১৫ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১০:১৭

দুর্বিষহ জীবনে কোটি মানুষ

রোহিঙ্গাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে ভুলে গেছে বন্যাদুর্গতদের কথা

বন্যার পানি চলে যাওয়ার দুই মাস পরও ৩৭ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটি পরিবারের
পুনর্বাসন হয়নি : বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ফসল হারানো কৃষকদের খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি যেন ঘোষণাই থেকে যাচ্ছে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিকে সবার নজর। জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে বানের পানিতে ফসল হারানো লাখ লাখ বিপন্ন মানুষের কথা যেন সবাই ভুলেই গেছে। এতে বিপর্যয়কর অবস্থার মুখে পড়ে গেছে বন্যাকবলিত মানুষ। দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন প্রায় কোটি মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও বন্যার দুই মাস পরও ৩৭ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়নি। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর ওইসব গ্রামাঞ্চলে কৃষক, নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটেখাওয়া মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ কৃষক বীজের অভাবে নতুন করে ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি। আবার ক্ষেতমজুরদের কাজ নেই, অথচ চালের দাম আকাশছোঁয়া। একবেলা খেলে আরেক বেলা খাওয়ার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিকল্প আয়ের পথ না থাকায় অনেক দরিদ্র পরিবার জমিজমা-হাঁসমুরগি ও গরু-ছাগল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। মধ্যবিত্তের সবচেয়ে বড় সঙ্কট, তারা নিজেদের অভাবের কথা প্রকাশ করতে লজ্জা পান। মুখে সচ্ছলতার হাসি কিন্তু ভেতরে কষ্ট।

উত্তরাঞ্চলে কয়েক কোটি মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ বন্যাকবলিত হয়। এখন তাদের কাজের চরম অভাব দেখা দেয়। এর মধ্যে ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে বেশি অভাবে পড়েন তারা। কৃষিনির্ভর ১৬ জেলায় তিন মাস শ্রমিক-ক্ষেতমজুরদের কোথাও তেমন কোনো কাজ থাকে না। এ সময় দুই বেলা খেয়েপরে বাঁচতে অনেকেই কৃষকের কাছে কম দামে আগাম শ্রম বিক্রি করছেন। মহাজনের কাছ থেকেও চড়া সুদে ঋণ গ্রহণসহ ধার দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। কেউ কুটির শিল্পের নানা রকম জিনিস তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। কেউবা খাল, ডোবা, নালায় মাছ ধরে আর শালুক কুড়িয়ে বিক্রি করছেন। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ হাজার ঢেউটিন, ১৫ কোটি টাকা এবং অতি দরিদ্রদের জন্য ৮০৫ কোটি টাকার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে এসব কাজ চলমান রয়েছে। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করার কথা থাকলেও তা এখনো করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। বন্যার পরপর বাংলাদেশে জেঁকে বসেছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা, এ কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় আর নজর দিচ্ছেন না কেউ। বন্যাকবলিত এলাকার ত্রাণগুলো পাঠানো হচ্ছে কক্সবাজার এলাকায়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের তিন দফা বন্যায় ৩৭ জেলার পৌনে এক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। জেলা থেকে বন্যার পানি দুই মাস আগে নেমে গেছে। সরকারিভাবে ১০ দিন ত্রাণ দেয়া হলেও তা মাঝপথে বন্ধ করা হয়। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ঘোষণা দেয়ার পরও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। দেশে দারিদ্র্যের হার যেখানে ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ, সেখানে কুষ্টিয়া জেলায় এ হার মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে কুড়িগ্রামে জেলায় দারিদ্র্যের হার ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষ বাস করে ঢাকা বিভাগে (৩২ দশমিক ৩ শতাংশ)। বেশি মানুষ বাস করে বলেই এ বিভাগে দরিদ্র মানুষও বেশি। আর সিলেট বিভাগে এ সংখ্যা সবচেয়ে কম (৫ দশমিক ৭ শতাংশ)। কারণ এই অঞ্চলের জনসংখ্যা কম। বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্রে এমন তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি) যৌথভাবে এই মানচিত্র প্রকাশ করে।
জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের (এনডিআরসিসি) বন্যায় ৩২ জেলায় পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৭ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ২০ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের, এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বন্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলও সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব জেলা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে অভাব। হাওর অঞ্চলের ছয় জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার জনকে মাসে তিন কোজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা দেয়া হয়। অন্যদিকে, ৩২ জেলায় কৃষি পুনর্বাসনের জন্য ১৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। কিন্তু দিনমজুরদের কর্মসংস্থানে কিছু করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ডিজি রিয়াজ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ হাজার ডেউটিন, ১৫ কোটি টাকা এবং অতি দরিদ্রদের জন্য ৮০৫ কোটি টাকার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে এসব কাজ চলমান রয়েছে। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্য শুরু হবে। তিনি আরো জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এ জেলার বাঁধ মেরামতের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বন্যার পরপর এ জেলায় এক লাখ ৬৮ হাজার পরিবারকে তিন কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তিন লাখ কৃষককে সার-বীজসহ এক হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে এ কাজ শুরু হবে তখন সমস্যার সমাধান হবে।
অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নাটোর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও শেরপুর জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ এ দফায় বন্যার কবলে পড়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩২ জেলায় ২০১টি উপজেলা ও ৫১টি পৌরসভা বন্যাকবলিত হয়েছে। দুই লাখ ৯৬ হাজার ২৭৯ জন এ বন্যায় সর্বস্ব হারিয়েছেন। আরো ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৮ জন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় ৭৫ হাজার ৩৩১টি ঘর সম্পূর্ণ এবং পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৫টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুড়িগ্রামে ২৩ জন, লালমনিরহাটে ছয়জন, সুনামগঞ্জে দুইজন, নেত্রকোনায় চারজন, নীলফামারীতে ছয়জন, গাইবান্ধায় ১৩ জন, সিরাজগঞ্জে ছয়জন, দিনাজপুরে ৩০ জন, জামালপুরে ১৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, নওগাঁয় পাঁচজন, বগুড়ায় চারজন, যশোরে তিনজন, টাঙ্গাইলে দুইজন, শেরপুরে তিনজন, মৌলভীবাজারে দুইজন, কুমিল্লায় দুইজন, রংপুরে তিনজন, মানিকগঞ্জে একজন ও জয়পুরহাটে দুইজন মিলিয়ে মোট ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব পরিবারকে ওইসময় ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে ডিসি অফিস থেকে। বর্তমানে তাদের আর কিছু দেয়া হয়নি। বন্যার পানিতে ১০ হাজার ৫৮৩ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ছয় লাখ ৫৮৭ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত জেলাগুলোতে অন্তত ৬২ হাজার ২০৮টি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২ জেলার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ, ২০ হাজার ৭১৮ মেট্রিক টন চাল এবং ৫৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি মিশে গেছে মাটির সাথে। ধ্বংস হওয়া বাড়িঘরের পাশে কোনোরকমে এক প্রকার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার। ঋণ করে পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া আমন ক্ষেত আবাদ করলেও ফসল ঘরে আসতে দেরি আছে। পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ঘর নির্মাণ করবে কি দিয়ে। আশ্বাস ছিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করবে সরকার। কিন্তু পুনর্বাসন দূরের কথা, টিনও পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বেশ কিছু এলাকায় টিন দেয়া হয়েছে, যা রাজনৈতিক ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের তালিকা মোতাবেক। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় বানভাসি মানুষদের নিজ ভিটেমাটিতে ধ্বংসস্ত‚পের মধ্যে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলা ছাড়া কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না।

