৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১:০৭

লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি

এইচ এম আকতার: বেসরকারি ব্যাংক দখলসহ আর্থিক খাতে নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঘটনা বহুল ২০১৭ সাল। এছাড়াও চাল এবং পেঁয়াজের সর্বোচ্চ মূল্য অর্থনীতিতে সংকট আরও প্রকট করে তোলে। রিজার্ভ চুরিসহ আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির বিচার না হওয়াতে এ খাতের বিশৃংখলাকে আরও উসকে দিয়েছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগের খরা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। যা অর্থনীতিবিদদের ভাবিয়ে তুলছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে লন্ডভন্ড দেশের অর্থনীতি।
এর মধ্যে ব্যাংকিং খাতে বিশৃংখল অবস্থা ছিল বছরজুড়ে। বিশেষভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ সরকারের অনেক অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বড় কোন চেক তারা পাশ করাতে পারছে না। অন্য ব্যাংক থেকে ধার করে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধির সাথে তাল মিলে যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় তাহলে আগামী ২০১৮ সালে অর্থনীতিতে আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
২০১৬ সালের শুরুতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশ ফেরত পেলেও বাকি টাকার কোনো আশা বিদায়ী বছরেও দেখা যায়নি। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ছিল বছরের আলোচিত বিষয়। 
দেশে সরকারি-বেসরকারি-বিদেশী মিলিয়ে মোট ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে আর্থিক অবস্থার অবনতির তালিকায় রয়েছে ১৩টি। বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ধুকছে, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থাও খারাপের দিকে।
বছরে শুরু হয় দেশের সর্ব বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক দখলের মধ্য দিয়ে। এ ব্যাংকটি দেশের মোট অর্থনীতির প্রায় ৩০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। দখলের মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে শীর্ষ খেলাপি ব্যাংকের তালিকায় উঠে এসে এই ব্যাংকটি নাম। এতে আর্থিক খাতের সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠে। ব্যাংক দখলের এই খেলা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি ফারমার্স ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানো হয়েছে। সরানো হয়েছে দুই ব্যাংকের এমডিকেই। শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, সরকারের অন্য বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবস্থাও বেশ খারাপ।
ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া, পর্যবেক্ষক বসানো, পর্ষদ সভার যাবতীয় নথি বিশ্লেষণ, বড় ঋণ অনুমোদন, একক গ্রাহকের ঋণসীমা নির্ধারণ ও ঋণ পুনর্গঠন ব্যবস্থা চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েও ব্যাংক খাতকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরই মধ্যে সাবেক কয়েকজন গবর্নর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর অবস্থানের থাকলে ব্যাংকিং খাত এত বড় সংকটে পড়তে পারে না। প্রয়োজনে ব্যাংক বন্ধ করে দিয়ে কঠোরতার ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে।
এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে যুক্ত হয়েছে ‘পরিবর্তন আতঙ্ক’। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে কয়েকটি ব্যাংক। একের পর এক এই গ্রুপ কোম্পানিটি ব্যাংক দখল করে নিয়েছে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ওপর নজর ছিল বেশি। যা ব্যাংকি খাতকে আরও আস্থিরতা তৈরি করে। দখলের এই মিশন আর কত দিন চলবে আর এর শেষ শিকার কোন ব্যাংক হবে তা কেউ বলতে পারছে না।
সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের উপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে সংসদীয় কমিটিরও পর্যবেক্ষণ এসেছে।
বেসরকারি খাতের একাধিক ব্যাংকের মালিকানা বদল নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক খাতের আমানতকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩ ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েও পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারেনি। সার্বিকভাবে এর প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগের উপর। ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা বিনিয়োগ হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ। অথচ দেশে দৃশ্যমান কোন বিনিয়োগ নেই। একই সাথে কর্মসংস্থানের অভাবে বেড়েছে বেকারত্বও। প্রশ্ন হচ্ছে বিনিয়োগের টাকা তাহলে গেলো কোথায়।
দেশে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণে যে দুর্বলতা আছে, সেকথা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বছরের শেষে এসে এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সাথে তিনি দুদকে চিঠি লিখে বলেছেন, ব্যাংক দখল করছে এমন একটি বিশেষ গ্রুপ কোম্পানির খোঁজ খবর নিতে।
ফরাসউদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলোকে আর এভাবে চলতে দেয়া ঠিক না। এখন ব্যাংক একীভূত (মার্জার) করার সময় এসেছে। সারা পৃথিবীতেই এটা হয়। আমাদেরও করতে হবে। পুরো বছরজুড়েই ব্যাংকিং খাতের ছিল অস্থিরতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে আগামী বছর যদি তা কাটিয়ে উঠতে পারে তাহলে অর্থনীতিতে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিয়মনীতি না মেনে ঋণ দেয়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে আর্থিক খাতে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নয় বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি।
