চান্দ্রমাস অর্থাৎ হিজরি সাল আমাদের ধর্মীয় জীবনকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

সৌর ও চান্দ্রমাস নিয়ে এখন কোনো বিরোধ নেই। বাংলা সনও এখন গাণিতিক ও ব্যাকরণসিদ্ধ। আবার চাঁদ দেখা-না-দেখার চেয়েও বিজ্ঞানের উৎকর্ষ বিতর্কের জায়গাগুলো কমিয়ে দিয়েছে। তাই সাধারণ দৃষ্টিতে দূর আকাশে চাঁদ না দেখা গেলেও বিড়ম্বনার কোনো কারণ ঘটে না। সময় ও দিকনির্দেশনা পাওয়ার জন্য চাঁদ ও সূর্য মৌলিক ভূমিকা রাখে। এর স্বীকৃতি পবিত্র কুরআনেই রয়েছে। চাঁদ ও সূর্য শুধু সময় বাতলায় না- এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিলোকের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন। এর কক্ষপথ সৃষ্টিকর্তাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই হিজরি, ঈসায়ি ও বাংলা সনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সমন্বয় করে এগুলো কাজে লাগানোর মধ্যেই এর সার্থকতা। ইংরেজি নববর্ষ পালনে দ্বিধা-সঙ্কোচ অর্থহীন। দিবস পালনে বাড়াবাড়ি ও স্বকীয়তা ভুলে যাওয়াই দোষের।

আল্লাহ নিজেই ‘সময়ের’ শপথ করেছেন, সময়ের কসম খেয়েছেন। তাই সময় জাগতিক ধারণার সীমা অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক চৈতন্যের গভীর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আমরা যখন বলি, বৃথা সময় নষ্ট কোরো না। সময়ই জীবন। সময়ই টাকা। আবার যখন বলি, সময় বহতা নদীর মতো; সময় পেছনে তাকায় না। তখনো আমরা সময়কে অর্থবহ করে বুঝতে চাই না। সময় খারাপ বললেও আমরা একটা গণ্ডিবদ্ধ ধারণার মধ্যে পড়ে থাকি। মহাকালের স্রোতে আমরা কোন সরোবরে দাঁড়িয়ে আছি, তাও বিবেচনায় নেই না। মহাবিশ্বে আমার অস্তিত্ব কতটুকু? বিশালত্বের কাছে আমার অসহায়ত্বও ধর্তব্যের মধ্যে রাখি না। ক্ষমতা পেলে আস্ফালন করি কিন্তু সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভাবি না। আমাদের যারা সরকার পরিচালনা করছেন- তারা কি নিজেদের আইন ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে তুলে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন না? ক্ষমতার স্বার্থে তারা ন্যায়-অন্যায় ভুলে গেছেন। মানুষের অধিকার তাদের কাছে কি করুণার বিষয় হয়ে যায়নি? বিগত চার বছর তারা যেভাবে দুমড়ে-মুচড়ে ক্ষমতা চর্চা করছেন, তাতে কি মনে হয় তারা মৃত্যুচিন্তা করেন! নিজেদের দায়দায়িত্ব ইতিহাস থেকে সবক হিসেবে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিধাতার কাছে জবাবদিহি না করে পার পাবেন না।

আমাদের চোখের সামনে কত মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমাদের কারো জীবনই অমরত্ব পাবে না। দিনক্ষণ জানি না, কিন্তু মৃত্যু আমাদেরকেও পাকড়াও করবে তা নিশ্চিত জানি। তারপরও আমরা তারুণ্যকে বিনা হিসাবে যৌবনে পৌঁছে দিচ্ছি। যৌবনকে অবহেলায় ঠেলে দিচ্ছি বার্ধক্যের গহ্বরে। সুসময়কে আমরা অবজ্ঞা করে দুঃসময়ের কালো চাদরে ঢেকে দিচ্ছি, যা করার তা আজই করার কোনো তাড়না আমাদের নেই। কখনো খুব তাড়াহুড়া করছি, কখনো থাকছি একেবারেই নির্লিপ্ত। তা ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কী না করা হচ্ছে!