গত আগস্ট মাসে দিনাজপুর অঞ্চলে স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ বন্যা বয়ে যায়। সরকারি হিসাবে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও আটটি পৌরএলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৯ হাজার ২৯৯টি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস বা নষ্ট হয়েছে। মাঠের চিত্র আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি উপজেলার ৯০ শতাংশ কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। আমন ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর মানুষজন আশ্রয়স্থল থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরে, কিন্তু কাঁচা ঘর ভেঙে পুরো উঠান কর্দমাক্ত হয়ে যায়। হাতে টাকা না থাকায় কোনোভাবে মাথার উপর কাপড় ঝুলিয়ে কেউ বা গাছের নিচকে ঘর বানিয়ে বসবাস করতে থাকে। এ অবস্থা এখনো বিরাজ করছে অনেক গ্রামে। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সাড়ে তিন কোটি দিনমজুর বেকার রয়েছে। জীবনের তাগিদে রুটি-রুজির আশায় মানুষগুলো আজ হচ্ছে শহরমুখী। বাড়ছে অভাবী মানুষের স্রোত প্রতিদিন। সা¤প্রতিক সময়ে সরকারের দেয়া নানা কর্মসূচি গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষেগুলোর অভাব দূর করতে তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেনি বলে অভিমত সুশীল সমাজের। মধ্যবিত্ত একজন বাবাকে তার সন্তানের কাছেও অভিনয় করতে হয়। অতিথি বাড়ি এলে অন্য বেলা খাওয়ার না থাকলেও আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি করা চলে না। সন্তানের লেখাপড়ার খরচে কম টাকা দেয়ার উপায় থাকে না। অসুখে পড়লে চিকিৎসার জন্য কারো কাছে হাত পাতার উপায় থাকে না। রংপুর একসময় মঙ্গার এলাকা বলে পরিচিত হলেও সেই আর্থিক অনটন আর এখন নেই। তবে রংপুর বিভাগে এখন মধ্যবিত্তের সংখ্যাই বেশি। এই সংখাধিক্য মধ্যবিত্তের পাশে এখন সরকারের দাঁড়াতে হবে। একসময় মঙ্গার কবলে পড়ে রংপুর অঞ্চলের বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছে। ঠিক একই অবস্থা বিরাজ করছে বর্তমান সময়ে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে। কইতেও পারে না, সইতেও পারে না এমন অবস্থায় তারা অন্তত একবেলা আধপেট খেয়ে কাটাচ্ছেন। পরিবারগুলো বলছে, আয় তো বাড়েনি, বেড়েছে চালের দাম। এমন দুরবস্থার কথা কাকে বলি! একসময়ের অবস্থাসম্পন্ন কৃষকরা কালের বিবর্তনে আজ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছে। নিম্নবিত্তরা দিন আনে দিন খায়। শ্রম বিক্রি করে চলে তাদের সংসার। এ ছাড়া তাদের প্রতি সরকারের কর্মসূচি তো আছেই। অন্যদিকে মধ্যবিত্তরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। তাদেরই সংখ্যা বেশি।
রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, মধ্যবিত্ত নিজেদের অভাবের কথা প্রকাশ্যে বলতে আসে না। তার অর্থ এই নয় যে, তাদের কোনো অভাব নেই। তাদের যে অভাব সেই অভাবেও কষ্টের গভীরতা অনেক। সে জন্য মধ্যবিত্তদের পাশেও সরকার সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসবে এটাই কাম্য।

 

https://www.dailyinqilab.com/article/104388