বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ নেতৃবৃন্দকে গতকাল সোমবার আদালতে হাজির করা হয়
২১ নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:৩৭

নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ জামায়াতের ৭ নেতা ৩ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ ৭ জনকে আবারো ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। কদমতলীর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এ দিকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদকে আরো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সেক্রেটারি ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুস সবুর ফকিরসহ জামায়াতে ইসলামীর ৯ জন নেতাকে কদমতলী থানার ৬৮(২)১৭ নং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রিমান্ড শুনানীর ধার্য দিনে গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের আদালতে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ৭জনকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীর রিমান্ড মঞ্জুর করে নি আদালত।
শুনানী শেষে জামায়াত নেতৃবৃন্দের আইনজীবী এডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নেতৃবৃন্দকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। অভিযোগও কল্পিত এবং সাজানো। তিনি বলেন, একই থানায় দুটি মামলায় তারা ৬ দিন রিমান্ডে ছিলেন। তখনও তাদের গ্রেফতার দেখানো বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, মামলার কথিত ঘটনার দিনে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ কারাগারে ছিলেন। ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী ওমরা করার জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। তাদেরকেও পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চায়। এ কারণে মামলাটিই আমল নেয়ার সুযোগ নেই।

আদালত শুনানী শেষে ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী ছাড়া অন্য ৭ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে শুনানীতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন এডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, এডভোকেট আজমত হোসেন, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট রোকন রেজা শেখ, এডভোকেট আবুল কালাম জোয়ার্দার, এডভোকেট রিয়াজুল হক রিয়াজ, এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সেক্রেটারি ড: শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুস সবুর ফকিরসহ জামায়াতে ইসলামীর ৯ জন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এদিকে গত ১১ অক্টোবর মতিঝিল থানার একটি মামলায় নূরুল ইসলাম বুলবুলকে আরো ২ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

জামায়াত আমীর আরো ১টি মামলায় গ্রেফতার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদকে পল্টন থানার ৪৬(১২)১৪ নং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে মকবুল আহমাদের জামিন আবেদন করা হয়। আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। এ দিকে গত ১৩ নবেম্বর সোমবার রমনা থানার ৩৭(১২)১২ নং মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর এলাকার একটি বাসা থেকে বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর গত ৩০ অক্টোবর মতিঝিল থানার একটি মামলায় মকবুল আহমাদকে আরো ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

 

http://www.dailysangram.com/post/308497