২৬ নভেম্বর ২০১৭, রবিবার, ১০:০২

‘মিয়ানমার চায় সেভাবেই চুক্তি করা হয়েছে’

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে তাদের স্বদেশে অর্থাৎ বার্মার রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ২৩ নবেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের পররাস্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমার গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষর করে তিনি ঢাকা ফিরে এসেছেন। চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ এই লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো দৈনিক পত্রিকায় বলা হয়েছে যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ জনগণের কাছে প্রকাশ করবেন। শুক্রবার যখন এই লেখাটি শুরু করেছি তখন পর্যন্ত মন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। আসলে চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ না করলে তার ওপর সঠিক মন্তব্য করা যায় না। জাতির জন্য রোহিঙ্গা মুসলমান ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাতীয় স্বার্থে যেটাই ভালো হবে সেটাই আমরা বলবো। কিন্তু চুক্তির বিস্তারিত, বিশেষ করে শর্তাবলী, না জানলে কি বলব? অতীতে দেখা গেছে, এই সরকার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যেসব চুক্তি করেছে সেগুলো জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয় নাই। এমনকি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে যে তীব্র বিতর্কিত জাতীয় সংসদ গঠন করা হয়েছে তেমন একটি অপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদেও ঐসব রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। অর্থাৎ এই সরকার তাদের খেয়াল খুশি মত সৃষ্ট জাতীয় সংসদকেও আস্থায় নেয় না। সরকার তার সংসদকে আস্থায় নিক বা না নিক, এই চুক্তি নিয়ে ইতিমধেই জাতির মনে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, এই নয় লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান কোন শর্তে, কি অবস্থায় কিভাবে দেশে ফিরে যাবে? বলা হয়েছে যে, দুই মাস পর তাদের প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। কিন্তু শেষ হবে কবে? এর সাথে অনেক প্রশ্ন জড়িত। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী এবার অর্থাৎ গত ২৫শে অগাষ্ট থেকে এ পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন প্রভৃতি তো রয়েছেই, অধিকাংশের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্মীভূত করা হয়েছে। এখন যদি তাদের ফেরত পাঠানো হয় তাহলে তারা কোথায় উঠবে? মনে হয় সেই জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী কথা একটু ঘুরিয়ে বলেছেন যে, দুই মাস পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

যেহেতু এখন পর্যন্ত বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি তাই এই ব্যাপারে বার্মার শাসক অং সাং সু চির ফেসবুক পেজে যা বলা হয়েছে সেটুকুকেই গ্রহণ করতে হবে। সু চির ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে যে, ১৯৯২ সালের চুক্তিকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকেফহাল মহল বলছেন যে, ১৯৯২ সালে চুক্তিকে প্রত্যাবাসনের ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে কেন? কারণ ১৯৯২ সালের পরিস্থিতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থাৎ ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি এক নয়। কারণ আগেই বলা হয়েছে যে, তাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের কোন পরিচয়পত্র নাই। অথচ তারা সকলেই মিয়ানমারের তথা রাখাইন রাজ্যের জেনুইন নাগরিক। কিন্তু তাদের নাগরিক রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়নি। যেটা ১৯৯২ সালে ছিল। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, পরিচয় পত্রবিহীন এই লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান উদ্বাস্তুকে বর্মি সরকার কি গ্রহণ করবে?
আরেকটি প্রশ্ন এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এখন একটি নয়, একাধিক নিবন্ধিত শরণার্থী শিবির রয়েছে। একটি শিবিরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের এ পর্যন্ত আগত শরণার্থীদেরকে। এদের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার। অপর নিবন্ধিত শিবিরে যারা রয়েছেন তারা এসেছেন তারো আগে। এই শিবিরে আছেন অন্তত সাড়ে ৩ লাখ শরণার্থী। মোট সংখ্যা আনুমানিক ১০ লাখ। বাংলাদেশ চায় এই ১০ লাখকেই ফেরত নেয়া হোক। জাতিসংঘসহ মুক্ত বিশ্ব বাংলাদেশের এই অবস্থান সমর্থন করেন।

শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমা বিশ্ব এবং মুসলিম জাহান বার বার বলে আসছে যে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘসহ তৃতীয় পক্ষকে জড়িত করা হোক। প্রথম থেকেই এই সমস্যার দ্বিপাক্ষিক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার, শুধু এই দুই পক্ষের সমাধানের বিরোধী বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সাথে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেই চুক্তিতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তৃতীয় কোন পক্ষ জড়িত থাকছে কি না সেটি স্পষ্ট নয়। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে, বিষয়টি যেন দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে সমাধান হতে যাচ্ছে। এসব কিছু না করে এতো তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে কেন, সেটি মানুষের বোধগম্য নয়।
দুই.
যদিও লেখাটি শুরু করেছিলাম গত শুক্রবার, কিন্তু লেখার মাঝপথে বিরতি দিয়েছিলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য। শনিবার ২৫শে নভেম্বর তিনি সংবাদ সম্মেলন করলেন। ভাবলাম সংবাদ সন্মেলনে তিনি চুক্তির বিস্তারিত বলবেন। শনিবার তিনি সেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের ইচ্ছা অনুযায়ী ৯২-এর চুক্তির অনুসরণে এবারের চুক্তিটি হয়েছে। তিনি জানান, এই চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবর এবং এ বছরের ২৫ আগস্টের পর যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে, মিয়ানমার শুধু তাদেরই ফিরিয়ে নেবে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে গিয়ে তাদের নিজেদের বাড়িতে নয়, অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে সীমিত সময়ের জন্য থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সরকার তো বলেছিল, এবারের পরিস্থিতি ৯২-এর চেয়ে আলাদা, তবে আমরা ৯২-এর চুক্তি কেন অনুসরণ করলাম, এমন প্রশ্নের উত্তরে এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমার ওই চুক্তি অনুসরণ করতে চায় বলে সেভাবেই করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো। এর খুঁটিনাটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি, এটা-ওটা নেই, কেন নেই, কী হবে এসব কথা বলে তো কোনো লাভ নেই। গুরত্বপূর্ণ জিনিস হলো, রোহিঙ্গাদের তারা ফেরত নিতে চেয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের সঙ্গে এই চুক্তিতে দেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে এমন বিতর্কের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে চুক্তিটি হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে স্বার্থ উপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে, এই মন্তব্য অত্যন্ত হাস্যকর মন্তব্য।’ মন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বার্থ কে ঠিক করে? যে সরকার ক্ষমতায়, সে সরকারই ঠিক করে। আমরা স্বার্থ ঠিক রেখেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো।’
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আরও তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মাঠপর্যায়ে আরেকটি চুক্তি সই হবে বলে জানান তিনি। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়ে গেছে। সে জন্য সেখানে প্রিফ্যাব্রিকেটেড ঘরবাড়ি তৈরি করতে চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছে। রাখাইনে বাড়িঘর নির্মাণের বিষয়ে এই দুই দেশ মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা করবে।
তিন.
গতকাল শনিবার অন লাইন পত্রিকাসমূহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পর্কে যা প্রকাশিত হয়েছে সেটি আমরা ওপরে তুলে দিলাম। এই চুক্তি সম্পর্কে মনে হয় আর কোন কথা বলার অবকাশ নাই। পররাষ্ট্র মন্ত্রীতো নিজেই বলেছেন যে, মিয়ানমার চেয়েছে তাই এই চুক্তি হয়েছে। বড় অদ্ভুত কথা! মিয়ানমার যা চাইলো তাই হলো, কিন্তু বাংলাদেশ যা চাইলো তাহলো না কেন? বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীতো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে, এটিই সবচেয়ে বড় কথা। রোহিঙ্গারা কোথায় ফেরত যাচ্ছে? ফেরত যাওয়ার পর তাদের অবস্থা কি হবে? তাদেরকে কি সিংহের গুহায় ঠেলে দেয়া হচ্ছে? তাদেরকে কি নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে ? জাতিসংঘ বা অন্য কোনো বৃহৎ শক্তি কি এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িত হচ্ছে? ১৯৯২ সালের চুক্তিকে মানদ- ধরা হয়েছে। জানা গেছে, এই মানদ- অনুসারে মাত্র কয়েক হাজার মায়ানমারে ফেরার উপযুক্ত। এসব বিষয় মন্ত্রীরও সামনে ছিল কিনা? এই ধরনের অসংখ্য প্রশ্নের জবাব এই চুক্তিতে নাই।
চার.
অন্য সব কথা বাদ দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। সরকারের প্রায় সমস্ত মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতারা এক সুরে বলেছেন যে, শেখ হাসিনার পাঁচ দফার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তারা আরো বলেছেন যে, জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের সুপারিশমালা মোতাবেক এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো সেখানে তাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবিও মানা হয়নি, আবার কফি আনানের সুপারিশও অনুসরণ করা হয়নি। শেখ হাসিনার প্রথম দাবি ছিল, মিয়ানমারকে নিঃশর্তে সহিংসতা এবং জাতিগত নিধন অবিলম্বে এবং চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে এই দাবি উত্থাপন করেছিলেন গত ২১শে সেপটেম্বর। এটি দুমাস আগের ঘটনা। এ’দুমাসে রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন বন্ধ হয়নি। তিনি চেয়েছিলেন যে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অবিলম্বে রাখাইনে একটি অনুসন্ধানী টিম পাঠান। সে টিম তো দূরের কথা, কোন টিমকেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইনে ঢুকতে দেয়নি। তার তৃতীয় দাবি ছিল, মিয়ানমারের সব ধর্মের এবং নৃতাত্বিক জাতিগোষ্ঠীকে রক্ষা করা হোক। এজন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা হোক। সেই প্রস্তাব সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে। অপর দাবি ছিল, কফি আন্নানের রিপোর্ট অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। সবশেষে দাবি ছিল, তারা যে ফেরত যাবে সেটি যেন স্থায়ী হয়।

