১২ ডিসেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:২৪

বিচারহীনতায় অর্থ পাচারকারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

এইচ এম আকতার: বিচারহীনতা আর বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকায় অর্থ পাচার বাড়ছে। এই দুই কারণে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আর অর্থনীতিতে কালো টাকা বাড়ছে। রাজনীতি এবং ব্যবসায় দুনীতিবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাচারকারী, সহায়তাকারী এবং যারা বেআইনিভাবে অর্থ আয় করছেন তারা সবাই প্রভাবশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে করা তদন্ত আলোর মুখ দেখছে না। কিছু ক্ষেত্রে তদন্ত শুরু হলেও একটি পর্যায়ে গিয়ে তা থেমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাচার করা অর্থ ফেরাতে সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অর্থনীতিতে গতি আনতে হলে কালো টাকা বিনিয়োগে আনতে হবে।

সূত্র জানায়, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সিআইডি কাজ করছে। কিন্তু এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। এ ছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও অনেক সময় তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হয়।
জানা গেছে, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ৮১০ কোটি টাকা চুরি হয়। এর সামান্য কিছু টাকা ফেরত পেলেও বাকি টাকা ফেরত পেতে নানা আইনী জটিলতা দেখে দিয়েছে। মামলার মাধ্যমে টাকা ফেরত পেতে হলে ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এত দীর্ঘ সময় আইনী লড়াই চালাতে হলে বহু অর্থ ব্যয় করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। এছাড়া এ মামলা করতে হলে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সহায়তা লাগবে।

কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে টাকা চুরি হয়েছে তা স্বীকার করতে হবে ফেডারেল রির্জাভ ব্যাংককে আর তা যদি বলেন, সকল আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই টাকা ছাড় করা হয়েছে। তাহলে টাকা চুরি যাওয়ার প্রশ্ন দেখা দেয় না। এর আগে দুই দফায় রিজার্ভ ব্যাংক বিবৃতি দিয়ে বলেছিল তাদের ব্যাংক থেকে কোন টাকা চুরির ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোন হ্যাকিং এর ঘটনাও ঘটেনি। তাহলে বাংলাদেশ কিভাবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করবে। আর এ কারণে রিজার্ভ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। ফলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কোনো সফলতা আসছে না। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে বেশকিছু অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়লেও ফেরত আনার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। সামান্য কিছু টাকা ফেরত আনলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নতুন করে কোনো অর্থ ফেরত আনতে পারছে না।

অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন এমন ১৫ জনের নাম পেয়েছে দুদক। তাদের মধ্যে সাত রাজনীতিবিদ, সাত ব্যবসায়ী এবং এক পেশাজীবী আছেন, কিন্তু তাদের ব্যাপারেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচি বা মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম ২ এইচ) চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৬৩ জন বাংলাদেশি অংশ নিয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে এতে অংশ নেয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫৬ জনে। সেকেন্ড হোম কর্মসূচির ওয়েবসাইটে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
২০০২ সালে চালু হওয়া এমএম ২ এইচ হলো এমন একটি কর্মসূচি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে অন্য দেশের একজন নাগরিক মালয়েশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। বিভিন্ন দেশ থেকে এ কর্মসূচিতে গত জুন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৪ হাজার ৫৯১ জন অংশ নিয়েছেন।
এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও জাপান।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিবাস গড়তে বৈধভাবে অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাঁরা টাকা পাচার করেছেন। অর্থনীতিতে দৃশ্যমান কালো টাকা ব্যবহার অবাক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এভাবে কালো টাকার ব্যবহার হচ্ছে কিন্তু দুদক তাদের পরিচয় পাওয়ার পরেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। এতে আমাদের অর্থনীতিতে কালো টাকা উপস্থিতি আরও বাড়ছে। দুর্নীতিবাজরা আরও উৎসাহিত হবে।
এই সুবিধা পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে ৭ হাজার, স্বামী-স্ত্রীর জন্য সাড়ে ৭ হাজার এবং একটি পরিবারের জন্য ৮ হাজার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা) মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়। পরিবার বলতে স্বামী ও স্ত্রী ছাড়া তাঁদের দুজনের সন্তানকে নিয়ে একটি পরিবার বিবেচনা করা হয়। পরিবারের সদস্য এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিটি সন্তানের জন্য বাড়তি আড়াই শ মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের ধরতে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কর্মসূচি অর্থপাচারের একটি বড় মাধ্যম হয়ে গেছে। সেখানে শুধু কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার ফি নয়, বাসস্থান, গাড়ি ইত্যাদি কেনা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্যও বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়া জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে তথ্য চাইতে পারে। তিনি বলেন, সরকার সুযোগ থাকার পরও কেন অর্থ পাচারকারীদের ধরছে না, সেটাই অবাক করার বিষয়।
বাংলাদেশিরা সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শুরু করে ২০০৩ সাল থেকে। ওই বছর ৩২ জন বাংলাদেশি এতে অংশ নেয়। পরের বছর সংখ্যাটি ৬ গুণ বেড়ে ২০৪ জনে উন্নীত হয়। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে অংশ নেয় ২০০৫ সালে। ওই বছর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৮৫২ জন। এরপর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে অংশ নেয়া বাংলাদেশির সংখ্যা বছরে ১০০ জনের কম ছিল। পরে তা বেড়ে যায়। ২০১৬ সালে ২৮৩ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে অংশ নেন। যা আগের বছরের চেয়ে ৭৮ জন বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ১৬৩ জন ওই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় বছর শেষে এ সংখ্যা ৩০০ জনের বেশি হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে গত জুলাইয়ে সেকেন্ড হোম নিয়ে এক জাতীয় কর্মশালায় দেশটির পর্যটন ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী নাজরি আজিজ জানান, সেকেন্ড হোম কর্মসূচি থেকে স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসেবে মোট ১ হাজার ২৮০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সমান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপপ্রধান মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার কঠিন কোনো কাজ নয়। এ দেশে যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেন, তারাই সেকেন্ড হোম প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে বের করতে হবে কারা মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন। দেশীয় আইনে তাঁদের অর্থপাচারের বিচার করতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশে টাকা পাঠাতে পারে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া টাকা পাঠালে তা সরাসরি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের শামিল। তারপরও এসব অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এ ছাড়া এটি সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘ সময় ধরে এর ফলোআপে থাকতে হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এটি হয় না। সরকার বদল বা সংশ্লিষ্ট ডেক্সের কর্মকর্তা বদলি হওয়ার কারণেও হয়ে যায়। ফলে ফলোআপ সেভাবে হয় না। যে কারণে পাচার হওয়া টাকা ফেরানো যাচ্ছে না।
দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, আইনানুগ প্রক্রিয়ায় যাতে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনা যায়, সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ ছাড়া এনবিআর এবং দুদককেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

সূত্র জানায়, মূলত দুই প্রক্রিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্রথমত, অর্থপাচারের ব্যাপারে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেতে হবে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে দেশের আদালতে। মামলায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার পক্ষে রায় থাকতে হবে। আদালতের এ রায়ের কপি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে ওই দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে অবহিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস অর্থ ফেরত দেয়া যায় কিনা তা ওই দেশের আদালতে মামলা করবে। সংশ্লিষ্ট দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে আইনি জটিলতা রয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করবে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে আইনি জটিলতা না থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালত থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে রায় প্রদান করবে। এর পরই কেবল পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দ্বিতীয়ত, মামলা করা ছাড়াও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা যায়, যদি সংশ্লিষ্ট দেশের আইনি কোনো জটিলতা না থাকে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংস্থা এগমন্ড গ্রুপের সদস্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে এক দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে অন্য দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্ট নম্বরসহ সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে। ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। যাচাই-বাছাইয়ে তথ্য গরমিল না পেলে কেবল পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। তবে এ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। ১৫৫টি দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চাইলে পাওয়া যাবে। আর সে অর্থের সঙ্গে যদি কোনো অপরাধ থেকে থাকে, তবে তা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সবকিছু অনুকূলে থাকলে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অর্থ ফেরত আনতে ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও বিনিয়োগ সুরক্ষার অভাব আর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সম্পদশালীদের অনেকেই বিদেশে অর্থ পাচার করে বাড়ি বানাচ্ছেন, জমি কিনছেন, কারখানা গড়ছেন। ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার করছেন, আমদানি পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে আর রপ্তানি পণ্যের দাম কম দেখিয়ে। মধ্যম সারির কর্মকর্তা থেকে উচ্চপর্যায়ের আমলা, বেসরকারি চাকরিজীবীরাও নগদ অর্থ পাচার করছেন হুন্ডির মাধ্যমে, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে, বিদেশে বসে ঘুষের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালে প্রায় ৯১১ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি, প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারির মাধ্যমেও দেশ থেকে টাকা পাচার করা হয়েছে। এ ছাড়া সুইস ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংকেও বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের নজির রয়েছে।

http://www.dailysangram.com/post/310869