২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১০:৪৩

নিম্নমানের কাগজে বই

দেড় কোটি টাকার বিল আটকে দিচ্ছে এনসিটিবি

ছাড়পত্র না নিয়ে নিম্নমানের কাগজে ছাপিয়ে উপজেলায় বই সরবরাহ করায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় কোটি টাকার বিল আটকে দিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর মধ্যে পিএ প্রিন্টার্সের
১ কোটি টাকার বেশি। এদিকে প্রাথমিকের বই যথাসময় মুদ্রণ করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা। খুব শিগগির সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিনামূল্যের বইয়ের সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন। এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকা কমে কাজ নেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। ভারতের চেয়ে ভালো মানের বই দেয়া হয়েছে দাবি করে সমিতির নেতারা বলছেন, এ বিষয়টি জানানো হবে সংবাদ সম্মেলনে।
এ ব্যাপারে মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান মানবজমিনকে বলেন, শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়গুলো জানানো হবে। ভারতের প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম দামে কাজ নিয়েও মানসম্মত বই দিতে পেরেছি। বইয়ের কাজ দেশে থাকায় দেশের শিল্প রক্ষা পাবে।

এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সরকার মানবজমিনকে বলেন, আমি বিষয়গুলো জানি। ছাড়পত্র ছাড়া কোনো বই উপজেলায় পৌঁছালে তার বিল কোনোদিন পাবে না।
এনসিটিবির সূত্রে জানা গেছে, পিএ প্রিন্টার্স প্রাথমিকের ১টি লটে মোট ৮ লাখ ৭২ হাজারের বেশি বইয়ের কাজ পায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ৬ লাখের মতো বই ছাপালেও বাকি ২ লাখ ৭২ হাজার বইয়ের সর্বশেষ কোনো অবস্থা জানাতে পারেনি। এর মধ্যে এই প্রিন্টার্সের ১ লাখ ৮৭ হাজার বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরিদর্শন টিম কন্টিনেন্টাল বিডি গত ২২শে নভেম্বর এনসিটিবি ও ডিপিইকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পিএ প্রিন্টর্স বইয়ে বিভিন্ন ফর্মায় নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপিয়েছে। নির্ধারিত ৮০ জিসিএমের কাগজে বই ছাপার কথা থাকলেও পিএ তারচেয়ে ৫ জিসিএম কমে ৭৫ জিসিএমে বই ছাপিয়েছে। এজন্য চর্তুথ শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ৩৫ হাজারের বেশি বইয়ের ছাড়পত্র আটকে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বাকি বইয়ের কোনো অস্তিত্ব প্রেসে মি

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=94129