কফি আনানের রিপোর্টে ছিল, রাখাইন মুসলমানদের নাগরিকত্বকে বিভিন্নভাবে যাচাই বাছাই করা, আইনের চোখে তাদের সমান অধিকার, সমগ্র মিয়ানমারের তাদের অবাধ চলাচল, তাদেরকে অন্যান্য নাগরিকের মত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া ইত্যাদি। লক্ষ্য করার বিষয় এইযে কফি আনান কমিশনের রিপোর্টে প্রধান ফোকাস ছিল নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব। এই নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয় ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে। তখন ছিল বার্মায় সামরিক আইন। ক্ষমতায় ছিলেন সেনা প্রধান জেনারেল নে উইন।

দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা সাবেক মহাসচিব কফি আনান-কারো দাবি বা সুপারিশ বা রিপোর্টকে এই চুক্তিতে মোটেই পাত্তা দেয়া হয়নি। নাগরিকত্বের ইস্যুটির ধারের পাশে যাওয়া হয়নি। বার্মায় ফিরে গেলে তাদের ওপর আবার যে পাশবিক অত্যাচার, জুলুম, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ এবং গণহত্যা চালানো হবে না, তারো কোন নিশ্চয়তা এই চুক্তিতে নাই। তাহলে কার স্বার্থে এই চুক্তি করা হলো? এই চুক্তি করা হয়েছে মিয়ানমারের স্বার্থে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিক সন্মেলনে বলেছেন যে, কোন চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থে যাচ্ছে কি না, সেটি কে দেখবে তারমতে, সেটি নাকি দেখবে সরকার। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আপনার সাথে এক মত হতে পারলাম না। চুক্তি বা কোন বিষয় বাংলাদেশের স্বার্থে গেল কি না সেটি দেখবে জনগণ। এই চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষিত হয়নি। রক্ষিত হয়েছে বার্মা এবং ভারতের স্বার্থ।
email:asifarsalan15@gmail.com

http://www.dailysangram.com/post/309043