৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৮:৪৬

রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ২০১৭

মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান : ২০১৭ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে ১২০টি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে। এ বছর নিহত ১২০ জনের আওয়ামী লীগের হাতে ৬৫ অর্থাৎ ৫৪.১৭%, ছাত্রলীগ ২৫ অর্থাৎ ২০.৮৩%, যুবলীগ ২৩ অর্থাৎ ১৯.১৭%, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ২ অর্থাৎ ১.৬৭%, প্রজন্ম লীগ ১ অর্থাৎ ০.৮৩%, বিএনপি ২ অর্থাৎ ১.৬৭%, জাতীয় পার্টি ১ অর্থাৎ ০.৮৩% এবং জাসদের হাতে ১ জন অর্থাৎ ০.৮৩% খুন হয়। উল্লেখ্য, হত্যাকান্ড আরো বেশী হলেও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত না হওয়া এবং সব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ না হওয়ায় সেগুলো এখানে সংযোজন করা সম্ভব হলো না।

আওয়ামী লীগ : (১) ১০ জানুয়ারি শরীয়তপুরের জাজিরায় মাদবরকান্দি গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও বড়কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম সিরাজ সরদার এবং সাবেক চেয়ারম্যান সফি খলিফার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হোসেন খা নামে একজন নিহত হয়, (২) ১৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জে দিরাইয়ে ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া জারলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে তাজুল ইসলাম, (৩) শাহারুল ইসলাম ও (৪) উজ্জল মিয়া নিহত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান এবং দিরাই-শাল্লা এলাকার সাবেক এমপি সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের অনুসারী যুবলীগ নেতা একরাম হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্বের ফলে এ ঘটনা ঘটে, (৫) ১৮ জানুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ছয়ঘরিয়া গ্রামে ওমান প্রবাসী সফি আহমেদের স্ত্রী আকলিমা আক্তার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার সফি উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় এবং ৪ দিন পর ফেনী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় পুলিশ সফি উদ্দিনের শালিকা হালিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে, হালিমার দেয়া তথ্য অনুসারে সফি উদ্দিন মেম্বারকে গ্রেফতার করে পলিশ। বিলম্বে রাজনৈতিক যোগ সূত্র প্রকাশ হওয়ায় ঘটনাটি ২০১৭ প্রকাশ হলো ও (৬) ৩১ জানুয়ারি নড়াইলের সদরে দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দলীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান ও তার ছেলে আশিকসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

(৭) ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে গুলী বিনিময়ে আহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলকে ৩ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়। এ দিকে নিহত সাংবাদিক শিমুলের বৃদ্ধা (৮) নানী রোকেয়া খাতুন এই শোক সইতে না পেরে ৩ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, (৯) কুষ্টিয়া সদরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঠপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইদ্রিস আলী নামে একজন নিহত হয়। জিয়ারখী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়, (১০) ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের ওসমানীনগরের বাংলাবাজার হাতানিপাড়ায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ওরফে জগলু চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয় ও (১১) ২৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটের ওসমানীনগরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সহিংসতায় আহত সোহেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

(১২) ৪ মার্চ নোয়াখালী সদরে আন্ডারচর ইউনিয়নে দলীয় কোন্দলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাশেম বাজার থেকে ফেরার পথে খুন করে দলীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ, (১৩) ১৭ মার্চ টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও (১৪) মামুন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা এবং এমপি আমানুর রহমান খান রানা পরিবারের সংশ্লিষ্টতা উদঘাটন হয়। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে নাই। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য বিলম্বে পাওয়ায় ২০১৭ তথ্যটি করা হলো ও (১৫) ২৯ মার্চ ঢাকার আশুলিয়ায় নয়ারহাট বাজারে বালুমহল ও ঝুট ব্যবসা নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে আব্দুর রহীম নামে একজন নিহত হয়। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ চেয়ারম্যান গ্রুপ ও পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
(১৬) ১০ এপ্রিল নোয়াখালীর হাতিয়ায় চরকিং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের ভাই আশরাফ উদ্দিন। গত ৩০ মার্চ আশরাফ বরিন্দ্র গ্রুপের হাতে আহত হয়, (১৭) ১৩ এপ্রিল নোয়াখালীর হাতিয়ায় চরকিং ইউনিয়নে শুল্লাকিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে নিহত হয় নূর আলম নামে এক যুবলীগ কর্মী, (১৮) ১৫ এপ্রিল পাবনার বেড়ায় হাটুরিয়া চালাপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড সভাপতি রজব আলী প্রামাণিক তার স্ত্রী জোবেদা খাতুনকে পিটিয়ে আহত করে, পরে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ১৬ এপ্রিল মারা যায় জোবেদা, (১৯) ১৮ এপ্রিল কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে ফারুক ও (২০) সাইদুর রহমান নামে দুই কর্মী খুন হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আশরাফ এবং আলা উদ্দিন আনিস গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়, (২১) ১৯ এপ্রিল নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শারফিন নামে একজন নিহত এবং মাসুদ মিয়া আহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও অপর নেতা হাফিজুর রহমান সরকার সাহেদ গ্রুপের মধ্যে এই ষংঘর্ষ হয়, (২২) ২০ এপ্রিল নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ও সংঘর্ষে আহত মাসুদ মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। উল্লেখ্য, মাসুদ মিয়া ১৯ এপ্রিল সংঘর্ষের সময় আহত হয় ও (২৩) ৩০ এপ্রিল ফরিদপুরের শালথায় গোয়ালপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জিয়া শেখ নামে একজন নিহত হয়। আটঘর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল হাসান খান সোহাগ এবং পিকুল খান গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

