১৮ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১০:১০

রাষ্ট্র নিয়ে কেন এই পুতুল খেলা

সৈয়দ আবদাল আহমদ

টেলিভিশনের পর্দায় ‘চোখ তুলে ফেলার হুমকি’র কথা কি মনে আছে? নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এই হুমকি দিয়েছিলেন। একটি টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি পাশে বসা প্রবীণ বিএনপি নেতা সাবেক পূর্তমন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চোখ উপড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। টকশোতে কথার পিঠে কথার সূত্র ধরেই মন্ত্রী দেশের অগণিত টিভি দর্শকের সামনে এ কাণ্ড বাধিয়েছিলেন। সেদিন টিভি পর্দায় শাজাহান খানের এ ধরনের হুমকি প্রত্যক্ষ করে আমরা অনেকে শুধু স্তম্ভিত হইনি, বেশ ভয়ও পেয়েছিলাম। দেশের বিবেকবান মানুষ, সুশীলসমাজের ব্যক্তিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন। গণমাধ্যমে শাজাহান খানের এ আচরণের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে তাকে কোনো প্রকার অনুশোচনা করা কিংবা লজ্জা পেতে দেখা যায়নি। ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, তিনি এ জন্য সামান্য দুঃখ প্রকাশ করেছেনÑ এমন কথাও শোনা যায়নি।
এই শাজাহান খানই পরিবহন শ্রমিকদের লাইসেন্স দেয়া নিয়ে দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন। লাইসেন্স দেয়ার ব্যাপারে চালকদের ড্রাইভিং পরীক্ষার বিরোধিতা করে তিনি বলেছিলেন, ‘এত পরীক্ষার প্রয়োজন কী? চালকরা রাস্তায় যানবাহন চালাতে গিয়ে ছাগল আর গরু-বাছুর চিনলেই হলো।’
২০১১ সালে মানিকগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন মারা যান। এ নিয়ে পেশাজীবীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাসের চালক ও হেলপার গ্রেফতার হলেন। ওই সময় পেশাজীবীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন শাজাহান খান। তিনি অভিযুক্ত গাড়িচালকদের মুক্তি এবং যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহন চালকদের লাইসেন্স দেয়ার দাবিতে সমাবেশ করে ওই মন্তব্য করেছিলেন।

আরেকবার তার ‘বাহাদুরি’ আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন গুলশান অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। শাজাহান খান পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে গুলশান অফিস ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং বেগম জিয়াকে লক্ষ্য করে গালিগালাজের আয়োজন করেছিলেন। তবে এবার শাজাহান খানের ‘কৃতিত্ব’ সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে। পরিবহন খাতের একচ্ছত্র অধিপতি তিনি তো আছেনই, এবার তিনি ব্যাংক খাতেও মনোনিবেশ করেছেন। ব্যাংকের সিবিএকে চাঙা করার কাজে হাত দিয়েছেন। এক সময় সিবিএর হাতে ব্যাংক খাত জিম্মি হয়ে পড়েছিল। নানা কাঠখড় পুড়িয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাংক খাতে সিবিএর উৎপাত লক্ষ করা যায়নি। আবার সেটা শুরু হওয়ার আলামত দেখা যাচ্ছে। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, গত বুধবার শাজাহান খান বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ) নেতাদের সাথে ব্যাংকের ‘সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে এই মতবিনিময় সভাটির আয়োজন আগেই করা হয়েছিল। দুই দিনব্যাপী এই সভায় যোগ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকায় বাইরের বিভিন্ন শাখা কার্যালয়ের ১৮ জন নেতাকে যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুই দিনের এ সভায় অংশগ্রহণকে অফিসের কর্মসময় হিসেবেও গণ্য করা হয়। এসংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ অফিস আদেশও জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিবিএ’র উদ্যোগে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা হবে। এতে অংশগ্রহণের জন্য সিবিএ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের আসা-যাওয়াসহ ১৪-১৭ নভেম্বর অফিসের কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এ সময়কে তাদের কর্তব্যকাল হিসেবে গণ্য হবে। বিধি মোতাবেক তারা যাতায়াত ও দৈনিক ভাতা পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর অফিসের সিবিএ নেতারা এতে যোগ দেবেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকবেন। এসব বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষপর্যায় থেকে অনুমোদিত বলেও উল্লেখ করা হয়। (প্রথম আলো, ১৪ নভেম্বর ২০১৭)

