২৮ নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:১৩

হাইকোর্টে খালাস পেলেন আ.লীগ নেতা তোরাব আলী

বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী খালাস পেয়েছেন হাইকোর্টে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না হওয়ায় কী কারণে তিনি খালাস পেয়েছেন তা জানা যায়নি। আইনজীবীরাও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। তারা বলেছেন, পুর্নাঙ্গ রায় পেলে খালাসের কারণ জানা যাবে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির হাইকোর্টের কিশেষ বেঞ্চ এই খালাস আদেশ দেন। তিন সদস্যের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
এ মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী জাহিদ সারওয়ার কাজল, তোরাব আলীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে কেন খালাস দিয়েছেন সে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে জানা যাবে।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এ মামলায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া একজন আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন তোরাব আলীর বাসায় ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং হয়েছিল। এছাড়া তোরাব আলী নিজেও ১৬৪ ধারায় বলেছিলেন, প্রাইম কোচিং সেন্টারের মালিক জাকির তাকে বলেছিলেন, পিলখানায় ২৫ তারিখ গন্ডগোল হবে।
২০১৩ সালের ৫ নবেম্বর ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পিলখানা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী এবং বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা দুইজন আপিল করেন। বিচার চলাকালে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়ায় নাসিরউদ্দিন পিন্টুর। বিডিআর বিদ্রোহের সময় তোরাব আলী বিদ্রোহীদের সহায়তা করেন বলে সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরে তোরাব আলী গ্রেফতার হন।

http://www.dailysangram.com/post/309356