১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৫:১৪

রাজনৈতিক কারণে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হয় না

দেশে বেড়েছে দুর্নীতি। যে যত বেশী ক্ষমতাবান তার মধ্যে দুনীতির প্রবণতাও ততবেশী। দুনীতিবাজ এসব অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় দুনীতি যেমন বেড়েছে তেমন দুর্নীতিবাজরা কোন না কোন রাজনৈতিক বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের সাথে কোন না কোন সম্পর্কের কারণে উপযুক্ত শাস্তি পাচ্ছে না। সৎপথে অনেকে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো থাকতে চায় কিন্তু তা না হওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে অনেকে দুর্নীিিততে পা বাড়ায়। যতদিন পর্যন্ত শাস্তি নিশ্চিত না করা যাবে ততদিন দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলেন মন্তব্য করেন বিশিষ্টজনরা।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ‘দেশে দুর্নীতিবাজরা নগ্নভাবে তাদের ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে’ এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টজনদের দাবি এ দেশে দুর্নীতির ধরনটাই এমন, যার কারণে সাধারণ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র ফাঁস, চাঁদবাজি, টেন্ডাবাজি, অপহরণ ছিনতার যত অনিয়ম সবকিছুর পেছনে দুর্নীতি। আর এসবের বিচার হচ্ছে না কারণ অপরাধীরা রাজনৈতিক পরিচয়ে বেপরোয়া।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের সমাজে দুর্নীতিবাজ নামক শকুনের উদ্ভব হয়েছে, আমরা এদেরকে উৎখাত করতে চাই। ঋণের নামে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত সরকারি সেবা নিতে ঘুষ, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে দুর্নীতিবাজরা নগ্নভাবে তাদের ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের যে সকল দুর্নীতিবাজ ঔদ্ধ্যতের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। আমরা দল-মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতে চাই।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অর্থ নিয়ে ছিনিমিনি করার দিন শেষ হয়েছে। জনগণের অর্থলোপাটকারী কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। আগামী বছর কমিশন বড় বড় দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কমিশনের রিসোর্স এবং গোয়েন্দাদের মাধ্যমে দুদক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সারা পৃথিবীতে দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর দেশে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে যা আমাদের দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামে উৎসাহিত করেছে। তবে দুর্নীতি দমন শুধু দুদক বা সরকার অথবা মিডিয়া বা রাজনীতিবিদ কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামে নামলেই কেবল দুর্নীতি নির্মূল করা যেতে পারে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির মামলায় যে সকল ব্যক্তি চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন তাদেরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যংকের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করে ঋণ প্রদান করলে, দুদকের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই। কমিশনের সাধারণ নীতি হচ্ছে যে বা যার জনগণের অর্থ আত্মসাত্ করবেন তাদের কাউকেই নুন্যতম ছাড়ও দেওয়া হবে না।
দুর্নীতিকে এক ধরনের নেশা আখ্যায়িত করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টাকা যারা উপার্জন করে- তারা কিন্তু ভোগ করতে পারে না। দুর্নীতিবাজরা এই ব্যাপারটা বুঝতে পারে না। দুর্নীতি করে যে টাকা- যে সম্পদ তারা জমায়, তা তারা ভোগ করতে পারে না। শরীর স্বাস্থ্যের কারণে পারে না, বয়সের কারণেও পারে না। তাদের সম্পূর্ণ কাজটা হচ্ছে একেবারেই একটা নেশা। টাকার নেশা এবং ক্ষমতার নেশা। তাদের এই দুই নেশার কারণে আজকে আমরা দেখছি ব্যাংক লুট, সরকারি কাজে ঘুষ, ব্যবসায় অনিময়, প্রশ্নপত্র ফাঁস..., কোথায় নেই দুর্নীতিবাজরা? এক কথায় তাদের ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা বিষয়ে এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, এ দেশে দুর্নীতির ধরনটাই এমন, যার কারণে সাধারণ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে যত অনিয়ম সবকিছুর পেছনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যামিরেটস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, মানুষের লোভের সীমা অতিরিক্ত হওয়ায় দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।
