২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১০:৫০

নেপালে ভারতের দিন ফুরিয়ে এসেছে

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : নভেম্বরের মাঝামাঝি। তবুও আমরা স্থির করলাম, নেপাল যাব। নাগরকোট বা পোখারায় শীত তখন জাঁকিয়ে পড়ার কথা। নেট ঘেঁটে তাপমাত্রা দেখলাম। দিনে ছাব্বিশ, রাতে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। সহনশীলই মনে হলো। দুই একদিনে কতটুকুই বা আর ঊনিশ-বিশ হবে। এবার আমাদের যাত্রার লক্ষ্য নাগরকোট। সেও নেট ঘেঁটে হোটেলগুলোর খোঁজ নিলাম। হাজার দুই নেপালি রুপির মধ্যে যে সব রুম দেখলাম তার একটা পছন্দ হলো। হোটেল মাউন্ট হ্যাভেন। পর্বতের একেবারে চূড়ায়। কিন্তু এর খাঁচে খাঁচে রোদ আসে সামান্যই। সে সব আর নেটে খুঁজে দেখিনি।

ত্রিভূবন বিমানবন্দরে নেমে খানিকটা অবাকই হলাম। পাঁচ ছয় বছর আগে যখন নেপাল গিয়েছিলাম। তখন বিমানবন্দরটিকে কেমন মরা মরা লাগছিলো- প্রাণহীন। কর্মচাঞ্চল্যহীন। একটা বিমান এলে ধীরে সুস্থে দুই একজন বিমানবন্দর কর্মী ডেস্কে এসে হাজির হয়। এক ধরনের হাসির কান্ড। একবার ত্রিভূবন বিমানবন্দরে নেমে দেখি কাস্টমস ইমিগ্রেশন কোথায়ও কোনো লোক নেই। তারপর ডাকাডাকি শুরু করলাম। ইংরেজি বাংলা এবং অপটু হিন্দিতে। কেউ কি কোথায়ও আছেন। আমার পাসপোর্টে একটা সিল দিয়ে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে এক ভদ্রলোক উঁকি দিলেন। তারপর চলে গেলেন। মনে হলো নির্বিঘ্নে হেঁটে পার হয়ে চলে যাওয়া যায়। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করার নেই। এবার দেখলাম সেই চিত্র একেবারে পাল্টে গেছে। বিমানবন্দর সরগরম। প্রত্যেক কাউন্টারে লাইন। অন অ্যারাইভাল ভিসা ব্যবস্থা। সবটাই কম্পিউটারাইজড। নিজে নিজে ফর্ম ফিলআপ করে একটি কাগজ বের করতে হয়। আমার নিজের কাছে কাজটি অসাধ্য মনে হলো। এরকম আমার মতো বোকা লোকের সংখ্যা অনেক ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমার মেয়ের সহায়তায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাগজের টুকরাটি মিললো। যতদূর মনে পড়ে আগের বার কনভেয়ার বেল্ট ছিলো একটি। এবার দেখলাম গোটা চারেক। অন্যান্য আধুনিক বিমানবন্দরের মতোই কোন ফ্লাইটের লাগেজ কোন বেল্টে আসবে তার ইলেক্ট্রনিক নাম্বার। এটি নেপালে গণতন্ত্রের সুফল কিনা বলতে পারি না। পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। ফ্লাইটের পর ফ্লাইট নামছে। কর্মচারীরা হিমশিম খাচ্ছেন। ব্যস্ত হাতে সামাল দিচ্ছেন।