প্রকৃতির নিয়ম এমন যে, প্রত্যেক মানুষ যার যার অবস্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু কেউ অপরিহার্য নন। পৃথিবীতে কোনো মহামানব অমরত্ব পাননি। নবী-রাসূলকেও নির্দিষ্ট সময় ফুরানোর পর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। কোনো ধর্মের ধর্মীয় নেতা মৃত্যু রোধ করতে দুঃসাহস প্রদর্শনের ধৃষ্টতা দেখাননি। পৃথিবীতে অসংখ্য জাতি ও সভ্যতা সময়ের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কোনো সুশাসক যেমন জীবিত নেই, তেমনি মৃত্যু ঠেকাতে পারেননি কোনো দুর্বিনীত শাসক, কালজয়ী বীরপুরুষও। বিজ্ঞান সভ্যতার উৎকর্ষ দেয়, কিন্তু সময়কে অতিক্রম করে যেতে পারে না। তাই ফিবছর আমরা সালতামামি করি। নতুন বর্ষের নতুন দিনকে স্বাগত জানাই। একটি নতুন বছরের জন্য স্বপ্নের জাল বুনি। পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সেভাবে পথ চলার সাধ্যমতো চেষ্টাও করি। কিছু পাই, কিছু পাই না। পাওয়া-না-পাওয়ার মাঝেও আমরা একটা হিসাব মেলাই।

২০১৭ সাল ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক মায়াবী স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন লালিত, অনেক ক্ষেত্রে অসহনীয় যন্ত্রণার বছর। যারা ক্ষমতা চর্চা করেছেন দাপটের সাথে, আর যারা ক্ষমতার দাপটে পিষ্ট হয়েছেন- তাদের কারো হিসাব মিলছে না। কেউ বলছেন বছরটা কেটেছে নিরাপত্তাহীন এক অবর্ণনীয় কষ্টের ভেতর। তারা হয়তো বিষয়টি তাদের মতো করে বলেন। যারা বলেন, তারা শনৈঃশনৈঃ করে এগোচ্ছেন, তারাও পুরো সত্যটা বলেন না। কারণ গুম, অপহরণ, হত্যা, ফাঁসি, মামলাবাজি, ক্রসফায়ার, পুলিশি হয়রানি- কোনোটাই অস্বীকার করা যাবে না। এটা নিয়তি বা ললাটের লিখন বলে মেনে নেয়াও কঠিন। অথচ বেপরোয়া মানুষের পরিণতি কোনো যুগে কোনো দেশে ভালো হয়নি। প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করতে করতে এমন একটা সীমা অতিক্রম করে পথ চলা হচ্ছে- তাতে যেকোনো সময় পা পিছলে পড়ে যাওয়া বিচিত্র নয়।

বিদায়ী বছরে গণতন্ত্রহীনতার কারণে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে পরিবর্তন ঘটে গেছে, সেটাই এই বছরের সবচেয়ে বড় ক্ষত। কোথাও এ ক্ষতের স্থান দগদগে, পরিধি সাগরসম, কোথাও পর্বততুল্য। বিএনপি কাবু হলো, জামায়াত উজাড় হলো, আওয়ামী লীগ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠল- এগুলো স্থূল ভাবনা। জাতীয় পার্টি ও এরশাদ খেলারাম হতে হতে কোথায় গেলেন, এটাও বড় বিষয় নয়। ভারতের ‘আধিপত্য স্থায়ী’ হওয়ার বিষয়টিও একপেশে চিন্তার ফসল। ২৩ বছরে একবার মানচিত্র পাল্টেছে। আমরা এখনো স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যক্ষের ধনের মতো আঁকড়ে ধরে আছি। মূল্যায়নের এ দিকটাও তো ছোট নয়। অনেক অর্জন ম্লান হয়ে গেছে বেশুমার অপকর্মের কারণে। অনেক ভালো কাজ তলিয়ে গেছে অনেক বেশি দীর্ঘশ্বাসের জন্য। রাজনীতির কুৎসিত আচরণের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে বহু দিনে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রাতিষ্ঠানিকতা। নতুন বছর এর জের টানবে। ভবিষ্যৎ বইবে এর বোঝা।

পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অস্তিত্ব কতটুকু? সময়ের বড় ক্যানভাসে সতেরো সালটা কতটাই বা আর বড়। ৩৬৫ দিনের বেশি তো নয়। মহাকালের গর্ভে এর ঠাঁই কতটুকু! এই সীমাবদ্ধতার জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা যার যার অবস্থান থেকে কতটা সক্রিয় ছিলাম, দায়বদ্ধ ছিলাম? নিজ নিজ ভূমিকা পালনে তৎপর ছিলাম কতখানি- তার হিসাব মেলানোর তাগিদ ছোট নয়। কারণ, প্রত্যেক মানুষ আলাদা আলাদা সত্তা। তার হিসাব-নিকাশ আলাদা। জবাবদিহিতার ক্ষেত্রও পৃথক। পাওয়া-না-পাওয়ার খতিয়ানও অন্য মাত্রার। তাই যারা শাসন-শোষণের ক্ষেত্রে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন, তাদের যেমন আত্মসমালোচনার দায় আছে; যারা অনাচার ও দুঃশাসন প্রতিরোধ করতে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেননি, তাদেরও সময়কে মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত। হারজিত ও সাফল্য-ব্যর্থতা পরিমাপ করার সময় এখনই। পৃথিবী যোগ্যতমদের। সেই যোগ্যতার মানদণ্ডে নৈতিকতা অনুপস্থিত থাকা সম্ভব। তাই ক্ষমতার রাজনীতির কাছে করুণা ভিক্ষার সময় পার হয়ে গেছে। ‘সময়’ এখন প্রতিবাদ করার, অন্যায় কাজ প্রতিরোধ করার।