এটা যে একটা নজিরবিহীন ঘটনা, সে কথা উল্লেখ করেছেন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশের খ্যাতিমান ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। তিনি এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ৫৪ বছরের কর্মজীবনে এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনিনি। শ্রমিক সংগঠনগুলো নিজেদের মতো করে কার্যক্রম চালাবে। এ জন্য আলাদা করে ভাতা দেয়া, সভার সময়কে অফিস সময় হিসেবে গণ্য করাÑ এটা রীতিমতো অভিনব ঘটনা। এ দিয়েই বোঝা যায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক কোন দিকে যাচ্ছে।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব এম হাফিজউদ্দিন খান এ সম্পর্কে বলেছেন, এটা তো রীতিমতো বেআইনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিবিএ’র কাজে ঢাকায় এলে ভাতা পাওয়া যায়, এমন কথা আমার চাকরি জীবনে কখনো শুনিনি। তা ছাড়া ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী কথা বলার কে? হঠাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলো, আদেশ জারি করল, বোধগম্য হচ্ছে না।
আসলে ক্ষমতা যখন একচ্ছত্র করা হয় এবং সরকার যখন স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করে, তখন এ ধরনের অভিনব ঘটনার উদ্ভব হওয়া স্বাভাবিক। শুধু শাজাহান খানই নন, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর এমন অভিনব ঘটনাই আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে সর্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিলেও বহাল তবিয়তে তারা মন্ত্রিত্ব করে চলেছেন। তাদের মন্ত্রিত্ব যায়নি কিংবা তারা পদত্যাগ করার কথা ভুলেও চিন্তা করেননি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার পর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অথচ এই হত্যার কোনো কূলকিনারা হয়নি। আজ পর্যন্ত ধরা পড়েনি হত্যাকারী। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। মন্ত্রীরা তার গলাবাজি অব্যাহত রাখলেও খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ব্যাংক খাত গোল্লায় গেলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কথায় কথায় ‘রাবিশ’ আর ‘বোগাস’ বলেই চলেছেন। রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় নাগরিকেরা দুর্বিষহ কষ্ট ভোগ করলেও সেতু ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে তার বাণী পাঠ করে চলেছেন। খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির অন্যান্য নেতার বক্তব্যকে মুখ ভেংচিয়ে জবাব দেয়া যেন তার প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দায়িত্ব মনে হয় খালেদা জিয়াকে যত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করা যায়, প্রতিদিন সে কাজ। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হঠাৎ একটি বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যান। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ৮০ পয়সা আর তিনিসহ বাকিরা ২০ পয়সার মালিক। এই ২০ পয়সার মালিকেরা সহযোগিতা না করলে নাকি ৮০ পয়সার মালিক আওয়ামী লীগ এক হাজার বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এই বক্তব্যের খুব প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জাসদের অতীত ভূমিকা বিশেষ করে পঁচাত্তরে ট্যাংকের ওপরে উঠে নাচানাচিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা টেনে আনেন। হাসানুল হক ইনু অবস্থা বেগতিক দেখে সুর পাল্টান এবং বিএনপি ও বেগম জিয়াকে আক্রমণ করার আগের ভূমিকায় ফিরে গেছেন। ক্ষুব্ধ নেতাদের খুশি করতে প্রথমেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে তিনি বেছে নেন। এই সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তব্য যাতে টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে বাধা প্রদানে তিনি নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা যায়। এতে সরকারের শীর্ষপর্যায় কতটা খুশি হতে পেরেছে, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।

