৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৮:৪৭

‘দূর নীতি’ দিয়ে দুর্নীতি দূর করা যায় না

তৃতীয় নয়ন

মীযানুল করীম


দুর্নীতি আমাদের সমাজে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ ব্যাধি হিসেবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে আছে বহুদিন ধরে। সাদা চামড়ার ঔপনিবেশিক শাসকদের আমলেও এই দুর্নীতির প্রবণতা ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এরপর উপমহাদেশ স্বাধীন হলে বাদামি চামড়ার শাসকদের সময়ে দুর্নীতির থাবা বিস্তৃত হতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় দুর্নীতি সর্বব্যাপী, সর্বগ্রাসী ও সর্বপ্লাবী হয়ে উঠেছে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশতকে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। এ দেশের গণমানুষ নিশ্চয়ই সমাজ ও সরকারে দুর্নীতি দিন দিন বেড়ে যাওয়ার জন্য স্বাধীনতা চায়নি কিংবা কল্পনাও করেনি যে, স্বাধীন স্বদেশে দুর্নীতির মানবগুলো একেকটা দানব হয়ে স্বাধীনতাকে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অপব্যবহার করবে, আর দেশটি বারবার হবে ‘দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’। প্রায় দেড় লাখ কিলোমিটারের এই শ্যামল বাংলাদেশ বিশ্বে আগে পরিচিত ছিল ‘দারিদ্র্য আর দুর্যোগের দেশ’ হিসেবে। গত কয়েক দশকে এর সাথে যোগ হয়েছে দুর্নীতির মতো গুরুতর বিষয় (অনেকের মতে রকমারি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা দুর্ভাগা দেশটির বৈশ্বিক পরিচিতি ঘটার আর একটা কারণ)।

যা হোক, এখন ‘টক অব দি কান্ট্রি’ হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কিছু উক্তি। তিনি এবার তার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে একপর্যায়ে বললেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘুষ খান। কিন্তু সহনীয় মাত্রায় খান। আমার এটা বলার সাহস নেই যে, ঘুষ খাবেন না। তা অর্থহীন হবে।’
বাংলাদেশে যখন ‘স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি’র নেতৃত্বে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল দেশ গড়ার মহাকর্মকাণ্ড চলছে, তখনো দুর্নীতির রাহুগ্রাস কত বড় ভয়ঙ্কর, তা বোঝা যাচ্ছে একজন মন্ত্রীর এই ব্যর্থতা ও অসহায়ত্ব এবং তিক্ত বাস্তবতার স্বীকারোক্তি থেকে। কথা হলো, ঘুষ-দুর্নীতির এত যে তাণ্ডব, এর উৎস কি উপরে নয়? কারণ পচন শুরু হয় মাথা থেকে। রাঘব বোয়ালরা সৎ হলে চুনোপুুঁটিরা অসৎ হওয়ার সাহস পায় না (দুদক বোধ হয় এখনো এটা বুঝতে পারেনি)। শিক্ষামন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে তাই অকপটে বলেছেন, ‘খালি যে অফিসাররা চোর তা নয়, মন্ত্রীরাও চোর। আমি চোর। এ জগতে এমনই চলে আসছে। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রীর এসব কথাই সাক্ষ্য দেয়, অমুক চোর, তমুক মহাচোরÑ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এসব গালি দিয়ে দলীয় লোকজনের হাততালি পাওয়া গেলেও এর দ্বারা নিজেদের সততা প্রমাণিত হয় না। তাই বলা হয়, ‘আপনি আচরি ধর্ম অপরে শেখাও।’

