১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১০:২৪

আইনি জটিলতায় স্থবির বীমা খাত

আইনি জটিলতায় বীমা খাতের সংকট কাটছে না। আস্থার অভাবেও বীমা থেকে দূরে রয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন পদে অযোগ্য ব্যক্তি, ভুয়া এজেন্ট, অতিরিক্ত কমিশন, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা, অবৈধভাবে অর্থ খরচ, চেক জালিয়াতি, বাকি ব্যবসাসহ নানা ধরনের দুর্নীতি এখন সাধারণ ব্যাপার। আর এ কারণেই বীমা খাতের স্থবিরতা কাটছে না। গেল দুই বছরে বীমা খাতে প্রথম কিস্তির পরিমাণ কমেছে ৬০০ কোটি টাকার বেশি। গ্রাহকের আস্থা বাড়াতে ব্যবসায়ীরা নীতিমালা পরিবর্তনের আহ্বান জানালেও এর প্রয়োজন দেখছে না (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ) আইডিআরএ।

সরকারি- বেসরকারি মিলিয়ে দেশে বীমা প্রতিষ্ঠান ৭৮টি। এর মধ্যে ৪৮টি সাধারণ ও ৩০টি জীবন বীমা। এই দুই খাতে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত আছে ৪৬টি প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবস্থা ভাল হলেও বাস্তবে বীমা খাতের নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রাহকদের নানা সুযোগ সুবিধা কথা বলেন পলিসি বিক্রি করলেও মেয়াদ পূর্ণ শেষে সে টাকা ফেরত পেলে নানা কাঠখড়ি পোহাতে হয়। দিনের পর দিন অফিসে ধরণা দিতে হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ সময় ঘুরাফেরা করে টাকা না পেয়ে পাওনা দাবি করেন না।
২০১৩ সালে এই দুই খাত থেকে প্রথম কিস্তি দেয়া হয় ৮ হাজার ৯০২ কোটি টাকার বেশি। পরবর্তী দুই বছর এ পরিমাণ বাড়লেও ২০১৬ থেকে কমতে থাকে প্রথম কিস্তি। এদিকে টাকা না দেয়া ও হয়রানিসহ নানা অভিযোগ গ্রাহকদের। আস্থার অভাবেও বীমা থেকে দূরে রয়েছেন অনেকে।
প্রথম কিস্তি দেয়ার পরই আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম কিস্তির পুরোটাই পায় বীমা প্রতিষ্ঠান। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানও প্রথম কিস্তির টাকা নেয়ার পর গ্রাহক ধরে রাখতে হয়ে পড়ছে উদাসীন। এক্ষেত্রে নীতিমালার পরিবর্তন প্রয়োজন বলছেন বীমা ব্যবসায়ীরা।

তবে আপাতত নীতিমালা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই আইডিআরএ। প্রথম কিস্তির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বীমা মেলার আয়োজনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিআরএ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূত কমিশন বাণিজ্য, বাকিতে ব্যবসা, প্রিমিয়াম সংগ্রহের চুক্তিনামার ভুয়া কাগজ তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য লোক নিয়োগ, শীর্ষ ব্যক্তিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এছাড়া কোম্পানির সম্পদ ক্রয়ের সময় পুকুরচুরিও করছে কতিপয় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে জমি ক্রয়ের সময় দ্বিগুণ তিনগুণ মূল্য দেখানো হচ্ছে। অন্য সব পণ্য ও সম্পদ ক্রয় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঘটছে নানা অনিয়ম। একই ব্যক্তি একাধিক গাড়ি ব্যবহার করছেন। কোম্পানির গাড়ি পারিবারিক কাজে এমনকি রেন্ট-এ-কার’এ ভাড়া খাটানোর অভিযোগও রয়েছে। বীমা কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন কর্তা ব্যক্তিরা।

