৬ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১০:১৩

অনিয়মের ঋণে কমিশন খেয়েছেন বাচ্চুর ভাই

বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০১২ সালের ২২ মে ডেল্টা সিস্টেমস লিমিটেডের নামে ৫০ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব আসে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে। প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির নেতিবাচক মতামত সত্ত্বেও পরদিনই প্রস্তাবটি পর্ষদের সভায় অনুমোদন করা হয়। একই বছরের ১৩ জুন ঋণের অর্থ ছাড় হয়। পরদিন ক্রাউন প্রোপার্টিজ নামে এক কোম্পানির স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাবে ৮ কোটি টাকা জমা হয় ডেল্টা সিস্টেমসের হিসাব থেকে। এই ক্রাউন প্রোপার্টিজের মালিক আবদুল হাই বাচ্চুর আপন ছোট ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না। শুধু ডেল্টা সিস্টেমস নয়, আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ পাওয়ার পর বাচ্চুর ভাইয়ের হিসাবে কমিশন হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছে। নমুনা ভিত্তিতে তদন্ত করে অর্থ স্থানান্তরের এমন কিছু তথ্য উদ্ঘাটন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাচ্চুর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজেও ব্যাংকের এক ঋণগ্রহীতার হিসাব থেকে অর্থ গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখার গ্রাহক ৯টি প্রতিষ্ঠানের ওপর অধিকতর তদন্ত করেছে। এসব ঋণগ্রহীতার হিসাব থেকে পান্নার অ্যাকাউন্টে গেছে ২২ কোটি টাকা। আর সে সময়ে গুলশান শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালনকারী সিপার আহমেদের অ্যাকাউন্টে গেছে ৯ কোটি টাকা। ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সিপার আহমেদকে (ডিজিএম) ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বরখাস্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তার বাড়ি বাচ্চুর এলাকা বাগেরহাটের চিতলমারী। এর আগে তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকে চাকরি করতেন। ২০০৯ সালে বাচ্চু চেয়ারম্যান হওয়ার পরের বছর সিপারকে বেসিক ব্যাংকে চাকরি দেন। বাচ্চুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অল্প দিনে দুটি পদোন্নতি পেয়ে তিনি ডিজিএম হন। তদন্ত কর্মকর্তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন, পান্না ও সিপারের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত এসব টাকা ঋণ পাওয়ার বিনিময়ে কমিশন হিসেবে গেছে। কেননা এসব ঋণগ্রহীতার সঙ্গে তাদের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, ব্যাপকভিত্তিতে তদন্ত করলে পান্না কিংবা বাচ্চুর স্বার্থসংশ্নিষ্ট অ্যাকাউন্টে আরও বড় অঙ্কের টাকা কমিশন হিসেবে জমা হওয়ার তথ্য মিলতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। দুদক প্রতিবেদনের আলোকে বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ অনিয়মে অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হলেও বাচ্চুকে আসামি না করায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ছিল। সব শেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আবদুল হাই বাচ্চু দুদক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হন। যদিও সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সব দায় চাপিয়েছেন তখনকার এমডি কাজী ফখরুল ইসলামের ওপর।

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সমকালকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগের এক প্রতিবেদনে বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন পর্ষদ দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করেছিল। এখন অধিকতর তদন্তে যে তথ্য পাওয়া গেল তা সঠিক হয়ে থাকলে এ ব্যাংকের জালিয়াতির সঙ্গে এর সাবেক চেয়ারম্যানের জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তি শক্ত হলো। আবদুল হাই বাচ্চু অবশ্য দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ অনুসন্ধান তা বলছে না। এ অনুসন্ধান যথার্থ হলে তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বেসিক ব্যাংকের সাবেক একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় পান্না নিয়মিত বেসিক ব্যাংকে যেতেন। বেসিক ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ঠিক করে দেওয়া এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঋণ দ্রুত ছাড় করানো ছিল তার কাজ। এর বিনিময়ে তিনি কমিশন পেতেন, যা ছিল ব্যাংকে 'ওপেন সিক্রেট'।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুল হাই বাচ্চু এবং তার ভাই পান্নার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তারা সাড়া দেননি। পান্না যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সর্বোচ্চ টাকা নিয়েছেন সেই ডেল্টা সিস্টেমস বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য। সমিতির ওয়েবসাইটে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল হক সিকদারের নাম রয়েছে। সেখানে দেওয়া নম্বরটি চালু থাকলেও কয়েক দফা ফোন করেও সাড়া মেলেনি। বেসিক ব্যাংকের ঋণের নথিতে ফয়জুল হককে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার বলা হয়েছে।