‘ঘুষ খান, তবে সহনীয় করে খান’। এ কথা শুনে মনে পড়ল একটা ঘটনা। এক বাসায় নিয়মিত দুধ দিয়ে যেত বিক্রেতা। দেখা গেল, দিন দিন দুধ পাতলা হচ্ছে। অর্থাৎ এতে পানি মেশানোর হার বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গৃহকর্তা ভাবলেন, দুধে পানি মেশাতে নিষেধ করলেও দুধওয়ালা শুনবে না। অতএব, তাকে ভিন্ন উপদেশ দিতে হবে। তিনি দুধ বিক্রেতাকে বললেন, ‘দুধে পানি তো মেশাবে জানি, তবে সেটা একটা সীমার মধ্যে থাকা দরকার। এখন যত পানি দিচ্ছ, এতে আর দুধের কোনো স্বাদই থাকে না।’
শিক্ষামন্ত্রী তার বহুলালোচিত বক্তব্যটি দিয়েছেন গত ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষা ভবনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের স্টাফের উদ্দেশে। ঢাকার শিক্ষা ভবনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এখানে ঘুষ-দুর্নীতির যে ভয়াবহ ‘ঐতিহ্য’ আছে, সে ক্ষেত্রে ওই অধিদফতরের বেশ ‘সুনাম’ শোনা যায়। খোদ মন্ত্রীও এ ব্যাপারে পুরো ওয়াকিবহাল। তা তার বক্তব্যেই স্পষ্ট। প্রশ্ন হলো, এই মন্ত্রী তো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন অনেক দিন ধরে। তিনি এত করিৎকর্মা হয়েও নিজের আওতাভুক্ত দফতরগুলোর দুর্নীতি এত দিনেও দূর করতে পারলেন না কেন? আমরা সবাই দেখছি, শিক্ষামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় বিশেষত ২০০৯ সাল থেকে নানা কৃতিত্ব দাবি করছেন। বছরের প্রথম দিনেই পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া এবং ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার প্রসারসহ নানা অবদানের সাড়ম্বর প্রচারণা চলছে নিরন্তর। কিন্তু সবার সামনেই দুর্নীতির বেড়া যে ফসলের ক্ষেত খেয়ে ফেলছে, এর দায় কি নিয়মমাফিক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষব্যক্তির ওপর বর্তায় না?

শিক্ষামন্ত্রীর বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হলেও নিন্দা-সমালোচনা থামেনি সঙ্গত কারণেই। বরং মন্ত্রী আসলে সেদিন কী বলেছিলেন, হুবহু সে কথা জানার আগ্রহ বেড়ে যায় জনমনে। এই প্রেক্ষাপটে ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রী সাংবাদিকদের ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের রীতিমাফিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব না দেয়ায় বিষয়টি প্রশ্নবোধক রয়ে গেল।
শিক্ষামন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এক দিকে ব্যাখ্যামূলক, অন্য দিকে প্রশ্নবোধক। তার অভিযোগ, কিছু মিডিয়া তার বক্তব্য তুলে ধরেছে খণ্ডিতভাবে এবং কোনো কোনো বিশিষ্টজন এই খণ্ডিত ও ভিত্তিহীন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। মিডিয়ায় স্থান ও সময়ের অভাবে কিংবা অন্য কোনো কারণে কারো বক্তব্য পুরোটা দেয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইমেজ রক্ষার্থে তার ফালতু, বাজে, হাস্যকর কিংবা বানোয়াট কথা এড়িয়ে শুধু ‘ভালো’ কিছু কথা প্রচার করতে দেখা যায়। এটাও খণ্ডিত বক্তব্য উপস্থাপনের নজির। তবে ‘খণ্ডিত’ মানেই ‘ভিত্তিহীন’ নয়।