প্রথম রাত কাঠমান্ডুতেই কাটালাম। পরদিন সকালেই রওনা হলাম নাগরকোটের দিকে। আঁকাবাঁকা পার্বত্য পথ। কাঠমান্ডুর রাস্তাঘাট ভালো, তবে ঢাকার মতোই ট্রাফিক জ্যাম। অবশ্য একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম। আমাদের মতো সেখানে কোনো সড়কেই আইল্যান্ড নেই। যাতায়াতের রাস্তা সাদা দাগ দিয়ে পৃথক করা। এই সাদা দাগ সহজে কেউ অতিক্রম করে না। কাঠমান্ডু থেকে নাগরকোট মাত্র ২৪ কিলোমিটার। যেতে লাগে দু’ঘন্টা। পুরোটা রাস্তাই ভাঙা এবড়োখেবড়ো আর উঁচুনিচু। শত শত বাঁক। ভাড়া আড়াই হাজার নেপালি রুপি। এক ডলারে বাংলাদেশি ৮৩ টাকা পাওয়া যায় আর নেপালি পাওয়া যায় ১০৭ রুপি। সে হিসেবে ট্যাক্সি ভাড়া অনেক বেশি। বাস আছে। কিন্তু পর্যটকদের পক্ষে রুট খুঁজে বের করা কঠিন ব্যাপার। নেপালিরা এমনিতেই কষ্টসহিষ্ণু জাতি। পাহাড় নেই, পর্বত নেই। উঁচুনিচু নেই। হাঁটা দেয়। সাধারণত তারা হেঁটেই গন্তব্যে চলে যায়। সময় তাদের কাছে বড় কোনো ফ্যাক্টর নয়। ট্যাক্সি ও মোটর সাইকেল ছাড়া কার্যত কোনো যানবাহন নেই। বাস যেখানে থামে, সেখান থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব ঘন্টা দুয়েকের পথ। হেঁটেও রওনা হয়। বাচ্চারা হেঁটেই স্কুলে যায়। দুই ঘন্টা ক্লাস করে। আবার দুই ঘন্টা হেঁটেই বাড়ি ফেরে। তাদের অনেকেই শিশু-কিশোর হলেও বাকি সময় আশপাশের হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে। হয়তো তাদের নিজের বাড়িঘর বহু দূরে।

ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হোটেল মালিকের নম্বর দিলাম। কোথায় কিভাবে যাবে তা বুঝে নেওয়ার জন্য। দুর্গম পার্বত্য পথ পেরিয়ে এক সময় আমরা ঠিকই হোটেল মাউন্ট হ্যাভেনে পৌঁছে গেলাম। হোটেলটি হিমালয়ের চূড়ায় কাছাকাছি হলেও মূল রাস্তা থেকে দেড় শ’ গজ খাড়া নিচে নেমে গেছে। আমাদের ট্যাক্সিটা ছিলো আট শ’ সিসির একটি হুন্দাই কার। এক সময়ে এখানে শুধু ভারতীয় মারুতি সুজুকি গাড়িই ছিলো। এখন মারুতি সুজুকির প্রায় সমান সমান হয়েছে হুন্দাই টয়োটা। ড্রাইভার ঐ খাড়া পথ ধরে নিচে নামতে চাচ্ছিলেন না। তিনি জানালেন, হোটেলে গিয়ে পোর্টারকে ডেকে আনবেন। মালামাল বহনের জন্য। ডেকে আনলেনও বটে। পোর্টার সঙ্গে নিয়ে এলেন একটি লাঠি। আমার স্ত্রীর হাতে লাঠিটি দিয়ে বললেন, এই লাঠিতে ভর দিয়ে দিয়ে নামুন। আমি মোটামুটি ধীর পায়ে খালি হাতেই নেমে গেলাম। পাহাড়ি পথে ওঠা নামায় এই লাঠি এক বিরাট অবলম্বন। শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। নতুবা উঠতে নামতে মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমাদের জন্য বরাদ্দ রুম নম্বর এক শ’ তিন। তিনজন থাকার ব্যবস্থা, কিন্তু সমস্যা হলো একটাই। সকালে খানিকটা রোদ ছিলো। আমরা যখন পৌঁছলাম তখন রোদ নেই। কুয়াশায় এলাকাটি ঢেকে গেছে। প্রচন্ড শীত। হোটেল মালিক মোহন দাশ জানালেন, তখনকার তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি মাত্র। আমি এমনিতেই শীত কাতুরে মানুষ। ছয় ডিগ্রি শুনেই আমার ঠান্ডা যেন আরও বেশি লাগতে শুরু করলো। হোটেলের যেটা মূল ভবন, সেখানে রোদ খুব কমই পড়ে। এমনিতে ঠান্ডা, তার ওপর টিপটিপ বৃষ্টি। সুন্দর রুম। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। হোটেলকর্মীরা খুবই ডিউটিফুল। যে রুমে রাতে কোনো গেস্ট থাকেনি, সে রুমও সকাল বেলা ঝাড়ু দিয়ে ঝকঝকে তকতকে করে মুছে ফের তৈরি করে। রুমের ভেতর হিটার আছে। কিন্তু মনে হলো ঠান্ডার সাথে লড়াই করতে সেই হিটার খুব বেশি প্রস্তুত নয়। নেপালে বিদ্যুতের ঘাটতি আছে। কখন বিদ্যুৎ যায় বলা যায় না। তখন হিটারের আয়োজনও ভন্ডুল হয়ে যায়। তবে যে তিনদিন আমরা সেখানে ছিলাম, তার মধ্যে মাত্র দুবার অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ গিয়েছিল।

