১৮ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১০:১১

একের পর এক অপরাধ ॥ আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়ছেই

রাজনৈতিক সহিংসতা নেই, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচীও নেই। নেই কথিত জঙ্গি তৎপরতাও। তবুও আইনশৃংখলার উন্নতি নেই। এতসব ‘নেই ’ মিলে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। সংশ্লিষ্টদের দাবি অনুযায়ী জঙ্গিদের অপতৎপরতা ও রাজনৈতিক সহিংসতা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত কয়েক মাসে গুম-খুন-ধর্ষণসহ ভয়ঙ্কর নানা অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাবনতির পথে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি দল ও অংগ সংগঠনসমূহের উপদলীয় কোন্দল, নারী ও শিশুর প্রতি বিরামহীন অমানবিকতা, ধর্ষণের সাথে খুন, তুলে নিয়ে গুম, বিরোধী দলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ, হামলা মামলা দিয়ে কোনঠাসা করার পাঁয়তারা- এসব কিছুই নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাকে রীতিমতো হুমকির মুখে ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অপরাধ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ অবস্থা চলমান থাকলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরি করা প্রশাসনের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

তাদের ভাষ্য, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিকঠাক হওয়ার আগেই সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এ ছাড়া, সরকারের শেষ সময়ে এসে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সুবিধাভোগীরা চাওয়া-পাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে তাদের ভেতরে যে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে, তাতে করে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা হিমশিম অবস্থায় পড়বে। ফলে সে সময়টাতে স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি নানা হিসেব কষা শুরু করবে। তখন ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ের অরাজনৈতিক অপরাধ রোধে পর্যাপ্ত সময় দেয়া তাদের পক্ষে দুস্কর হবে। এ বাস্তবতায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। তা না হলে নির্বাচনী ডামাডোলে গোটা দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। আর এমনটি ঘটলে সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নামা দূরে থাক তাদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হবে।

দেশের সুশীল প্রতিনিধিদের দাবি, গুম, খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় যতটা না ভীতি ছড়িয়েছে এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং তাদের আত্মতুষ্টিতে জনমনে তার চেয়ে বেশি উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করায় সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের হতাশা ভর করেছে। এছাড়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা দায়েরের ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে পুলিশ দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ সভায় দেশে দস্যুতা, খুন, অপহরণ এবং নারী নির্যাতন মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে ডাকাতি, এসিড নিক্ষেপ, সড়ক দুর্ঘটনা এবং পুলিশ আক্রান্ত মামলার সংখ্যা কমেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে সারাদেশে ৫৬ হাজার ৪৭৪টি মামলা রুজু হয়েছে যা গত এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ১৮ ভাগ বেশি। বিশেষ করে খুন, অপহরণ, দস্যুতা, নারী নির্যাতন, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মামলা আগের কোয়ার্টারের তুলনায় বেশি বেড়েছে। গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে ৪০৯টি। এর মধ্যে পুলিশ ২৯৭টি গাড়ি উদ্ধার করেছে বলে জানানো হয়।
দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার (বিএমবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে সারাদেশে শুধু সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত হয়েছে ৮৬ জন। পারিবারিক কলহে নিহত ৪২ জন, এদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ৩০ জন। স্বামীর হাতে নিহত ২৭ নারী। আর স্ত্রীর হাতে নিহত হন দুজন স্বামী। সামাজিক অসন্তোষের শিকার হয়ে গত মাসে নিহত হন ১১ জন, আহত হয়েছেন ২৯৭ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হন ১৩ জন। এর মধ্যে পুলিশের ক্রসফায়ারে ৮ জন ও র্যা বের ক্রসফায়ারে ৫ জন নিহত হন। বিভিন্ন কারণে পুলিশ ও থানা হেফাজতে নিহত হন ৫ জন। অক্টোবর মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে ১৭ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হন আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় দুজনকে। অক্টোবরে শিশু হত্যার হারও ছিল উদ্বেগজনক। ওই মাসে ৩০ শিশুকে হত্যা করা হয়।