শুরুতেই সময়ের ব্যাপারে বিধাতার সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছি। আরো সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরলে বলতে হবে- ‘সময়ের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে। সেসব মানুষ ছাড়া, যারা সৃষ্টিকর্তার ওপর ঈমান এনেছে, ভালো কাজ করেছে, একে অপরকে ভালো কাজের তাগিদ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দিয়েছে।’

বিদায়ী বছরটা মাথায় রেখে যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার দাবি করেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন কিংবা যারা ভাবেন মজলুম-নিপীড়িত সবাই যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাবুন, আপনি কি শোষক না শোষিত, জালিম না মজলুমদের দলে, না ধৈর্যশীলদের সাথে, তাহলে অর্থবহ একটা সালতামামি করা এবং সামনের বছরের জন্য আগাম ভাবনা বৃথা যাবে না। কারণ, আল্লাহ অযোগ্য কাউকে অর্থহীন ভরসা জোগান না। সামর্থ্যহীনের গলায় ক্ষমতার মালা পরিয়ে দেন না। নৈতিকভাবে দুর্বল কিন্তু মানবিক গুণাবলি যার বেশি, ক্ষমতা তাকেই অবলম্বন করে দাঁড়ায়। সময়ও তাকে কুর্নিশ করে।

তা ছাড়া ভাঙার চেয়ে গড়ার সামর্থ্য ও ইচ্ছা যার প্রবল, জঞ্জাল সরানোর দুর্নিবার আকাক্সা যাকে তাড়া করে, পরিবর্তনের সাহস যার আছে, যোগ্যতাও তাকে সাহায্য করে। চিরায়ত নিয়ম অনুযায়ী নতুন বছরটি হবে যোগ্যতমদের। অযোগ্যরা ছিটকে পড়বেন শীতের শুষ্ক ঝরাপাতার মতো। সব যুগে, সব স্থানে ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর। স্রোতের অনুকূলে থাকা সাহস নয়, সুবিধাবাদ। স্রোতের ধারা পাল্টে দিয়ে যারা সামনে কদম বাড়ানোর হিম্মত রাখেন, ক্ষমতা তাদের পদচুম্বন করে। তাই বলে হঠকারিতা কিংবা অপরিণামদর্শিতাকে সমর্থন জোগাতে চাই না। নিজের নৈতিক শক্তি, সাহস ও জনগণের ইচ্ছা কাজে লাগানোর অদম্য বাসনাই মানুষকে সাফল্য এনে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেবো, কোনো ভালো ও মহৎ কাজ খারাপ পদ্ধতিতে হয় না এবং চিহ্নিত খারাপ কাজের কাজীরা শেষ পর্যন্ত পার পাবেন না।

২০১৮ সালকে স্বাগত জানানোর সাথে সাথে একটি সতর্কবাণীও উচ্চারণ করতে চাই। এ বছরটি নির্বাচনের বছর। নির্বাচন মানেই ক্ষমতার পরিবর্তন নয়। তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে বেশ কিছু পূর্বশর্ত পূরণ হওয়ার দাবি রাখে। সেসব পূর্বশর্ত পূরণে সরকারকে বাধ্যবাধকতার মধ্যে ফেলে দেয়ার দায় সবচেয়ে বেশি। এই দায় পূরণে ব্যর্থতার গ্লানি বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হবেÑ তবে জনগণের প্রত্যাশিত পরিবর্তন নাও হতে পারে।

এর কারণ, বহুলালোচিত একটি পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আরেক মেয়াদ থাকার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করবে’। তাতে প্রধান বিরোধীদলীয় জোটকে উল্লেখযোগ্য আসন পাইয়ে দিয়ে বিরোধী দলে বসাবে। অন্য দিকে বি টিম নিয়ে সরকার গঠন করে ক্ষমতা চর্চা করবে আওয়ামী লীগ। রাজনীতিতে দুয়ে দুয়ে চারের মতো এভাবে ফলাফল মিলিয়ে দিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। তা ছাড়া জনগণের মনোজগতের খবর ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কোনো লক্ষণ নেই।

masud2151@gmail.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/281961