যাদের টাকা পান্নার অ্যাকাউন্টে :বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখায় আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন মেসার্স বিএস ট্রেডিং এবং অ্যাঞ্জেল এগ্রো ফিডের নামে ঋণের পরিমাণ ৭৭ কোটি টাকা, যার সবই এখন খেলাপি। বিএস ট্রেডিং থেকে পান্নার মালিকানাধীন বি.এ. কম্পিউটার্সের হিসাবে গেছে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা এবং ক্রাউন প্রোপার্টিজের হিসাবে গেছে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অ্যাঞ্জেল এগ্রো ফিড থেকে ক্রাউন প্রোপার্টিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে আরও দেড় কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএস ট্রেডিংয়ের নামে ২০১০ সালের ২৬ জুলাই একটি চলতি হিসাব খোলা হয়। অথচ ওই তারিখের আগেই ৬ জুলাই তার নামে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করে বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ। পরবর্তী সময় ঋণটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। কোনো আদায় না থাকার পরও ২০১২ সালে তিন দফায় ঋণসীমা বৃদ্ধি করে পাঁচ কোটি টাকা থেকে ৩৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৫ লাখ টাকা।

আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া অ্যাঞ্জেল গ্রুপের চেয়ারম্যান। গ্রুপের ওয়েবসাইটে তাকে কুমিল্লার দেবীদ্বারের বিখ্যাত পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে বিএস ট্রেডিংকে কৃষি খাতের স্বনামধন্য কোম্পানি বলা হয়েছে। অ্যাঞ্জেল গ্রুপের ঠিকানা ৫৩ মতিঝিল মডার্ন ম্যানশনের ৯ম তলায়। কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বর এখন অকেজো। আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মোবাইল নম্বরে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমদানি-রফতানিকারক হিসেবে নিবন্ধিত টাইম ট্রেড ইমপেক্স নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক মইন রশীদ। গুলশান শাখায় ২০০৮ সালের মার্চে এ প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি হিসাব খোলা হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মইন রশীদের অ্যাকাউন্ট থেকে বাচ্চুর ভাইয়ের মালিকানাধীন ক্রাউন প্রোপার্টিজের অ্যাকাউন্টে যায় এক কোটি টাকা। আর গুলশান শাখার তখনকার ব্যবস্থাপক শিপার আহমেদের ভাই রাকিব হাসানের প্রিমিয়ার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যায় ১৫ লাখ টাকা। পরে যা আবার শিপার আহমেদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। সব মিলিয়ে শিপার আহমেদের অ্যাকাউন্ট এভাবে ৯ কোটি টাকা স্থানান্তরের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এবি ট্রেড লিংক নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলা হয় ২০১১ সালের জুলাইয়ে। ওই বছরের ১৪ আগস্ট গ্রাহক ৫০ কোটি টাকার সিসি, ২০ কোটি টাকার এলসি ও ১৫ কোটি টাকার এলটিআর ঋণের আবেদন করেন। শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় ১২ সেপ্টেম্বর। অথচ প্রস্তাব পাঠানোর আগেই ৬ সেপ্টেম্বর পর্ষদ তার নামে ৪৫ কোটি টাকার এলটিআর, ২০ কোটি টাকার এলসি এবং ১০ কোটি টাকার এলটিআর ঋণের অনুমোদন করে। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে দেওয়া জমি ছিল ভুয়া। ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্টও দেখা হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে গুলশান শাখার তখনকার ব্যবস্থাপক শিফার আহমেদের ভাই শাকিল আহমেদের প্রতিষ্ঠানের নামে ৫০ লাখ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাচ্চুর কলেজেও গেছে টাকা :ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজের নামে গুলশান শাখায় চলতি হিসাব খোলেন এর স্বত্বাধিকারী হারিস মোহাম্মদ বিন মকসুদ আহমেদ। ২০১২ সালের ৪ মার্চ হিসাব খোলার পর ঋণ আবেদন করে ২৭ মার্চ। হার্ডওয়্যার আইটেম আমদানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য ৬০ কোটি টাকার এসওডি, ১৫ কোটি টাকার এলসি ও ৫ কোটি টাকার এলটিআর ঋণ সুবিধার জন্য গ্রাহক আবেদন করে। শাখার ঋণ কমিটির নেতিবাচক মন্তব্যসহ ওই দিনই প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরের দিন পরিচালনা পর্ষদ এই প্রতিষ্ঠানের নামে ৬০ কোটি টাকার এসওডি ঋণ অনুমোদন করে। ঋণের শর্ত পরিপালন না করেই আবদুল হাই বাচ্চুর এক সময়কার ঘনিষ্ঠ বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি মোনায়েম খানের মৌখিক নির্দেশে ঋণের পুরোটাই নগদে উত্তোলন করার সুযোগ দেয় শাখা। এ ঋণ ছাড়ের পর ওই হিসাব থেকে চিতলমারীতে শেখ আবদুল হাই কলেজের হিসাবে ১০ লাখ টাকা জমা হয়। আর সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় লাকী শিপ বিল্ডার্সের হিসাবে যায় ১০ কোটি টাকা। অন্য ব্যাংকের খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করে প্রতিষ্ঠানটিকে এই ঋণ দেওয়া হয়। পরে যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নামে চলতি হিসাব খোলা হয় ২০১১ সালের এপ্রিলে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ৭৬ কোটি টাকা।

