জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভায় একটি বুথ; (ইনসেটে) কুমিল্লার চাটিতলা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোটদানের চিত্র
২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৯:১১

পৌর ও ইউপি নির্বাচন

বিভিন্ন স্থানে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ

কুমিল্লায় বিএনপির ভোট বর্জন

সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে কেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের মারধর, জাল ভোট এবং নৌকার ব্যালটে আগাম সিল মারার অভিযোগ এনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপি মনোনীত আটজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। গতকাল দুপুরে জেলার নাঙ্গলকোট প্রেস কাবে এসে সংবাদ সম্মেলনে নাঙ্গলকোটের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন। তাদের ছাড়াও লাকসাম উপজেলার তিনজন ও লালমাইয়ের একজন ভোট বর্জন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সমর্থিত আট চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রই দখলে নেয় সরকারদলীয় নৌকার সমর্থকেরা। এর আগে রাতে অনেক ভোটকেন্দ্রে নৌকার ব্যালটে সিল মারা হয়। তারা অভিযোগ করেন, সকালে বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রের গেট থেকেই বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে তারা অভিযোগ করেছেন। ভোট বর্জনকারী চেয়ারম্যানরা হচ্ছেনÑ আদ্রা দণি ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, আদ্রা উত্তর ইউনিয়নে মাহবুবা আক্তার, বড়তলী ইউনিয়নের গোলাম মাওলা, দৌলখাঁড় ইউনিয়নের মো: মোশারফ হোসেন, জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের শফিকুর রহমান চৌধুরী, জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের শাহজাহান মজুমদার, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের মো: ইদ্রিস মিয়া এবং রায়কোট দণি ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তারা জানান, আট ইউনিয়নের ভোট বাতিল করে আবার ভোট গ্রহণের জন্য তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। আদ্রা দণি ইউনিয়নের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাস্টার সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী নাছির উদ্দীন মামুন। তারাও সকাল ১০টায় চাটিতলায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। লাকসাম উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বাকই দণি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে শাহ আলম ও মুদাফরগঞ্জ দণি ইউনিয়নের মো: আবুল বাসার এবং লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোট দিতে পারেননি ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী : নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দণি ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাস্টার সাইফুল্লাহ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী নাছির উদ্দীন মামুন সাংবাদিকদের জানান, তারা চাটিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারেননি বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি।

দাউদকান্দির ২ ইউনিয়নে আ’লীগের বিরুদ্ধে সিল মারার অভিযোগ : অস্ত্র উদ্ধার
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ও বারপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে সিল মারার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। এ দিকে দৌলতপুর ইউনিয়নের নারানদিয়া কেন্দ্র থেকে ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট আটক ও পাশের বাগান থেকে বিপুল দেশী অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারপাড়া ইউনিয়নে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন আল আজাদ অভিযোগ করে বলেন, চারিপাড়া, সুকিপুর ও রাঙ্গাশিমুলিয়া কেন্দ্রে নৌকার লোকজন তার এজেন্টদের বের করে সিল মেরেছে। ইলিয়টগঞ্জ দ: ইউনিয়নের বীরতলায় নৌকার পক্ষে সিল মারার অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন। দৌলতপুর ইউনিয়নের নারানদিয়া কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাঙ্গরা থানার ওসি তদন্ত নাজমুল হুদা ও মেঘনা থানার এসআই মো: মহসিন জানান, এখানে কেন্দ্রের পশ্চিম দিকে একটি বাগান থেকে ৪৮টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বাঘা পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
রাজশাহী ব্যুরো ও বাঘা সংবাদদাতা জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা ভোটগ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকেও সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র আক্কাছ আলী (নৌকা প্রতীক) এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (ধানের শীষ প্রতীক)। অন্য দিকে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৫৩ জন ও সংরতি নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

