*কাউন্সিলর প্রার্থীর সাংবাদিক সম্মেলন
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে ফলাফল দেয়ার অভিযোগ এনে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩, ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী চশমা প্রতীকের আরজানা বেগম। সোমবার দুপুরে এসোড ট্রেনিং সেন্টারে তিনি এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরজানা বেগম বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত-৮ (২৩, ২৪ ও ২৫ নং) ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলাম। এই নির্বাচনে আমি ভোটে বিজয়ী হলেও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে যোগসাজস করে কেন্দ্রে ফলাফল প্রদানের সময় আমার পোলিং এজেন্টদের আপত্তি গ্রহণ করেননি। কোন কোন কেন্দ্রে সে কারণে আমার পোলিং এজেন্টগণ স্বাক্ষর করেননি এবং কোন কোন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা আমার পোলিং এজেন্টদের সাক্ষর নেননি। এছাড়াও কোন কোন কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ফলাফল সিটও সরবরাহ করেননি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। বিষয়গুলো সেই সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আমার পোলিং এজেন্টগণ বললে তারা তাদের প্রশাসনের ভয় দেখান। কেন্দ্রগুলো হলো যথাক্রমে ২৪ নং ওয়ার্ডের সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্র, মোসলেম উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২৩ নং ওয়ার্ডের সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নিউ জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র , ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র এবং বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোট গণনায় এই নজীরবিহীন অনিয়ম এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন-২০১০ (সিটি কর্পোরেশন) আইনের ২৫ উপধারা অনুযায়ী কেন্দ্রেই সকল পক্ষের পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর ওজর আপত্তি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রদানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও কেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা তা করলেন না বিষয়টির আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ফলাফল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমার বিজয় কেড়ে নিয়ে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমার প্রকৃত ভোট প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হলেও বেসরকারি ঘোষিত ফলাফলে আমার ভোট দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। সে কারণে কেন্দ্রগুলোর ভোট পুনরায় গণনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তিনি বলেন বিষয়টি জানিয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। এছাড়াও আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসময় আরজানা সালেকের ৮টি কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, ওই প্রার্থীর লিখিত আবেদন আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।