এই আবদুল হাই কি বাচ্চু :ঢাকার তেজতুরি পাড়ার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ফুড ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি। ট্রেডিং ব্যবসার জন্য ২০১২ সালের জুলাইয়ে একটি চলতি হিসাব খোলে এই প্রতিষ্ঠান। তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবদুল বারী খানের কাছে বর্তমানে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব থেকে মো. আবদুল হাই নামে এক ব্যক্তির হিসাবে এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা স্থানান্তরিত হয়। যার মধ্যে ২৭ লাখ টাকা যায় একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে। অন্যান্য হিসাবে দেওয়া হয় ৩৭ লাখ টাকা। আর নগদে বিভিন্ন ব্যক্তি তোলেন এক কোটি ১৩ লাখ টাকা। এই আবদুল হাই বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কি-না তা নিশ্চিত হতে পারেনি তদন্ত দল।

পোশাক প্রস্তুত ও রফতানির জন্য লাইফ স্টাইল ফ্যাশন মেকার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে বাচ্চুর ভাইয়ের ক্রাউন প্রোপার্টিজের অ্যাকাউন্টে ২০১২ সালের ১৪ জুন আট কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে। এর আগের দিন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক মিতুল প্রোপার্টিজের অ্যাকাউন্টে যায় দুই কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৬ কোটি টাকা।

জামালপুরের ধ্রুব ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ মতিউর রহমানের নামে ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকেও বাচ্চুর ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ৮০ লাখ টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে।

পটভূমি :এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পরিদর্শনে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা, শান্তিনগরসহ কয়েকটি শাখায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণে অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। মূলত ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত এসব অনিয়ম হয়। অনিয়মের তথ্য উদ্ঘাটনের পর ২০১৪ সালের ২৫ মে তখনকার এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই বছরের জুনে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়। অবশ্য পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন মূল অভিযুক্ত তখনকার চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে দুই হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ৫৬টি মামলা করে। গত বছরের ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান ও আগারগাঁও থানায় দায়ের করা ওইসব মামলায় ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামসহ মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়।

 

 

http://samakal.com/economics/article/1712289