হোটেলটিতে মাত্র ১১টি রুম। সেদিন ৫-৬ রুমে গেস্ট ছিল, বাকিগুলো ছিলো ফাঁকাই। সন্ধ্যায় চা খেতে খেতে মোহন দাশের সঙ্গে গল্প করতে বসলাম। পঞ্চাশ বছর বয়সি অমায়িক ভদ্রলোক। বড় মেয়ে চীনে মেডিকেলে পড়ে। চীনা ভাষা শেখার কোর্স শেষ। আর চার বছর পর সে ডাক্তার হয়ে ফিরবে। আর ডাক্তার হয়ে ফিরলে চীনা ভাষা জানার কারণে মাস শেষে আয় করবে কমপক্ষে ৬ লক্ষ নেপালি রুপি। অপর মেয়ে ইন্টারমিডিয়েটে। ভালো ছাত্রী। ছোটটি ছেলে- সেও ক্লাসের ফার্স্ট বয়। মোহন দাশের আশা, এক সময় তার ছেলে এই হোটেল ব্যবসা দেখাশুনা করবে। মোহন দাশ আগে ব্যবসা করতেন ব্যাংক লোন নিয়ে। সেটি যেন তার জন্য এক বোঝা হয়ে গিয়েছিল। এরপর একটু স্বস্তির ব্যবসা করার জন্য সম্পূর্ণ নিজের অর্থে কোনো ব্যাংক লোন ছাড়াই এই হোটেলটি দিয়েছেন। এখন, তিনি জানালেন, তার মাথায় কোনো বোঝা নেই। ভক্তারপুরে তার তিন-চারটি বাড়ি আছে। অন্যান্য সম্পদ আছে। এখনও বাবা-মা বেঁচে আছেন। যেদিন হোটেলে অতিথি কম থাকে। সেদিন তার ছুটির দিন। টয়োটা গাড়ি নিজেই চালিয়ে বাড়িতে বাবা-মা, ভাইবোন ও স্ত্রী-সন্তানের কাছে চলে যান। যৌথ পরিবার। বেশ আছেন মোহন দাশ।

কথায় কথায় নেপালের রাজনীতির প্রসঙ্গ এলো। এক সময় আমিই ব্যক্তিগভাবে পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডের ঘোর সমর্থক হয়ে উঠেছিলাম। তখন নেপালের রাজনীতির অন্ধিসন্ধি অতটা বুঝিনি। কিন্তু ভারতের দীর্ঘকালের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দুভালের লেখা পড়ে খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে যাই। দুভাল লিখেছেন, চীনপন্থী প্রচন্ডকে ক্ষমতা থেকে হটাতে ভারতের কংগ্রেস সরকার এক শ’ কোটি রুপি খরচ করেছিল। এবার প্রচন্ড ও ওলি মিলে সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু মাঝ পথে ওলির সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে প্রচন্ড ওলিকে ত্যাগ করে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাকি সময়ের জন্য সরকার গঠন করেন। তখন আমি ব্যক্তিগতভাবে বিস্মিত হয়েছিলাম। কংগ্রেসের সঙ্গে প্রচন্ড কীভাবে হাত মিলাতে পারলেন? নেপালি কংগ্রেস যে ভারতের অনুগত, তা সকলে জানে। আবার এখন ও আগামী মাসে নেপালে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে ওলি ও প্রচন্ড ফের জোট বেঁধেছেন। মোহন দাশ মনে করেন, এই মৈত্রী টিকবে না। নেপালি রাজনীতিকরা খুবই অসৎ। সে কথা তো সত্য। ভারত যে এক শ’ কোটি রুপি খরচ করেছিল, তা বন্টন করা হয়েছিল রাজনীতিকদের মধ্যেই এবং তারাই এখনও রাজনীতি করছেন। কিন্তু মাঝখান থেকে নেপালে ভারতের ক্ষতি হয়েছে অনেক।