জানা যায়, বীমার মেয়াদ শেষ হলেও অনেক কোম্পানিই এক থেকে দুই বছর দেরিতে অর্থ পরিশোধ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগছে। আর টাকা পেতে গ্রাহকদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বীমা দাবি পূরণের ক্ষেত্রে সীমাহীন অনিয়ম করছে বীমা কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে মৃত্যুদাবি ও অগ্নিবীমা দাবি পূরণের ক্ষেত্রে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। বীমা কোম্পানিগুলোর শাখা এবং কেন্দ্রীয় অফিসে ধরণা দিয়ে কোন সুফল না পেয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন আইডিআরএ’তে।

এদিকে, বীমা কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বীমা খাতে প্রতিবছর বিশেষ নিরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও লোকবলের অভাবে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোতে তা বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিশেষ নিরীক্ষার মাধ্যমে কোম্পানির আয়-ব্যয়, ব্যবস্থাপনাসহ কোম্পানির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব কোম্পানিতে প্রকৃত অবস্থা কি- তা অনেক ক্ষেত্রে জানা যায় না। তবে সম্প্রতি এ ধরনের তদারকি শুরু হয়েছে। প্রায় সব কোম্পানির কম-বেশি অনিয়ম উঠে এসেছে। আর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে স্বচ্ছতা অনেকাংশে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বীমা খাত সংশ্লিষ্টরা।
অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ খাতের সমালোচনা করছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা-ব্যক্তিরাও। বিগত সময়ে এ খাত নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যই তার বড় প্রমাণ।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, বীমা খাত ফাঁকিবাজিতে খুবই দক্ষ। এ খাতটি আর্থিক খাতের মধ্যে সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বীমা খাত নিয়ে আগে কোন কাজ হয়নি। আর্থিক খাতের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ছিল বীমা খাত। এ খাতে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। আর তাই এ খাতের তদারকির জন্য নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, আইডিআর’র একাধিক তদন্তে প্রতিবেদনে বীমা খাতে চলমান এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা মিলেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ব্যবসায়িক স্বার্থে নানা অফারের ফাঁদে গ্রাহক সংগ্রহ করাই বীমা কোম্পানিগুলোর মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদ্ধতি মোতাবেক প্রিমিয়ামের প্রস্তাবিত টাকা ফেরত দেয়ার সময় নানা ছলচাতুরি আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকের পাওনা না দেয়া এবং একজনের পিআর (বীমা পলিসির টাকা জমা দেয়ার রশিদ) নম্বর দিয়ে অন্যজনের পলিসিতে জমা করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আইডিআরএ’তে ১৫টি অভিযোগ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়েছে। যার সবগুলোতে বীমা কোম্পানিগুলো দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। গ্রাহকের টাকা চুষে নিতে সার্ভেয়ার নিয়োগেও দুর্নীতি করছে এসব কোম্পানিগুলো। প্রতিবেদনে টাকা কম দেখাতে সার্ভেয়ার কোম্পানিগুলোকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত তারা। সম্প্রতি এ ধরনের একটি সার্ভেয়ার কোম্পানিকেও জরিমানা করেছে আইডিআরএ।
তথ্যমতে, বর্তমানে আইডিআরএ’র নিয়ন্ত্রণে মোট ৭৮টি বীমা কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বীমা খাতে বিদ্যমান দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে ৬ বছর পর কোম্পানি ভিত্তিক অডিট কার্যক্রম শুরু করেছে আইডিআরএ। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় নজরদারির বাইরে অনেক বীমা কোম্পানিই রয়ে গেছে। পরিণতিতে প্রতিনিয়ত বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আইডিআরএ’র নজরে এলেও তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না সংস্থাটি।

আর বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে ২০১১ সালে বীমা খাতের সাবেক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ গঠন করা হলেও অনিয়মরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে নি সংস্থাটি।
জানা গেছে,শতবর্ষের পথ পরিক্রমায় এখনো সাধারণ মানুষের কাক্সিক্ষত আস্থা অর্জন করতে পারেনি দেশের বীমা কোম্পানিগুলো। বর্তমানে জিডিপিতে এ খাতের অবদান দশমিক তিন পাঁচ শতাংশ। কিন্তু পাশের দেশ ভারতে তা ৪ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধে টালবাহানা, অস্বচ্ছ লেনদেনসহ নানা অনিয়মের কারণেই আশানুরূপ সাফল্য আসছে না সম্ভাবনাময় এই খাতটিতে।