‘সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাওয়া’ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যখন আসে, তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ছিল সর্বাধিক প্রকট। মন্ত্রীর ভাষায়Ñ ‘তখন অনেক শিক্ষক কান্নাকাটি করে আমাকে বলেছেন, এক মাসের বেতন পুরোটাই ঘুষ দিলে পরিবার নিয়ে কিভাবে চলব? ঘুষের মাত্রা আরেকটু সহনীয় হলে বাঁচতাম।’ এসব দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ‘ঘুষের সহনীয় মাত্রা’, ‘অফিসাররা চোর’, ‘মন্ত্রী চোর’ প্রভৃতির উদ্ধৃতি দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। অবশ্য এসব কথা কার বক্তব্যের ‘উদ্ধৃতি’, সে রহস্য রয়ে গেল। এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা অতিষ্ঠ ও অনন্যোপায় হয়ে বলতে পারেন, ‘ঘুষ আরো কম নিলে বাঁচা যেত।’ কিন্তু যাদের দায়িত্ব হলো, সাহস ও সততার সাথে পদক্ষেপ নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা, তারা বলতে পারেন না, ‘খাবেন তো খান, তবে সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খান।’ কারণ, এটা বলার অর্থ, দুর্নীতিকে মেনে নেয়া এবং ঘুষকে প্রশ্রয় দেয়া। সরকার বা প্রশাসনের যা দায়িত্ব, তা এড়িয়ে যাওয়া কিংবা তাকে খাটো করে দেখার কোনো উপায় নেই। ঘুষের কোনো সহনীয় বা অসহনীয় মাত্রা থাকতে পারে না। যা অন্যায়, তার পরিমাণ কম-বেশি হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটা ন্যায়সঙ্গত নাকি অন্যায়? এক মণ দুধে গরুর ‘চনা’ এক ফোঁটা না ১০ ফোঁটা পড়ল, তাতে কিছু যায় আসে না। গোমূত্র বা চনা সামান্য পড়লেই দুধ খাওয়ার সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে যায়।

যাক, শুধু যে একটি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কোনো দফতরই কেবল ঘুষের ডেরা, তা নয়। প্রশাসন এবং এর বাইরেও ঘুষসহ নানা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা প্রভৃতি যে বহু আগেই ‘সীমা ছাড়িয়ে গেছে’, তা জনগণ হাড়-হাড্ডিতে টের পাচ্ছে। সমাজ ও সরকারে দুর্নীতি কমেছে না বেড়েছে, ঘুষ ছাড়া কাজ হয় কি না, বাস্তবে টাকার না নীতির জোর বেশি, এসব নিঃসন্দেহে তারাও জানেন যারা নীতিনির্ধারক ও রাষ্ট্রচালক। দেশের মানুষের বিশ্বাস, তারা হয়তো জেনেও অনেক কিছু আড়াল করে শুধু নিজেদের সাফল্যের বয়ান আর কৃতিত্বের কথার অব্যাহত প্রচারণায় মেতে থাকেন।