ওলি সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ভারত আরও কত কোটি টাকা খরচ করেছে, বলতে পারি না। কিন্তু নেপালের সংবিধান প্রনয়ণকে কেন্দ্র করে ভারত নেপালের বিরুদ্ধে আকস্মিকভাবে বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে বসে। বন্ধ করে দেয় জ্বালানি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শাক-সবজি ও তরি-তরকারি আমদানির পথ। অথচ নেপালের আশি শতাংশ বাণিজ্য হয় ভারতের মধ্য দিয়ে। মোহন দাশ জানালেন, যখন অবরোধ হলো। তখন রান্নার জন্য কোনো জ্বালানি ছিলো না। তার হোটেলেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে কাঠ। রেশনে দেয়া হয়েছে চেলা কাঠ। তবু নেপালিরা নতি স্বীকার করেনি। সেরকম বিপদের দিনে চীন দাঁড়িয়েছিলো নেপালের পাশে। যা কিছু পণ্য ভারত থেকে আসতো তার সবই সরবরাহ করেছে চীন। তাতেই নেপালের মানুষ চীনকেই বেশি আপন করে নিয়েছে। ভারতীয়রা এখন নেপালে এক ধরনের ঘৃণার শিকার। আগে নেপালে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে মদ পর্যন্ত সবই ছিলো ভারতীয়। এখন এর সবই নেপাল তৈরি করছে। ছোটখাট দোকানে ভারতীয় পণ্য নেই বললেই চলে।
মোহদ দাশ জানালেন, রুম খালি থাকলেও তিনি সহজে ভারতীয়দের ভাড়া দেন না। ভারতীয় পুরুষরা নাকি রাতে নেপালি মেয়ে দাবি করে। ফলে একবার মোহন দাশ তিনজন ভারতীয়কে তার হোটেল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ব্যবসা, ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে নেপালিদের কোনো ইজ্জত নেই? এখানে এসে ভারতীয়রা যা খুশি তাই করবে। খালি পড়ে থাক রুম। ভারতীয়দের ভাড়া দেব না। এই প্রশ্ন সঙ্গত । গণতন্ত্র ক্রমেই তাদের মধ্যে আত্মমর্যাদা বাড়িয়েছে। মোহন দাশের হোটেলে যে খাবার ব্যবস্থা তা ভেজিটেরিয়ান, আর যা কিছু রান্না হচ্ছে তার নব্বই ভাগই হোটেলের আঙিনায় চাষ হয়। মোহন দাশই বললেন, নেপালে এখন নব্বই ভাগ মানুষ ভারতকে ঘৃণা করে। আপনি যে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। দেখবেন তারা একবাক্যে সে ঘৃণা প্রকাশ করছেন। সেটা লক্ষ্য করলাম কেনাকাটা করতে গিয়ে। আগে কেনাকাটা করতে গেলে নেপালিরা আইসি (ইন্ডিয়ান কারেন্সি) চাইত। এবার কোথায়ও তেমনটা ঘটেনি।

পরদিন ভোরে নাগরকোট থেকে অন্নপূর্ণায় সূর্যোদয় দেখতে গেলাম। ট্যাক্সির বদলে আমাদের ড্রাইভ করে নিয়ে গেলেন মোহন দাশ নিজেই, ভাড়ার বিনিময়ে। তিন কিলোমিটার পথ। ট্যাক্সি ভাড়া এক হাজার রুপি। সেখানে গিয়ে কৌতূহল হলো দর্শনার্থী টাওয়ারে ওঠা সিঁড়ির নিচে অনেক ঝুপড়ি টাইপ দোকান। চা-কফি, চালের পিঠা, সবজি-রুটি সব আছে। কৌতূহলবশত একজন দোকানিকে জিজ্ঞেস করলাম ভারতীয়দের কথা। তাদের মনোভাব জানতে চাইলাম। ভারতীয়দের সম্পর্কে দেখলাম মোহন দাশের কথাই সত্য।ভারতের কথা একদম শুনতেই চাইলেন না তারা। রাজিব গান্ধির আমলেও একবার ভারত নেপালে অবরোধ আরোপ করেছিল। তার দীর্ঘদিন পর নরেন্দ্র মোদি অবরোধ আরোপ করে নেপালিদের শত গুণ বেশি ঘৃণা কুড়িয়েছে। কারণ শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে নেপালে। কিন্তু একটা বিষয় এখনও আছে। নেপালিরা ইংরেজিতে যতটা না অভ্যস্ত, হিন্দিতে ততটাই বেশি অভ্যস্ত।
আকাশ পরিষ্কার ছিলো। পূর্বাকাশ ধীরে ধীরে আলোকিত হয়ে উঠলো। তারপর সেই আলো পড়লো অন্নপূর্ণার শিখরে। হিমালয়ের চূড়া মুহূর্তের মধ্যে যেন সোনায় মুড়িয়ে গেল- সে দৃশ্য ভুলবার নয়। মনে মনে বললাম, নেপালের ভবিষ্যৎও এমন আলোকিত হয়ে উঠুক।

 

http://www.dailysangram.com/post/309423