(২৪) ৮ মে নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ীসহ সাত গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন ও (২৫) আরশ আলী নিহত হয়। আওয়ামী লীগ বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন সভাপতি সাহেদ সরকার এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়, (২৬) ১৬ মে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে টেকবাজ ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে স্বন্দ্বীপ পৌর যুবলীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল রানা বাবলু ওরফে ভতা বাবলু খুন হয়, (২৭) ২৫ মে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নে মহসীন মোড়ে ইউপি নির্বাচন উত্তর দলীয় কোন্দলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোফাজ্জল হোসেন নামে একজন খুন হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্রোহী বিজয়ী জারজিদ মোল্লা এবং পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটে, (২৮) ২৫ মে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও (২৯) তার দেহরক্ষী নওশের গাজী খুন হয় তার অফিসে। মিঠুর পরিবার ও বিএনপি এই হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করে। মিঠুর পরিবারের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতা ও দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল ভূঁইয়ার ভাই শিপলু ভূঁইয়া সরাসরি এই হত্যা কান্ডে জড়িত, (৩০) ২৮ মে ফরিদপুরের শালথায় লক্ষনদিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সরোয়ার মাতুব্বর নামে একজন নিহত হয়। গট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান লাভলু এবং লক্ষনদিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর মাতুব্বর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে, (৩১) ২৯ মে নরসিংদীর রায়পুরা সদাগরকান্দী গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল কাদির নামে একজন নিহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন ও অপর নেতা কবির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আব্দুর রশীদ ভুট্টোও আহত হয়, (৩২) পরে ৩০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রশীহ ভুট্টু মারা যায় এবং (৩৩) ২৯ মে পাবনার বেড়ায় পৌর এলাকায় এলজিইডির টেন্ডার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল আলিম খাঁ নামে একজন নিহত এবং মিলন নামে একজন আহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিম খাঁ গ্রুপ এবং শফি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

(৩৪) ৮ জুন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিজয়পুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচনী দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের হাতে ময়েজ উদ্দিন নিহত হয়, (৩৫) ১০ জুন মুন্সীগঞ্জ সদরের দক্ষিন চর মাগুরা গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মাসুদ নামে একজন নিহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও কেওয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান জীবন এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়, (৩৬) ১৮ জুন কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শাহাবুদ্দিন আহমেদ শাহীন নামে এক কর্মী খুন হয়, (৩৭) ২৮ জুন সিরাজগঞ্জে কামারখন্দে ঈদ উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের মাঝে বরাদ্দকৃত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে পাইকোশা বাজার এলাকায় দফায় দফায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ফরিদুল ইসলাম ২৮ জুন ও (৩৮) শিপন ২৯ জুন মারা যায়, (৩৯) ৪ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৌরভ নামে একজন খুন হয়, (৪০) ১১ আগষ্ট শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন ফকির নিহত হয়, (৪১) ২৫ আগষ্ট নড়াইলের কালিয়ায় কালডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরক এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও অপর আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমানের মধ্যে দলীয় কোন্দলে আজমল ফকির খুন হয় ও (৪২) ৩০ আগষ্ট নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে যুবলীগ নেতা রিয়াজ খুন হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী ও ওয়াজিউল্লাহ গ্রুপের মধ্যে দলীয় দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলমান থাকে।

(৪৩) ২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় হাপানিয়া গ্রামে ঈদ জামায়াত নিয়ে আওয়ামী লীগ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার ইনতাজুল এবং অপর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দেলোয়ারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়ে জয়নাল ৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, (৪৪) ৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মসজিদের সামনে থেকে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান তালুকদারকে অপহরণ ও পরে হত্যা করে আওয়ামী লীগের লোকজন। হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ধানীসাপা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান হারুণ-অর-রশীদ তুলুকদারসহ অন্যান্যদের নামে মামলা দায়ের করা হয়, (৪৫) ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ঘাগড়া বাজারে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের আনিস মিয়া খুন হয়। খাঘড়া ইউয়িন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চৌধূরী বুলবুল সমর্থকদের মধ্যে দু’দিন ধরে এই সংঘর্ষে ওসি আলমগীর হোসেন ও এসআই সিরাজসহ ৪ পুলিশ এবং অন্য প্রায় ৪৬ জন আহত হয়, (৪৬) ৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় বখাইল গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিল্লাল ও (৪৭) এনামুল নামে দু’জন নিহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সম্পাদক বখতিয়ার রহমান বিশ্বাস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তারা উভয়ে নিহত হয়।

http://www.dailysangram.com/post/313357