অনিসুজ্জামান বলেন,‘মানুষ দুর্নীতি করে মূলত দুই কারণে। এক অভাব থেকে যারা কম বেতন পায় তারা অভাবের কারণে দুই-একশ টাকা ঘুষ খায়। আরেকটা লোভ থেকে যা আমাদের সমাজে বেশি ঘটছে। কারণ মানুষের লোভ সকল সীমা অতিক্রিম করে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও সেকেন্ড হোম তৈরি করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতি এমন একটি সামাজিক ব্যধি যা প্রতিকার করতে হলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরিবার থেকে দুর্নীতি করতে বাধা দেওয়া হলে দুর্নীতি রোধ হয়ে যাবে। এভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। এ সব থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ দুদকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুদকের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। তাদের কায্র্ক্রমে এমন হওয়া উচিত যাতে দুর্নীতিবাজ সকল মানুষ দুদকে দেখে ভয় করবে।’
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, “আমাদের জীবনটা কত বড় বলো... ছোটো এতটুকু একটা জীবন। আমাকে যদি আনন্দ পেতে হয় তাহলে স্বাভাবিক হচ্ছে..., আমি যদি দুর্নীতিবাজ হই, অসৎ হই, আমার জীবনে কোনো আনন্দ নাই। আয়নার সামনে দাঁড়াও, দেখো নিজেকে, তোমার মন বলবে- একটা চোর দাঁড়িয়ে আছে। তখন কেমন লাগবে বলো?”“আজকে এইখান থেকে এক লাখ টাকা চুরি করেছি, অমুক যায়গা থেকে ১০ কোটি টাকা চুরি করেছি... জীবনে কোনো আনন্দ আছে? নাই। জীবনটাকে আনন্দময় করতে হবে। আমি যদি জীবনে আনন্দ পেতে চাই, সুখী হতে চাই তাহলে প্রথম কাজ হচ্ছে- আমি অনেস্ট থাকব, অন্যায় করব না, অন্যকে অন্যায় করতে দেব না, অন্যের জন্য স্বার্থহীন ভাবে কিছু করব।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, “যারা দুর্নীতিবাজ মানুষ, তারা অনেক টাকা উপার্জন করে; এত টাকার কি দরকার আছে, বলো? একজন মানুষকে যদি খুবই সুখে-শান্তিতে থাকতে হয় তাহলে কত টাকা লাগে? কোটি টাকা তো লাগে না। অনেকে ভাবে আমাকে অনেক টাকা উপার্জন করতে হবে- নইলে জীবনে কিছু হবে না। সে টাকা উপার্জন করার জন্য দুর্নীতি করে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে- দুর্নীতি পরিহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, দেশে দুর্নীতির জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতারা। আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি, তবে দেশের দুর্নীতি স্বাভাবিকভাবেই অর্ধেক কমে যাবে। তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের মধ্যে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আমি সৎ, আমি শতভাগ সৎ মানুষ? এখানেই সমস্যা। অথচ বঙ্গবন্ধু সততা ও সাহসিকতার বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। আমরা যারা রাজনীতি করি, এখান থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারি।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। যাদের ক্ষমতা আছে তারাই দুর্নীতি করে। যদি এতে সবাই অংশ না নেয় তাহলে দুর্নীতি হয় কীভাবে। পরোক্ষভাবে আমরা সবাই দুর্নীতিতে জড়িত। সবাই যদি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত না থাকত তাহলে দুর্নীতি হতো না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির সংস্কৃতি ছিল না। এটা একটি গোপনীয়তার মধ্যে ছিল। একটু শরমের বিষয় ছিল। এখন আর তা নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে আমাদের দুর্নীতিতে জড়িত হতে হয়।
মুহিত বলেন, পৃথিবীতে দুই ভাবে দুর্নীতি উৎপাটন হয়েছে। প্রথমত বিপ্লব এবং দ্বিতীয়ত বিভিন্ন কৌশল বা উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে দুর্নীতি করার সুযোগ কমে আসে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও যাদের হাতে সেবা দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি করেন। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশীদেরও পরোক্ষভাবে দুর্নীতিতে জড়ানো হচ্ছে। তবে সেবা প্রত্যাশীরা যদি সম্মিলিতভাবে এতে অংশগ্রহণ না করেন তাহলে দুর্নীতি করা কঠিন হয়ে যাবে।

