২ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৫

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’

সাবেক কাউন্সিলরসহ নিহত ৩

তিন জেলায় গত রোববার গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নিহত হয়েছেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ মিয়া (৪০)। বাকি দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়েছে ফেনী সদর ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে।

এর আগে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় শনিবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এক ব্যক্তি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) রোববার দেওয়া তথ্যমতে, গত বছর কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেছে ১২৬ জনের।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মাগুরুন্ডা গ্রামে একটি মাদকের আস্তানায় একদল লোকের মাদক সেবনের খবর পাওয়া যায়। সেখানে চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ মিয়াও ছিলেন। পুলিশ আস্তানাটি ঘেরাও করলে মাদক ব্যবসায়ীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে ইউনুছ গুলিবিদ্ধ হন। চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক আতাউর রহমান আহত হন। তাঁদের চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইউনুছকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পৌরসভার দক্ষিণ হাতুন্ডা মহল্লার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যা ব-৭-এর ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল বলেন, সদর উপজেলার ধর্মপুর ঈদগাহের পাশে একদল মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্রসহ নাশকতার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে খবর পেয়ে রোববার রাতে র্যা ব সদস্যরা সেখানে যান। তখন মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালান। আত্মরক্ষার্থে র্যা বও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, একটি দেশীয় বন্দুক, সাতটি গুলি ও ৬৫৬টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মো. রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানসহ ১০টি মামলা রয়েছে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর বাজারের পাশ থেকে ডাকাত লুৎফর রহমানকে (৪০) রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ১২টার দিকে পুলিশ তাঁকে নিয়ে নয়াপাড়ায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুর্বৃত্তরা পিছু হটার পর লুৎফরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার চানপুর গ্রামে। লুৎফরের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি, চুরি, পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।

http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1399571/