চর আলেকজান্ডার কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষে আহত ২০
রামগতি ও কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র এলাকার বাইরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলায় নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা ৩টায় কেন্দ্র এলাকার বাইরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী নুর ছলেমন হাওলাদার (প্রতীক-ফুটবল) ও ফিরোজ কবির বাবুলের (প্রতীক-আপেল) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে মো: ফারুক (৬০), মো. ইউছুফ (২৭), জাহের মাঝি (৫০), মো: রুবেল (২০), মেজবাহ উদ্দিন (৩০), মারজাহান বেগম (২৫), বিবি আরজু (২৩) ও বিবি অজিফাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বিকেল সাড়ে ৩টায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড সেবাগ্রাম ফজলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে মেম্বার প্রার্থী মো: হেলাল উদ্দিনের (প্রতীক-তালা) সমর্থকরা হামলা চালিয়ে অপর মেম্বার প্রার্থী মো: কারিমুল হকের (প্রতীক-মোরগ) দুই সমর্থককে আহত করে। আহতরা হচ্ছেন মো: হেদায়েত উল্যাহ ও মো: রাসেল। তাদের স্থানীয় কিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
চরফ্যাশনে ৩ ইউপিতে বিএনপির ভোট বর্জন
ভোলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ এনে ভোলার চরফ্যাশনের তিন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় নীল কমল ইউনিয়নের বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নওরোজ বাবুল তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। অন্য দুই প্রার্থী হলেন আমিনাবাদ ইউনিয়নের গোলাম আকতার ও জিন্নাগর ইউনিয়নের ইমরান ভূঁইয়া।

সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে কিছু কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উল্লেখ্য, সীমানা বিরোধের জেরে দীর্ঘ দিন এ তিনটি ইউনিয়নের ভোট বন্ধ ছিল।
বকশীগঞ্জে কেন্দ্র স্থগিত ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী লাঞ্ছিত
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্র দখল করে সিল মারা, কেন্দ্র স্থগিত, ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং একজন মেয়র প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করার মধ্য দিয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
দুপুরে মালিরচর হাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শাহীনা বেগম তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন। এ সময় কিছু ব্যালট পেপার নষ্ট হয়। পরে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: নাসির উদ্দীন কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। এ দিকে মালিরচর আমেনা খাতুন এতিমখানা ভোটকেন্দ্রে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
এর আগে সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ফকরুজ্জামান মতিনকে লাঞ্ছিত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। ওই কেন্দ্রে উপস্থিত জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, ওই কেন্দ্রে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির প্রার্থী ফকরুজ্জামান মতিন জানান, আমার প্রধান এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বকশীগঞ্জ কিয়ামত উল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ১২টার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মালিরচর হাজীপারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মালিরচর আমেনা খাতুন এতিমখানা কেন্দ্রে জোরপূর্বক সিল মারেন। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুর আলম জানান, একটি কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছিল সেটি স্থগিত করা হয়েছে।

ভয়-ভীতি আর শঙ্কায় বনপাড়া পৌর ও দুই ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন
নাটোর সংবাদদাতা জানান, বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভা, জোয়াড়ী ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হুমকি আর ভয়-ভীতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মধ্যেও হুমকির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ছিল না। বনপাড়া পৌরসভার কিছু কিছু কেন্দ্রে হুমকি-ধমকির কারণে বিএনপির ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে এবং নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র কে এম জাকির হোসেন (নৌকা) ও বিএনপির প্রার্থী মহুয়া নুর কচি (ধানের শীষ) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জোয়াড়ী হাইস্কুলে কেন্দ্রে আসার পথে কেল্লা গ্রামে ভ্যান থেকে নামিয়ে ধানের শীষের দু’জন ভোটারকে মারধর করেছে সরকারদলীয়রা। এ সময় তারা বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়। পরে খবর পেয়ে বিজিবি ও র্যা বের টহল টিম ঘটনাস্থলে গেলে তারা ভোট দিতে আসেন। নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়কারী জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন জানান, কালিকাপুর ও চক নটাবাড়িয়া কেন্দ্রের ধানের শীষের দু’জন এজেন্টকে গত বুধবার রাতে ধরে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে বনপাড়ার বাইরে নিয়ে রেখে আসা হয়েছে। জোয়াড়ী ইউনিয়নের কাটাশকোল কেন্দ্রেও বিএনপির ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। এ দিকে, ভোটের আগের রাতে বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। এ সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
বনপাড়া পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মহুয়া নুর কচি অভিযোগ করেন, দিয়াড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মহিলা বুথে ধানের শীষের এজেন্ট শুকজান বেগমের কাছ থেকে ধানের শীষের ব্যাচ কেড়ে নিয়ে নৌকার ব্যাচ লাগিয়ে দিয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/280319