৩ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:২০

চড়া মূল্যের শিকার ১২ কোটি মানুষ

চালসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ২০১৭ সালে। দেশে মাথাপিছু আয় বাড়লেও গত বছর তার কোনো সুফল পায়নি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২ কোটি মানুষ।
খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া মূল্য খেয়ে ফেলেছে তাদের বাড়তি আয়। ফলে বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ দেশের সার্বিক উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় কষ্টে আছে অনেক মানুষ। তাদের সঞ্চয় কমে গেছে। আর এ সময়ে যাদের আয় বাড়েনি, তাদের জীবনযাত্রার মান আরো নিচে নেমেছে। অতিদরিদ্র প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবনমানে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে ২০১৭ সালের পণ্য ও সেবা মূল্য।
২০১৭ সালের পণ্য ও সেবা মূল্য বিশ্লেষণ করে ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রতিবেদন-২০১৭’ প্রকাশকালে এসব তথ্য দিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮.৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৬ সালে যদি কারো ১০০ টাকা খরচ হতো, এখন ওই একই কাজে তাকে ১০৮ টাকা ৪৪ পয়সা খরচ করতে হয়।
এই ব্যয় শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়ের বাইরে। আগের বছরের তুলনায় পণ্য ও সেবা মূল্য বেড়েছে ৭.১৭ শতাংশ। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে যতটা বেড়েছিল, ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর পণ্য মূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে তার চেয়ে বেশি।

প্রতিবেদন থেকে আরো জানানো হয়, একটি পরিবারে প্রতিদিন দরকার হয় এমন সব পণ্যের দামই আগের বছরের চেয়ে গত বছর ৫ থেকে ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ তালিকায় চাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ,শাক-সবজি, মাছ-মাংস সবই রয়েছে। চালের মূল্য ২০ শতাংশেরও বেশি বাড়ায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব ধরনের সবজির দরও বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি। চাল ও সবজি ছাড়া কোনো পরিবারেরই টিকে থাকা সম্ভব নয়। পেঁয়াজের দর বেড়েছে আরো বেশি ৫৭.৫৭ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া লবণ, ভোজ্য তেলের মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দরও বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া বাসাভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বাড়ায় প্রতি মাসেই বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে সব পরিবারে। নিত্যপণ্যের মধ্যে শুধু আলু, মসুর ডাল, ফার্মের মুরগির ডিম ও রসুনের দাম আগের বছরের তুলনায় কমেছে। সব ধরনের মাছের দাম ৫ শতাংশের মতো বাড়লেও কই মাছের দাম ৪ শতাংশ কমেছে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৬০০ ডলারের বেশি। বার্ষিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিও ৭ শতাংশের বেশি। তবে এখনো প্রায় দুই কোটি মানুষ অতি দরিদ্র। দেশের সিংহভাগ মানুষ হতদরিদ্র, নিম্ন আয় ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ভুক্ত। পণ্য মূল্য বাড়লে তাদের জীবনমানে বিরূপ প্রভাব পড়ে। হতাশা আর অসন্তোষ বাড়ে। ২০১৭ সালে চালসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ দেশের সার্বিক উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় অনেকে কষ্টে আছে। অনেকের সঞ্চয় হ্রাস পাচ্ছে। এ প্রবণতার প্রতিকার জরুরি। না হলে স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে।

