২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৯:৩৪

সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষক সঙ্কট

দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৪০টি। অপর দিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৯৫টি। এগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষায়িত বিশ্বদ্যিালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ২৪টি। তন্মধ্যে সরকারি হচ্ছে ১২টি আর একই সংখ্যক হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষক চাহিদা ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

দেশের উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ২০১৬ সালে বার্ষিক প্রতিবেদনে এ নিয়ে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতীয়, উন্মুক্ত এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে নতুন সরকারি ও বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক সঙ্কট বিরাজ করছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক ও জুনিয়র শিকেরা শিাকার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। পরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও উপস্থাপন করা হবে।

প্রতিবেদনের সুপারিশে ইউজিসি বলছে, দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা অধ্যাপকদের লেকচার ভার্চুয়াল কাসের মাধ্যমে শিার্থীদের পাঠদান করা যেতে পারে। এ েেত্র বাংলাদেশ গবেষণা ও শিা নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৩৭টি পাবলিক বা সরকারি, আর ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিাকার্যক্রম চলছে। উচ্চশিার এসব প্রতিষ্ঠানে শিক নিয়োগে প্রায়ই অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ মেধাবীদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় কম মেধাবীদের এবং অন্য দিকে বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতাহীনদেরও শিক্ষক পদে নিয়োগের অহরহ অভিযোগ রয়েছে। দেশের সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

নতুন সরকারি ও বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পদে স্থায়ী শিক অপ্রতুল। মেধাবীদের শিকতা পেশায় আগ্রহী করে তুলতে কিছু সুপারিশ করেছে ইউজিসি। কমিশন সুপারিশে বলা হয়েছে, শিক ও গবেষকদের জন্য আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণের সুযোগ থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেষণে পাঠানো যেতে পারে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা, যাতে করে শিাকার্যক্রম পরিচালনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকদের সহযোগিতা নিতে পারে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কথা বলছে উচ্চশিা তদারকি করা এই প্রতিষ্ঠান। অভিজ্ঞ শিকের ঘাটতি পূরণে যেসব শিক অবসরে যাচ্ছেন তাদের সম্মতিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/271024