এসব কাণ্ডকীর্তি দেখে মনে হয়, আমরা যেন বাস করছি হীরক রাজার দেশে। রাষ্ট্র যেন পুতুল খেলার বস্তু। তাই আজ ছিনিমিনি খেলা চলছে। একটি রায় দেয়াকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতিকে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নিজেকে রক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ভবিষ্যতে বিচার বিভাগের জন্য আরো কী অঘটন অপেক্ষা করছে, সেটাই দেখার বিষয়।
বিজ্ঞজনেরা সব সময়ই বলে থাকেন, কোনো কিছু কষ্ট করে অর্জন না করলে তার প্রতি দয়ামায়া থাকে না। ঘুষ-দুর্নীতির কথাই ধরা যাক। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ ব্যয় করতে গায়ে লাগে না। গৌরীসেনের টাকার মতোই দুর্নীতিবাজরা তা উড়িয়ে থাকেন। বিনা ভোটের নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রেখে বর্তমান ক্ষমতাসীনেরাও এমন আচরণই করছেন। আজ রাষ্ট্রকে তারা রাষ্ট্রের মর্যাদা দিচ্ছেন না। পুতুল খেলার উপকরণ বানিয়ে ফেলেছেন। সব নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে যার যা ইচ্ছা হয়, তা-ই করছেন। ক্ষমতার এই স্বাদ আগামীতেও কিভাবে ভোগ করা যায় সে ব্যাপারে তারা মরিয়া। কিভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়, সেটাই তাদের বিবেচ্য বিষয়। এ জন্য যা যা করা দরকার তাদের যেন তাই করতে হবে। নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চার দিক থেকেই জোর দাবি উঠেছে। কিন্তু সেদিকে কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। ক্ষমতাসীনদের মুখে একই গানÑ ‘বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বেই নির্বাচন হবে, এই হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা সহায়ক সরকার ইত্যাদি।’ বেগম খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এত বড় সমাবেশ করলেন, দাবি জানালেন নিরপেক্ষ নির্বাচনের, বললেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে নাÑ এসব কথার যেন সামান্য মূল্যও নেই। এই জনসমাবেশও যাতে না হতে পারে, বাধা প্রদানের কম চেষ্টা করেনি সরকার। সারা দেশের বাস যাতায়াত সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। স্টেশনে স্টেশনে ট্রেন আটকে রাখে এবং রাজধানীর যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবুও হেঁটেই বিশাল জনতা যোগ দিয়েছে খালেদা জিয়ার জনসমাবেশে। তাদের চাওয়া একটিই, নিরপেক্ষ নির্বাচন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচনের আগে থেকেই সরকার বিএনপিকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেয়নি। একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতা কব্জা করে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে একেবারে ঘরে বন্দী করে রাখার একের পর এক কৌশল বাস্তবায়ন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মামলা দিয়ে জেলে রাখা, শত শত মামলায় কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় নেতাকর্মীদের ঘোরানো, গুম, খুন ও নানাভাবে হয়রানি করা। এর উদ্দেশ্য কোনোভাবে বিএনপি যাতে জেগে উঠতে না পারে, ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, জনগণ যাতে রাজপথে নেমে না পড়ে। সব অবৈধ, স্বৈরাচারী ও গণবিরোধী সরকারই সংগঠিত জনগণকে ভয় পায়। গণবিপ্লব, গণ-আন্দোলন কিংবা গণ-অভ্যুত্থান হয়ে যায় কি না সেটাই তাদের ভয়। জন-আতঙ্ক থেকেই তারা নির্যাতন-নিপীড়নের পথ বেছে নেন। এই সরকারকেও সে আতঙ্ক পেয়ে বসেছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালনের বিরোধিতা করার নেপথ্যেও একই কারণ। কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী থাকলে ব্যালট বিপ্লব হয়ে যাবে, আর তা হলে ক্ষমতার বাইরে ছিটকে পড়তে হবে, সেটাই আতঙ্ক। জন-আতঙ্ক থেকেই খালেদা জিয়ার সমাবেশে প্রতিবন্ধকতার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে করিৎকর্মার ভূমিকায় ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী। তার নির্দেশে পরিবহন খাত ওইদিন স্থবির হয়ে যায়। গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলো, কিন্তু তারপরও বাঁধভাঙা জোয়ারের মতোই মানুষ এসেছে সোহরাওয়ার্দীর জনসমাবেশে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই জনস্রোত এগিয়ে যাবেই বলে মনে হয়।হ
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/269373