ক্যাবের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে সন্দেহ নেই। তবে তার সুফল অন্তত ২০১৭ সালে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পর্যায়ে পৌঁছেনি। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী আরো অনেক বেশি ধনী হয়েছে। আমি গরিব হয়েছি। কিন্তু দুজনের গড় আয় ও সম্পদ বেড়েছে। তবে তা সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে গেছে। এটা ঝূঁকিপূর্ণ। ’
অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ দিয়ে গোলাম রহমান বলেন, উন্নয়নের সুফল থেকে সাধারণ মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এটি করতে হলে ১২ থেকে ১৫টি খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিহ্নিত করে সেসব পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি পৃথক সেল বা স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রণালয়ও গঠন করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার দায়িত্বে তাঁর কার্যালয়ে একটি পৃথক শাখা প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়কার উদাহরণ দিয়ে ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘আমি একসময় একজন প্রেসিডেন্টের অফিসে নিযুক্ত ছিলাম। তখন দেখতাম, প্রেসিডেন্টের লোকজন প্রতিদিন বাজার থেকে মোটা চালের দর সংগ্রহ করতেন। তাঁরা চেষ্টা করতেন, মোটা চালের দর কিভাবে ১০ টাকার মধ্যে রাখা যায়। দাম ১০ টাকার মধ্যে থাকলে তাঁর গদি ঠিক থাকত। ’ কোন প্রেসিডেন্টের সময় এটি দেখেছেন, তা উল্লেখ না করে তিনি বলেছেন, এটি অনেক আগের কথা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গত কয়েক বছরে দেশে বেশ কিছু আইন হয়েছে। তবে তার বিধিমালা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। এগুলো নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইন অনুযায়ী মুনাফা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হলে মানুষ মুক্তবাজার অর্থনীতির সুবিধা পাবে।

স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দর গত বছর বেশি বেড়েছে—এ কথা উল্লেখ করে ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের। তাদের দৈনিক আয় দুই ডলার (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা)। এরা সবাই পণ্য মূল্য বাড়ার অভিঘাতের শিকার। তিনি আরো বলেন, বাজারে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, নজরদারি নেই। অতি মুনাফা আছে, চাঁদাবাজি আছে। সরকার মাথাপিছু আয় বাড়াতে অনেক কিছু করলেও মানুষের ব্যয় কমানোর জন্য সরকারের কোনো তৎপরতা নেই।
ক্যাবের তথ্য মতে, সাধারণ মানুষের প্রধান ভোগ্যপণ্য মোটা চালের গড় দাম ২০১৬ সালে ছিল প্রতি কেজি ৩৫.৪১ টাকা, ২০১৭ সালে তা ৪৩.৮০ টাকা হয়েছে। এক বছরে মোটা চালের দর বেড়েছে ২৩.৬৮ শতাংশ। মোটা চালের গড় মূল্য ৪৩.৮০ টাকা বলা হলেও বছরের মাঝখানে তা ৫০ টাকাও অতিক্রম করে। গত বছর চিকন চালের দাম মোটা চালের চেয়ে কম বেড়েছে। ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর মিনিকেটের দর বেড়েছে ২১.৮৭ শতাংশ এবং নাজিরশাইলের দর বেড়েছে ১৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ ধনীদের খাবারের চালের তুলনায় গরিবদের খাবারের চালের দাম গত বছর বেশি বেড়েছে।

গত মাস থেকে চালের দাম আবার কিছুটা বাড়ার কারণ হিসেবে ক্যাব বলেছে, আমনের উৎপাদন কম হয়েছে, ডলারের দর বেড়েছে—এই বিবেচনায় সরকার চালের সংগ্রহ মূল্য গত বছরে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়িয়ে এ বছর ৩৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে চালের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সরকারের গুদামে চালের মজুদ ১০-১২ লাখ টনে উন্নীত করতে পারলে এবং ১০ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ পরিবারকে যে চাল দেওয়ার কথা, তা চালু রাখতে পারলে দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে নামবে বলে আশা করা যায়।

সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ পদ্ধতি পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছে ক্যাব। সংস্থাটি বলেছে, ধান কাটা শুরু হওয়ার আগেই সরকার ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা ও সংগ্রহমূল্য স্থির করে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ধান-চাল সংগ্রহে দেরি হয়। ফলে মৌসুমে কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়। লাভবান হয় মিল মালিক ও মধ্যস্বত্ব ব্যবসায়ী। অনেক সময় রাজনৈতিক সুবিধাভোগী শ্রেণি মৌসুমভিত্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ী সেজে সরকার নির্ধারিত মূল্যের সুবিধা ভোগ করে। তাই ধান-চাল সংগ্রহে প্রচলিত প্রথা বাদ দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ক্যাব সভাপতি। তিনি বলেন, এতে কৃষক, ভোক্তা ও সরকার—সব পক্ষই লাভবান হবে।
রপ্তানিকারকদের অব্যাহত চাপে ডলারের দর ৭৯ থেকে ৮৪ টাকা করা হয়েছে। এতে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও যাতে পণ্যমূল্য না বাড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছে ক্যাব। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমছে ও স্থিতিশীল আছে। কিন্তু দেশের বাজারে তা কমছে না, কমলেও সমপরিমাণ কমে না। দেশের বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে আরো বেশি ব্যবসায়ীকে পণ্য আমদানিতে উৎসাহিত করতে বলেছে সংস্থাটি।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘উৎপাদনের সুফল সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। আমাদের ভাই-দাদা, অসংখ্য শিক্ষিত, এমএ পাস করেছে, তারা সবাই বেকার। এই বেকারত্ব কমাতে হবে। ’
গত বছর গ্যাসের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। ফলে প্রতি মাসে বাড়তি বাড়িভাড়ার সঙ্গে বাড়তি বিলও যোগ হয়েছে প্রতি পরিবারে। বিদ্যুতের দাম বাড়ার বদলে কমানো উচিত ছিল বলে মনে করে ক্যাব। সংস্থাটির মতে, ‘সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবর্তে ব্যয়বহুল রেন্টাল কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ, চুক্তি পরিবর্তন করে মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফার্নেসের পরিবর্তে ডিজেল ব্যবহার, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় ক্যাপাটিসি পেমেন্ট যৌক্তিক হারে না কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় না করায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি ব্যয় হচ্ছে। ’

গোলাম রহমান বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর দুই বার্নার চুলার গ্যাসের মূল্য ২৩.০৮ শতাংশ, আবাসনে বিদ্যুতের মূল্য ৬.৪৪ শতাংশ বেড়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ ধীরগতিতে চলছে বা স্থবির হয়ে আছে। এগুলোর বাস্তবায়ন দ্রুত হলে এবং নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দর কমায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) অতীতের সব লোকসান পুষিয়ে লাভ করছে। তাই জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কমানো দরকার। তিনি আরো বলেন, গত বছর বাসাভাড়া বেড়েছে ৮.১৪ শতাংশ।

বাড়িভাড়া আইন সংশোধন করে ভাড়াটিয়ার স্বার্থ রক্ষা ও ‘বাড়িভাড়া কমিশন’ গঠন করার সুপারিশ করেছে ক্যাব।
২০১৭ সালে গণপরিবহনে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি—এ কথা উল্লেখ করে ক্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে উবার ঢাকায় ২০-২২ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে। অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেন হওয়া সত্ত্বেও যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন ব্যয় কমেনি। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকাবস্থায় ঢাকায় পাঁচটি কম্পানির মাধ্যমে এক হাজার ৫০০ বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এখন কী হবে, তা কেউ জানি না।
ক্যাব বলেছে, স্বাস্থ্য খাতের সেবা সম্প্রসারণ হলেও মান আগের মতোই প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যয়বহুল। হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবলের অভাব, বেসরকারি হাসপাতালের দালালের কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে ভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। জনস্বার্থে ডাক্তারদের ফিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ, ওষুধের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সুলভে মানসম্মত চিকিৎসা ও সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হলে ভোক্তারা লাভবান হবে, সরকার প্রশংসা পাবে।

গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি বস্তুনিষ্ঠ হতে, তবে আমাদের নমুনা সংখ্যা ছোট। শুধু ঢাকা শহরের কয়েকটি বাজার থেকে পণ্যমূল্য সংগ্রহ করে এটি করা হয়েছে। সারা দেশের চিত্র এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিন্ন হতে পারে। রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবা-সার্ভিসের মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। ’

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2018/01/03/585069