৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১:০৪

ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচনের প্রতিবাদ দিবসে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সমাবেশে নেতৃবৃন্দ

জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল

জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। এই নির্বাচন ছিল অবিশ্বাস্য ও বিস্ময়কর। ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছিল। এই নির্বাচন ছিল দেশী বিদেশীসহ বহু ষড়যন্ত্রের ফসল। আজও দেশে গণতন্ত্র নেই,আইনের শাসন নেই, নেই জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। গুম,খুন ও চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি,দখলবাজি ও গোটা দেশ জেলখানায় পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি,মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।গ্যাস নেই,বিদ্যুত নেই, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে জনসাধারণের ভোগান্তি বৃদ্ধি করেছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, দেশে কোন উন্নয়ন নেই। উন্নয়নের নামে দুর্নীতির জোয়ারে দেশ ভাসছে।জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের দু:খ দুর্দশা বুঝে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই জালিম সরকারকে পদত্যাগ করে সকল দলের অংশ গ্রহনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার গঠন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করার জোর দাবী জানান।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচনের প্রতিবাদ দিবসে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত নেতা আবু আবরার এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ্, নগর কর্মপরিষদ সদস্য এম.ছিদ্দিকুর রহমান,ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী ও এম.এ.আলম প্রমুখ।