২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৯:৫৪

ভুল প্রশ্নে প্রাথমিকের সমাপনী, দায়ী কে?

ভুল প্রশ্নপত্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর পরীক্ষা নেওয়ায় সমালোচনার মধ্যে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ও নানা জটিলতার মধ্যেই যেন আবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি।

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সিলেট অঞ্চলের ইংরেজি ভার্সনের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৫০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৪০টিতেই ভাষা ও ব্যাকরণগত ভুল ধরা পড়ে। এছাড়া বাংলাদেশ ও গ্লোবাল স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নেও ভুল দেখা যায়।
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ওই ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। ভুল প্রশ্নের ছবি বা স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন অনেকেই।
এ ঘটনায় শুধু এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছে সরকার। তবে বরখাস্তের আদেশ পাওয়া গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই নামে কেউ আছেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বারবার। এর জন্য কে দায়ী সে প্রশ্নও তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বিবিসিকে জানিয়েছেন, শুরুতে ৬৪ সেট প্রশ্ন তৈরি করে সেখান থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বাছাই করা হয়। ইংরেজি মাধ্যমের জন্যও এই পর্যায়ে প্রশ্ন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর এগুলো যায় শিক্ষা অধিদফতরে। সেখান থেকে মুদ্রণের জন্য পাঠানো হয়।
প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আকরাম আল হোসাইন বলছেন, প্রশ্ন চূড়ান্ত হওয়ার পর সেটি আর দেখতে পারেনা গোপনীয়তার স্বার্থেই। এ কারণেই একাডেমি থেকে আসা প্রশ্নপত্রের ভুল সম্পর্কে কেউ জানতে পারেনি। তবে ভুলের জন্য একজন বরখাস্ত করা হয়েছে।

১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের সবচেয়ে বড় এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫ জন শিশু। দেশের ৭ হাজার ২৭৯ টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৮ লাখ ৪ হাজার ৫০৯ জন। এরমধ্যে ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ছাত্র এবং ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন ছাত্রী। ইবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।

 

http://samakal.com/bangladesh/article/17111549