মানুষের জীবন ও জীবিকা এবং সম্পদ, বিভিন্ন রকম ঝুঁকির হাত হতে আর্থিকভাবে রক্ষার ব্যবস্থাই হল বীমা। এ ধরনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা বা দুর্ঘটনার ফলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দিয়েই ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৭৭টি বীমা কোম্পানি। আর এসব কোম্পানির গ্রাহকরা অধিকাংশ সময়েই ভুগছেন অনিশ্চয়তায়।
জানা গেছে,মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় বীমা খাত গড়ে উঠে। মানব জীবনের নিরাপত্তা নেই তাই মানুষ বাধ্য হয়ে পলিসি গ্রহন করে থাকে। কিন্তু অবস্থা এমন যে এখন ইন্সুরেন্স কোম্পানিরই নিরাপত্তা নেই। টাকা নিয়ে মাঠকর্মী উধাও হয়ে যান। তখন পলিসি গ্রহণকারী বীমা কোম্পানির দ্বারে দ্বারে ঘরেও কোন সুরহা হয় না। আর এ কারনেই বীমা খাতের ওপর জন গনের আস্তা তৈরি হচ্ছে না।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬র হিসাব মতে, বিদায়ী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি-তে বীমা খাতের অবদান ছিলো মাত্র দশমিক ৩৫ শতাংশ। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবদান ৪ শতাংশ। আবার, অবস্থানের দিক দিয়েও বাংলাদেশ রয়েছে অনেক পেছনে। সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়ামের এই বাজারের অবস্থান বিশ্বে ৭৫।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা পরিশোধে টালবাহানা, কমিশনের নামে প্রিমিয়ামের টাকার সিংহভাগ ভাগাভাগি, অস্বচ্ছ লেনদেনসহ নানা অনিয়মের কারণেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে এই খাতটি।
তবে, এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে এই খাতের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা বলেন, প্রকল্পটির অনুমোদন হয়েছে প্রায় ছয় মাস আগে। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি কেন নেই তা অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইডিআরএ ভালো বলতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা আইডিআরএ। হয়তো কেউ কেউ এটা চায়নি। কিন্তু প্রথম থেকেই বীমা খাতের সংস্কার নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল আইডিআরএ।
এদিকে আইডিআরএ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলেও এ নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই তাদের। বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থাটি নিজেই নানা সংকটে জর্জরিত। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, কিছুদিন আগে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অর্গানোগ্রাম পাস হয়েছে। কিন্তু এখনো সার্ভিস রুল অনুমোদন হয়নি। কর্মকর্তা নেই, সদস্য নেই। কোরাম সংকটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। দেখা যাক কবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয়। তারপর আসবে বীমা খাতের সংস্কারের বিষয়টি।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি আইডিআরএর সদস্য গোকুল চাঁদ দাস। তবে চলতি সপ্তাহেই প্রকল্পটির জন্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুল বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নিজেই এখনো প্রস্তুত নয় এ প্রকল্পে গ্রহণে। তাদের লোকবল নেই। তাই শুধু শুধু বিদেশী ঋণ নিয়ে তারা কী করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিত আইডিআরএর সমস্যাগুলো সমাধান করা। শুধু আইডিআরএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ই এ প্রকল্পের বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও এসবিসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, দেশের বীমা খাত সাংঘাতিকভাবে উপেক্ষিত। বহু বছর থেকেই আমরা বলে আসছি, এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও দুই করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। পাশাপাশি দরকার সুষ্ঠু নজরদারি ও সুশাসন। বিশ্বব্যাংক যদি ঋণ নিয়ে এগিয়ে আসে, আমি একে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। সেসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার উচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।

http://www.dailysangram.com/post/311535