এদিকে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়সহ বিভিন্ন অপকৌশলে নারী-শিশু, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ নানা পেশার মানুষ অপহৃত হওয়ার হিড়িক পড়ায় জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এর ওপর সম্প্রতি কক্সবাজারে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে গোয়েন্দা পুলিশের (এসবি) সাত সদস্য আটক এবং তাদের কাছ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ উদ্ধারের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর জনআস্থার ভিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। অপহরণের আরও ঘটনায়ও তারা জড়িত হতে পারে- বিভিন্ন মহলে এখন এমন সন্দেহ জেঁকে বসেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সারাদেশে অপহরণের ঘটনায় ৩৬৪টি মামলা হয়েছে। এ হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে ৪৫ জন অপহরণ হয়েছেন। জানুয়ারি-আগস্ট পর্যন্ত শুধু রাজধানী থেকেই ৭১ জন অপহৃত হন। একই সময়ে নরসিংদী থেকে ১৬ জন ও কক্সবাজার থেকে ১৪ জনকে অপহরণ করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ঢাকাতে অপহরণের ঘটনা কিছুটা কমলেও গত ১০ অক্টোবর মতিঝিলের অফিস থেকে বের হওয়ার পর পূর্ব-পশ্চিম বিডি নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক উৎপল দাস নিখোঁজ এবং দীর্ঘদিনেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে না পারায় এ নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারো সঙ্গে তার ব্যক্তিগত দ্বন্ধ বা শত্রুতা থাকার কোনো তথ্য পাওয়া না যাওয়ায় তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন কোনো মত প্রকাশ করেছিলেন কি না, যাতে কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অপহরণ করতে পারে- এ শঙ্কা এখন অনেকের মনেই নাড়া দিয়েছে।

এদিকে অপহরণের শিকার অনেকে ফিরে এলেও তাদের কেউই অপহরণকারীদের সম্পর্কে মুখ না খোলায় এ নিয়ে অপরাধ পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তাদের ভাষ্য, অপহৃত ব্যক্তিকে মুক্তিপণ পেয়ে বা অন্য কোনো শর্তে ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের হয়তো মৃত্যুর হুমকিতে রাখা হয়। এ কারণেই কেউ ঝুঁকি নিতে চান না।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে পুলিশ পরিচয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের করপোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদকে তুলে নেয়া হয়। ৫ দিন পর তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মতিঝিলে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। কেন, কী কারণে, কারা তাকে অপহরণ করেছিল- এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি শামীম।
২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত হন জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মেয়র রুকুনুজ্জামান রুকন। দুদিন পর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তিনি অপহরণকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি।
ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক সময় অপহরণের পর থানায় গেলে পুলিশ মামলার বদলে জিডি করে। আবার অভিযোগের তীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে গেলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তাই অপহরণের ঘটনার আসল রহস্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আড়ালে থেকে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গুম হওয়া ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সাম্প্রতিককালে দেশে ক্রসফায়ার বন্ধ হওয়ার পর থেকে অপহরণ-গুমের ঘটনা বেড়েছে। এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে আসলে এর কারণ অনুসন্ধান করা হয় না। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায়ও আনা হয় না। তিনি বলেন, গুম বন্ধের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ মহল থেকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'এটা খুব উদ্বেগের বিষয়। একইসঙ্গে সরকারের জন্যও ভালো না। নাগরিক হিসেবে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাসা থেকে বের হলে আর ফিরতে পারব কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। আগে রাজনীতিবিদদের গুম করা হতো। আর এখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ সব ধরনের ব্যক্তিদের গুম করা হচ্ছে।' তিনি বলেন, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক রুল মেনে এসব বিষয়ে ইমপিস্নমেন্ট করতে হবে। এছাড়া আর কারও ক্ষমতা নেই।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, 'রাষ্ট্রকেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে। এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, পুলিশ প্রশাসন নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবে এবং যারা এসব ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। তিনি আরও বলেন, আগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে যদি শাস্তি নিশ্চিত করা যেত তাহলে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতো না।'
এদিকে গত কয়েক মাসে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এতে নারী-শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে গত ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা এবং ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনার পর তরুণীদের অনেকে ঘর থেকে একা বের হতে ভয় পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২৪ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার শিশু ৬১ ও ৪৫ জন নারী। ১৫ জন গণধর্ষণের শিকার ও ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। গাজীপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে বিয়েবাড়ি থেকে তুলে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর রাজধানীতে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ ধর্ষণ করেছেন ১০ বছরের শিশুকে। এ সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া অক্টোবরে দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১ জন।

এদিকে বাসাবাড়ি, অফিস ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত কয়েক মাসে বিপুলসংখ্যক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ থানায় দস্যুতার মামলা রেকর্ড করেছে। যা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, থানা পুলিশ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে ডাকাতির ঘটনাকে দস্যুতা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া ছিনতাই ঘটনাতেও অনেক সময় একই ধারায় মামলা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় যা রীতিমতো 'নিয়মে' পরিণত হয়েছে।

http://www.dailysangram.com/post/308073