দুর্নীতি দূর করার জন্য আমাদের দেশে অতীত থেকে কম তোড়জোড় চলেনি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে, আন্তর্জাতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কত প্লান-প্রোগ্রাম, প্রচারণা ও প্রণোদনা। তবে ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা দুর্নীতিকে গালি দিয়ে তালি পেলেও সৎ ও নীতিবান মানুষকে খালি হাতেই ফিরতে হয়। তাহলে দুর্নীতি উৎখাতের এত সিদ্ধান্ত, ঘোষণা, পদক্ষেপ ও প্রপাগান্ডার পেছনে কেন সময়, অর্থ ও শ্রম ব্যয় করা হচ্ছে? দুর্নীতির শিকড় উপড়ানো দূরে থাক, এই বিষবৃক্ষের চারা কেন আজ মহীরুহে পরিণত হয়ে দেশের বাতাস দূষিত করার সুযোগ পাচ্ছে? আসলে দুর্নীতি দমনের কাজ সহজ হবে, যখন এর উৎস ও প্রজনন বন্ধ করার গুরুত্ব অনুধাবন করা হবে। রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি কাম্য ও অধিক ফলপ্রসূ। দুর্নীতি একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। তাই এর উচ্ছেদের জন্য আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি নৈতিক প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে হবে। তা হলো, দুর্নীতি যে সুনীতি বা নৈতিকতার শত্রু, মানবতার অমর্যাদা, সর্বোপরি দেশ-জাতির জন্য ভয়ানক ক্ষতিকরÑ এই উপলব্ধি সৃষ্টি করতে হবে সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে। এ জন্য মানসিকতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। তার সাথে চাই দুর্নীতি রোধে সবার ঐক্যবদ্ধ তৎপরতা। অর্থাৎ ভালো মানুষেরা ঘরে বসে দুর্নীতিকে ঘৃণা করলেই তা কমবে না, বরং সামাজিক, প্রশাসনিক ও নৈতিক আইনগতসহ সব পন্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে সৎ সাহসের সাথে। দেশের নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবেÑ দুর্নীতি শুধু আর্থিক ব্যাপার নয়, এটা সমাজ ও প্রশাসনের নৈতিকতার ভয়াবহ সঙ্কট নির্দেশ করে। অর্থের বিষয় সরাসরি সংশ্লিষ্ট না থাকলেও দুর্নীতি হতে পারে। নীতির পরিপন্থী সব অন্যায় অনাচারই ‘দুর্নীতি’র বৃহত্তর সংজ্ঞার আওতায়। এমন নীতি দরকার দুর্নীতির মূলোচ্ছেদের জন্য, যা উৎসারিত হবে জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্ববোধ থেকে এবং যা প্রণয়ন করবে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব। অন্যথায় সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে সাংবিধানিক নির্দেশও হয়ে পড়বে অকার্যকর। নীতিমালা তৈরি করতে হবে দেশবাসীর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং তাদের কল্যাণের উদ্দেশ্যেই। সঠিক নীতি প্রণীত ও অনুসৃত হলে জনগণ সেটাকে তাদের ‘কাছের নীতি’ মনে করবে। আর কোনো অবাস্তব, দায়সারা, স্ববিরোধী ও অস্পষ্ট নীতি যদি অসৎ ও ধূর্ত নেতৃত্ব চাপিয়ে দিতে চায়; দুর্নীতি প্রতিরোধসহ যেকোনো ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকদের থেকে তা দূরেই থেকে যাবে। এ ধরনের ‘দূর নীতি’ দিয়ে দুর্নীতি দূর করা তো বটেই, উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানোও কোনো দিন সম্ভব হবে না।

পুনশ্চ : (ক) একবার টেলিফোন বিলের ব্যাপারে টিঅ্যান্ডটির একটা বড় অফিসে গেলাম। যার কাছে কাজ ছিল, সেই কর্মচারী যেমন সুদর্শন, তেমনি অমায়িক। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, আমাদের দেশের কোনো সরকারি অফিসের লোক একজন কায়েন্টের সাথে এত বিনয়ের সাথে কথা বলতে পারেন। যা হোক, কিছুক্ষণের মধ্যে কাজ সেরে উঠে চলে আসছি। এমন সময় তিনি বললেন, ‘কিছু দিয়ে গেলেন না?’ শুনে যেন আমার লজ্জা পাওয়ার কথা। এবার তিনি জানালেন ওই অফিসের মূলনীতি : ‘এখানে কিছু তো দিতে হয়।’ (খ) তহশিলদারের অফিসে যেতে হলো জমির খাজনার ব্যাপারে। একজন তরুণ কর্মচারী কাগজপত্র দেখে জানালেন আইনমাফিক দেয় খাজনার পরিমাণটা। সাথে সাথে বলতে ভুললেন না, ‘অবশ্য understanding-এ আসলে ভিন্ন ব্যাপার।’ (গ) ইংরেজি কাসে শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশ একদিন দুর্নীতিমুক্ত হবে’Ñ এ বাক্যটি কোন ঞবহংব? বেশ স্মার্ট একটা ছাত্র দাঁড়িয়ে জবাব দিলোÑ ‘স্যার, এটা Future Impossible Tense’।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/280940