এছাড়া হিসাবের বাইরে আরও ৪৫ হাজার কোটি টাকার খারাপ ঋণ অবলোপন ধরলে সব মিলে খেলাপি ঋণ হবে একলাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ৩৪ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের দেশীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ৩১ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা।
মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দিয়েই মূলত দীর্ঘমেয়াদে কোনো দেশের অর্থনীতিকে পরিমাপ করা হয়। দেশের উন্নতি বা উন্নতি বা অবনতি এই সূচক দিয়েই নিরূপণ করা হয়ে থাকে।
 আর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সার্বিকভাবে ভালোই গেছে ২০১৭ সাল। তবে চালের বাড়তি দাম গরিব মানুষসহ মধ্যবিত্তকেও বেশ দুর্ভোগে ফেলেছে। এক্ষেত্রে সরকারের ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা ছিল।
অর্থনীতির এই বিশ্লেষক আরও বলেন, শঙ্কা হচ্ছে ব্যাংক খাত নিয়ে। ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহ মুদ্রানীতির লক্ষ্য ছাড়িয়ে ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে। ব্যাংকগুলোতে ঋণ বাড়ছে, তবে আমানত বাড়ছে না। বিশাল অংকের খেলাপি ঋণ তো আছেই। ব্যাংকিং খাত যেভাবে দখল হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে দেশের অর্থনীতি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
নতুন ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। সবগুলোই পতনের দিকে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতের দুরাবস্থা অর্থনীতির অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। ২০১৮ সালে এ দিকেই সবচেয়ে বেশি সতর্ক এবং নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। অন্যদিকে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে তাতেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন এই অর্থনীতিবিদ।
অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে উন্নতির ধারা বজায় থাকলেও লাগামহীন চালের বাজার আর ব্যাংক খাতের বিশৃঙ্খলার কারণে বিদায়ী বছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশের পুরো সুযোগ নিতে পারেনি বাংলাদেশের অর্থনীতি।
৪৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে, রাজস্ব আদায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধিতেই রয়েছে দেশের অর্থনীতি।
তবে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল আগাম বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় ফসলের ক্ষতির কারণে খাদ্য ঘাটতি মেটাতে আমদানি ব্যাপক বেড়ে যাওয়া, প্রধান খাদ্যপণ্য চালের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের সঙ্কটে বড় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ভোটের বছরে রাজনীতিতে ফের অস্থিরতা দেখা দেয় কি না, আবারও হরতাল-অবরোধ জ্বালাও-পোড়াওয়ের কবলে পড়তে হয় কি না- সে শঙ্কা নিয়েই ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, আমার বিবেচনায় মোটা দাগে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। টানা দুই বছর ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলা, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলা, সামাজিক রূপান্তরের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে; গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতেও অনেক কাজ হয়েছে।
এ সবই আমাদের আশান্বিত করেছে। তাই বলা যায়, ২০১৭ ভালোই গেল। ২০১৮ সালে আরও দ্বিগুণ গতিতে অগ্রসর হব।
গত ১৪ নবেম্বর বাংলাদেশ পরিসখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত যে হিসাব প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে এই প্রথম এত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হল, যা ছিল নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ থেকে ১৯৭৯-৮০ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র গড়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। পরের ১০ বছর জিডিপি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ হারে। এরপর থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছাড়িয়ে গেছে ৬ শতাংশ।
জিডিপির আকার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে স্বাধীনতার পর ৩৪ বছর লেগেছে, যা এখন ২৪ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। উন্নতি হয়েছে মাথাপিছু আয়েও, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬৭১ টাকা, যা এখন একলাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বা ১ হাজার ৬১০ ডলার।
তবে ফরাসউদ্দিনের মতে, এই প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষ সমানভাবে পাচ্ছে না। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। এ সব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার জুন মাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে তিন হাজার ৩০০ কোটি (৩৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়ায়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। ওই অংক ছিল আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর পথে প্রথম পাঁচ মাসে ১৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান আশা করছেন, রাজস্ব আদায়ে এবার লক্ষ্য পূরণ হবে।

http://www.dailysangram.com/post/313156-%E0%A6%B2%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%AD%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF