২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৯:০০

কর্মসংস্থানহীন জিডিপিতে বৈষম্য বাড়ছেই

এইচ এম আকতার: যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাবে বাড়ছে ধনী-গরীব বৈষম্য। এতে ম্লান হয়ে যাচ্ছে চলতি বছরে মাথাপিছু আয় ও মোট দেশজ উৎপাদনের(জিডিপি) প্রবৃদ্ধির অর্জন। মাথা পিছু আয় বাড়ছে কিন্তু তার সাথে বাড়ছে ঋণও। ভারসাম্যহীন অর্থনীতি এগুচ্ছে তীব্র গতিতে। এতে করে কর্মসংস্থানহীন জিডিপি বাড়ছে। বছর শেষে ১৬শ ১০ ডলারের মাথাপিছু আয় বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈষম্য কমাতে উৎপাদনশীল খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তাদের মতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, তা মূলত সরকারি বিনিয়োগ-নির্ভর। বেসরকারি বিনিয়োগ চাঙা না হওয়ায় কর্মসংস্থানও বাড়ছে না। এতে সংকটে পড়বে দেশে সামষ্টিক অর্থনীতি।

রাজধানীর বনানী লেকের এক পাশে সমৃদ্ধির ছাপ যতটাই স্পষ্ট অপর পাশে ততটাই প্রকট দারিদ্র্য। গুলশান-বনানীর বিত্তের মাঝে কড়াইল বস্তি যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কতটা অসম গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত বিস্তৃত হলেও আয় পর্যাপ্ত নয়। আবার চাকরিতেও যথাযথ মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। শিক্ষা-স্বাস্থ্যে অপ্রতুল বরাদ্দ, আর দুর্বল করনীতি বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। ফলে বছর শেষে ১৬শ ১০ ডলারের মাথাপিছু আয় বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছর পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্পে বেড়েছে সরকারের বিনিয়োগ। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগের ধারাও ইতিবাচক। এছাড়া, সেবা খাতের বিস্তৃতি ও কৃষির ওপর ভর করে অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক দুই আট ভাগ প্রবৃদ্ধি। তবে শঙ্কা আছে নতুন বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা নিয়ে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে শ্লথ হতে পারে বেসরকারি বিনিয়োগ ধারা।

বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করাই অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ। এখন যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, তা মূলত সরকারি বিনিয়োগ-নির্ভর। বেসরকারি বিনিয়োগ চাঙা না হওয়ায় কর্মসংস্থানও বাড়ছে না।
চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাড়তি ৬৬ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বেসরকারি বিনিয়োগ লাগবে। অন্যদিকে সরকারি বিনিয়োগ দরকার ৫০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি না পাওয়ায় কর্মসংস্থানের গতি কমেছে। সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী প্রতিবছর গড়ে এখন ৪ লাখ ৭০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে।
রেহমান সোবহান বলেন, আমাদের কোনো কর্মসংস্থান নীতি নেই। অথচ এই দেশে মানবসম্পদ হলো বড় শক্তি। তার মতে, সরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা থাকা উচিত।
রেহমান সোবহান আরও বলেন, বাজেট কত বড়, বাস্তবায়ন কতটা হলো এসব সংখ্যাতাত্ত্বিক অনুশীলন ছাড়া আর কিছুই নয়। বাজেট থেকে মানুষ কতটা সুবিধা পেল, সেটাই বড় কথা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, এর সুবিধা সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্র আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেই। এ দেশে ব্যবসায় খরচ বেশি, আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী নন। বর্তমান সরকার মানবসম্পদে বিনিয়োগ না করে মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের সুবিধা হলো ৮ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ২৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। এটি শুধু সরকারি অর্থের অপচয় নয়, দুর্নীতিকেও উৎসাহিত করে।
অর্থনীতিতে তিন ধরনের সমস্যা আছে উল্লেখ করে সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদ্ধৃতিকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি ইঞ্জিন দিয়ে উড়োজাহাজ চলার মতো অবস্থায় আছে। সরকারি বিনিয়োগ-নির্ভর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে না। কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির একটি পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি কি না, সেটা দেখতে হবে। অপর দুটি সমস্যা হলো প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও নীতি সংস্কারের অভাব এবং বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা কম।

নতুন মূসক আইন সম্পর্কে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ভ্যাট হলো অত্যন্ত হিসাবনির্ভর ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশের বহু কারখানা অশিক্ষিত লোকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাঁদের ভ্যাটের হিসাব রাখার সক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী আবগারি শুল্ক থাকলে ভ্যাট থাকবে না। বাংলাদেশে দুটোই আছে। সরকার আবগারি শুল্ক উঠিয়ে ব্যাংক সেবার ওপর ভ্যাট বসাতে পারে।
বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতির সমালোচনা করে এই সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাজেট তৈরি হয়। সেখানে সাংসদদের কোনো ভূমিকা থাকে না। এটি বাজেটের বড় দুর্বলতা। বাজেট নিয়েও সাংসদেরা খুব বেশি আলোচনা করেন না।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে, বেকারত্বের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৫-১৬ (কোয়ার্টারলি লেবার ফোর্স সার্ভে) অনুযায়ী তিনি বলেছেন, দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮৭ হাজার জন। যদিও দেশে প্রকৃত বেকার কত, তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর আগে এক প্রতিবেদনে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ উল্লেখ করলেও অন্য একটি তথ্যে স্বীকার করে নিয়েছিল, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়স কিন্তু সরাসরি শ্রমিক নন এমন জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ। অথচ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার বিস্তারের কথাটি অস্বীকারের সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে শিক্ষা খাতেই সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি ও সাফল্য এসেছে, এমন তথ্য যখন দেশে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তখন বেকারত্বের সংখ্যার বিষয়টি ধন্ধে ফেলে বৈকি। শিক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া ও উপবৃত্তি প্রদানসহ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে এসেছে। তার ফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
সে অনুযায়ী প্রতি বছর শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও যে বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। তথ্যমতে, ২০১৪ সালেই দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছিলেন পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩০২ জন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবং দ্রব্যমূল্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্তরা যে খুব একটা ভালো নেই তা দেশের সার্বিক চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে দেশে বিভিন্ন পণ্যর আনুপাতিক হারে মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে দেশের শিল্প-কলকারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে বেড়েছে। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিল্প-কারখানা। কর্ম হারাচ্ছে মানুষ। এছাড়া প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে এসে দাঁড়াচ্ছে কর্মসন্ধানীদের কাতারে। কিন্তু তাদের মিলছে না মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্ম।

প্রতিবছর বাড়ছে জনসংখ্যা। বাড়ছে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত বেকার নারী-পুরুষের সংখ্যা অথচ বাড়ছে না কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। সরকারি বেসরকারি কোনো পর্যায়েই ফরমাল অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি কাজের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না কেউ-ই। ইনফরমাল অর্থাৎ স্বল্পমেয়াদী খাতে অনেকে কিছু না কিছু আয় করলেও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সঠিকভাবে সংসার চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
সরকারের বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় সেখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেছে। ফলে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে বেকারদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আর সমাজের অপশক্তি যদি এই সুযোগে হতাশাগ্রস্ত তরুণদের বিপথে টেনে নিলে সে দায়িত্ব কে নেবে- এমন প্রশ্নও অবাস্তর হতে পারে না।
জাতীয় উন্নয়নে শহর ও গ্রামের মধ্যে সীমাহীন বৈষম্য রয়েছে। রয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মজুরি বৈষম্য। কাজ করতে না পেরে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ কর্মহীন হয়ে রয়েছে এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। দেশে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তাদের ঋণ দিয়ে আত্মনির্ভর করার ক্ষেত্রেও বাস্তব অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। যে কারণে দীর্ঘ হচ্ছে বেকারের সংখ্যা।
বেকারের সংখ্যাধিক্যের বিষয় বিবেচনায় বলা যায়, সরকারের একার পক্ষে কোনো অবস্থাতেই এই বিপুল সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ। সম্মিলিত উদ্যোগই পারে দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে।
কৃষি খাতে বেকার শ্রমিকের বড় অংশকে কাজে লাগানো গেলেও ওই খাতে দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় তা বেকার সমস্যা সমাধানে তেমন একটা কাজে লাগবে না। সুতরাং বেকারত্ব সমাধানে সরকার কৃষি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিলেও এ খাতের পাশাপাশি খুব দ্রত শিল্প ও সেবা খাতে ফরমাল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে পারে। তা ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যায় এমন খাত যেমন জ্বালানি, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতকে আরো গতিশীল করতে পারে।

দেশের শিক্ষিত বেকারের একটি বড় অংশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেশের বিভিন্ন দপ্তরের প্রযুক্তি খাত এবং বিদেশে শ্রম রপ্তানি করতে পারে। বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশগুলো বিদেশে শ্রম বিনিয়োগ করে তাদের আয় বাড়িয়ে থাকে। আমাদের দেশেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ রেমিটেন্স খাত থেকে পূরণ হচ্ছে। কিন্তু এ খাতও মাঝে মধ্যে অসহনীয় হয়ে ওঠে। যে কারণে সার্বিকভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের ভাবতে হবে।
প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক উচ্চশিক্ষিত তরুণ উপযুক্ত কর্মসংস্থানের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। এদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে সময়মতো সরকারি শূন্যপদ পূরণ ছাড়াও বেসরকারি খাত সম্প্রসারিত করে বেকারত্ব নিরসন করা যেতে পারে। দেশে কর্মক্ষম শিক্ষিত জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারলে বেকারত্বের ভারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেখানে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ জন্য নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে এসব উদ্যোক্তাকে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প-কারখানাগুলো চালুর ব্যবস্থা করা গেলেও সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কিন্তু সরকার তা না করে উল্টো পথে হাটছে। বাড়ছে সরকারি বিনিয়োগ। সে হিসেবে বাড়েনি কর্মসংস্থান। এ কারনেই ধনী-দরিদ্রে বৈষম্য বাড়ছেই। যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

http://www.dailysangram.com/post/313037