২০ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৬:৩৩

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন

৫৭ ধারার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৯ নভেম্বর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) বিতর্কিত ৫৭ ধারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ধারায় রাখা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৯ নভেম্বর। এ আইনের খসড়া প্রণয়নে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি ওই দিন এ সিদ্ধান্ত নেবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার অনুষ্ঠিত সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার কথা ছিল। তবে আইনটি সম্প্রচার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা পর্যালোচনার জন্য সভায় ১০ দিন সময় নেয়া হয়। এ জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হককে প্রধান করে কমিটি করা হয়েছে। কমিটি দুটি আইনের খসড়ায় কোনো বিরোধ আছে কিনা বা একই বিষয় দুই আইনে থাকছে কিনা তা পরীক্ষা করে আগামী সভায় রিপোর্ট দেবে।

রোববারের সভায় ৫৭ ধারার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটাকে সার্বিকভাবে দেখছি। আইনে আরেকটু ঘষামাজা করতে হবে। সে জন্য আমরা ২৯ নভেম্বর আরেকবার বসব। আইনটা পাস হওয়ার আগে এতে যেন কোনো ভুল না থাকে সে জন্য চেষ্টা করছি।’ আনিসুল হক বলেন, ‘যে সমস্যার কারণে আইনটা করা হচ্ছে সেটা যেন সমাধান হয় সে জন্য অনেক চিন্তাভাবনা করে আইনটা করছি।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংসদে পাস হয়ে গেলে আইসিটি অ্যাক্ট বা ৫৭ ধারার কী হবে? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “সে বিষয়টিও এ আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেহেতু দুটো আইনই প্রায় একই ধরনের সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংসদে উপস্থাপন করব। তাতে ৫৭ ধারার জবাব কিভাবে দিয়েছি এবং অন্যান্য আইনকে কীভাবে এ আইনে ‘ইনক্লুড’ করেছি সে বিষয়ের সমাধান থাকবে।”

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পুরো আইনটি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল- সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। যাতে আইনটি চূড়ান্ত করে এটি নিয়ে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে হাজির হতে পারি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২৯ তারিখ আমরা আবার বসব। সেদিন আশা করছি একটা সিদ্ধান্ত হবে এবং আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠাতে পারব।’
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ধারায় পরিবর্তন করে আইনটি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, মালামাল জব্দ ও গ্রেফতার সংক্রান্ত বিধান রেখে ওই খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে ৫৭ ধারায় অ-জামিনযোগ্যর পরিবর্তে জামিনযোগ্য ও সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের স্থলে দু’বছর রাখা হয়েছে খসড়ায়। এ বিষয়ে গণমাধ্যম সোচ্চার হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বেশ কয়েকবারই বলেছেন, অপেক্ষা করুন। তবে ৫৭ ধারার পরিবর্তে ১৯ ধারা থাকছে কিনা সে বিষয়ে তিনি খোলাসা করে তেমন কিছু বলেননি।

 

https://www.jugantor.com/last-page/2017/11/20/173178