শুধু মুখে দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলে দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব হবে না উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর প্রয়োগ করতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিকারীদের জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।
অবাধ তথ্য প্রবাহ ও স্বাধীন মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা থাকলে দুর্নীতির প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলে অভিমত জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করার উদ্যোগ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এই উদ্যোগ স্বাধীন মত প্রকাশ ও অবাধ তথ্য প্রবাহে সহায়তার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

সংবিধানে নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার সুস্পষ্টভাবে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বা এরূপ কোনো ধারা কোনো আকারে অন্য কোনো আইনে অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ণ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইফুল আলম বলেন, দুদককে প্রথমেই তার নিজের ভাবমূর্তি অর্জনের কাজটি করতে হবে। জনগণের আস্থা তৈরি করতে হবে। দুদকের আইনি স্বাধীনতা কতটা নিশ্চিত- তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্ষমতা যার কাছে আছে তারাই দুর্নীতি করে। যারা রাস্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে তাদের ধরতে হবে। বড় দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হয়েছে- মানুষ তা দেখতে চায়। বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতির উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় কেন ৩০ হাজার কোটি টাকা হবে। দুদককে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। কারা এ দুর্নীতিতে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে। দুদক চাইলে এ সম্পর্কিত তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছ থেকেও নিতে পারে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের তো এবিসি গ্রেড নেই। এ সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তিনি বিদ্যুৎ সহ বড় বড় প্রকল্পের দুর্নীতি ধরার জন্য দুদকের প্রতি অনুরোধ জানান।

সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ওপর অর্পিত কাজ না করাও দুর্নীতি। দুদকের উচিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করা। শিক্ষা খাতের দুর্নীতি ধরার ওপর জোর দেন তিনি।
তাহের সরদার মনে করছেন, ‘‘সীমাহীন লোভ এবং মনুষ্যহীনতা ও উচ্চবিলাসিতা আর মানুষের মনে সৃষ্টিকর্তার ভয় না থাকাই বাংলাদেশে দুর্নীতি বাড়ার কারণ৷
অন্যদিকে জলিল আহমেদের ধারণা, সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার কারণেই দুর্নীতি বেড়েছে৷ সাইফুল ইসলাম ইয়েমিনের মতে দুর্নীতি বাড়ার কারণ হচ্ছে, ‘‘জবাবদিহিতার অভাব!'' তাঁর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁরাই বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত...৷''
বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো একটু বিস্তারিতভাবে জানাতে গিয়ে সাঈদ রহমান সরদার বলেন,দুর্নীতির প্রধান কারণ, একটি ভালো, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি আমাদের দেশে৷ তাই আইনের শাসন সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না আর রাজনীতিবিদদের জায়গায় ব্যবসায়ীরা ঢুকে গেছেন৷ ছাত্র ও যুবনেতা নামধারীরা রাতারাতি ধনী হওয়ায় জন্য অনেক ধরনের অপকর্ম করছেন৷'
রিপোর্টার্স এগেনিষ্ট করোপশসন (রেক) এর সহ সভাপতি মতলু মল্লিক জানান, যে যত বেশী ক্ষমতাবান তার মধ্যে দুনীতির প্রবনতা বেশী। শাস্তি না হওয়ায় দুনীতি বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সৎপথে অনেকে অর্থনৈতিক ভাবে ভালো থাকতে চায় কিন্তু তা না হওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে অনেকে দুর্নীতিতে পা বাড়ায়। যতদিনপর্যন্ত শাস্তি নিশ্চিত না করা যাবে ততদিন দুর্নীতি বন্ধ হবে না।

 

http://www.dailysangram.com/post/310742