নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে
১৪ নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:৩১

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্র্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে -জামায়াত

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। তাই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।

কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তর বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডা গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মিজানুর রহমান, নিয়ামুল করিম, জামায়াত নেতা এ আর সরকার, জিল্লুর রহমান ও ছাত্রনেতা জামিল প্রমুখ।
লস্কর তসলিম বলেন, চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসুনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই ব্যস্ত রয়েছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। সরকার গণপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই অগণতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে গণদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না।

তিনি বলেন, অগ্নিমূল্যের বাজারে এখন মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, দেশী বিআর ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, সরু চাল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১২৫ টাকা, মুগডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মাষকলাই প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মুরগী প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৭০ টাকা, গরুর গোশ্ত প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির গোশ্ত প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সিম ১৫০ টাকা, করলা, পটল, বরবটি ইত্যাদি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দ্রব্যমূল্য যৌক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ : জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে গতকাল সকাল ৯টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে নি¤œবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। তাই আজ জনজীবনে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে, যা জনগণের গোদের উপর বিষফোঁড়ার শামিল। বর্তমানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। জনগণকে সুফল দিতে হলে দ্রুত রেশনিং, টিসিবি, ন্যায্যমূল্যের দোকান, সুস্থ বণ্টন ব্যবস্থা চালু, পাইকারি ও খুচরা বাজারে রাষ্ট্রের প্রভাব-সক্ষমতা সৃষ্টি করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দুষ্টচক্র সিন্ডিকেট এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ, বাজারের নিয়ন্ত্রকেরাই এখন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। পুলিশের গুলী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাস এবং আওয়ামী দোষরদের ভয়ে মানুষ মুখ বুজে সব সহ্য করছে। দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জীবন আজ দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে দিন দিন। ফলে নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মূলত সরকার দেশে সুশাসনের পরিবর্তে অপশাসন ও দুঃশাসন চালাচ্ছে। মূলত এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। নেতৃবৃন্দ দেউলিয়াপনা জুলুমবাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমান, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য আবু আব্দুল্লাহ, আমিনুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল থানা সেক্রেটারি মুতাছিম বিল্লাহ, সবুজবাগ থানা সেক্রেটারি আব্দুল বারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী পূর্ব সেক্রেটারি মু. তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাইয়েদ মু. জুবায়ের, সাহিত্য সম্পাদক রেদওয়ান উল্লাহ, আইন সম্পাদক কে. এম. আসরাফুল ইসলাম প্রমূখ।
ঢাকা জেলা উত্তর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা উত্তর শাখার কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকার অনির্বাচিত সরকার নয় বলেই সাধারন জনগণের কথা বিবেচনা না করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য অসহনীয় পর্যায় আসার পরও নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। বাজারে চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসুনসহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। সীমিত আয়ের একজন চাকরিজীবী বর্তমানে প্রতিমাসে যে বেতন পায় তাতে তাদের ১৫/২০ দিনের বেশী চলে না। বাকী দিনগুলো বাকীতে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে কিংবা ধার করে সংসার চালাতে হয়।
সাভার পৌরসভা শাখা আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সাভারে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সাভার পৌরসভা শাখা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা তাহসিন আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ, মো. শহিদুল্লাহ প্রমুখ।
টাংগাইল সংবাদদাতা : কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল সোমবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাংগাইল শহর শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি টাংগাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর পূর্ব জামাতের আমীর মোশহিদুল ইসলাম,সদর পশ্চিম আমীর মোআলমগির হোসাইন,শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

কুমিল্লা অফিস : কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের উদ্যাগে বিক্ষোভ মিছিল করে।
সোমবার নগরীর টমছমব্রীজ এলাকার মিছিলটি শেষ করে রামমালা রোডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করে।
মিছিলের নেতৃত্বে দেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত নেতা আবদুল কাইয়ুম মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা তাসলিমুর রহমান মিয়াজী, কাজী নজীর আহম্মেদ, মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান মজুমদারসহ আরো অনেকে।

বরিশাল অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এ বিক্ষোভমিছিল নগরীরর সিএন্ডবি রোডে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্বদেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মুহা. বাবর, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবৈধ সরকার দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় এ সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনা। বর্তমানে দেশে নিত্যপণ্যসহ সকল দ্রব্যমূল্যের শুধু ঊর্ধ্বগতি নয় তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। লাগামহীন এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ ও অসমর্থ। সরকারের মন্ত্রী এমপিরা রাষ্ট্র জনগণের সম্পদ চুরি করে বিদেশে অর্থপাচার করে বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম করছে। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। অযোগ্য এই সরকার বিরোধী মতাদর্শের বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন ছাড়া অন্য কোন কাজে যোগ্যতার পরিচয় দিতে চুড়ান্তে ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা এই সরকার জনগণের সম্পদ লুট করে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে দেশকে একটি নরকে পরণিত করছে। জনগন আজ এই জালিম সরকারের জুলুম নির্যাতন ও নিষ্পেষণে দিশেহারা। মানুষ এই সরকার নামের জগদ্দল পাথরের হাত থেকে মুক্তি চায়। লুটেরা এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আর দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আসবেনা। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করছি এবং এই লক্ষ্যে আপামর জনতাকে তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
খুলনা অফিস : চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসুনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরী শাখার উদ্যোগে নগরীতে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা এম এম রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম হেলাল উদ্দীন, মো. টুকু, মো. হায়দার আলী, মো. যুবায়ের, মো. কাইয়ুম, মো. কাইয়ুম প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে। বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসুনসহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। সীমিত আয়ের একজন চাকরিজীবী বর্তমানে প্রতিমাসে যে বেতন পান তাতে তাদের ১০/১৫ দিনের বেশি চলে না। বাকী দিনগুলো বাকীতে পণ্যসামগ্রি ক্রয় করে সংসার চালাতে হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম : জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলত্তোর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় তাই তারা জনগণের দুর্বিষহ অবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আজ জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সরকার চাল, ডাল, তেল, পিঁয়াজ, রসুন ও শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত। নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠন করে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।
চাল, ডাল, আটা, তেল,তরিতরকারি,মাছ,গোশত ও শাক সবজিসহ জনগণের সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ দিবসের অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

নগর জামায়াত নেতা আবু মুনয়িমের সভাপতিত্বে কোতোয়ালী এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের মজলিশে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাহমুদ ইলাহি, শ্রমিক নেতা মকবুল আহমদ, ছাত্রনেতা এফ. কে ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিজ্ঞপ্তি।
রাজশাহী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, চাল, ডাল, সবজীসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি প্রমাণ করে এই সরকার জনস্বার্থ ও দেশবিরোধী। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছে। এ অবস্থায় সরকার কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দেশবাসীকে এর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

সমাবেশ উত্তর নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নিত্যপন্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ সকল জিনিষের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে গুপ্তহত্যা, হামলা ও মামলার মাধ্যমে বিরোধীদলকে নিñিন্ন করতে চাচ্ছে। তাই বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মকা- পালনে পুলিশ বাহিনী দিয়ে বাধা দিচ্ছে এবং দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। সরকার কেন্দ্রীয় নেতাদের আটক করে ও সারা দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযানের মাধ্যমে জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে রাখতে চাচ্ছে। তাই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপবাদ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সরকারের এসব অগণতান্ত্রিক কর্মকা- দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।

গাজীপুর সংবাদদাতা : নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাস্তার বাইপাস এলাকায় মিছিলটি রাজপথ প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. খায়রুল হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা। কৃষক-শ্রমিক, মুটে-মজুর ও দরিদ্র-মধ্যবিত্ত মানুষ অতিকষ্টে সংসার চালাচ্ছে। কিন্তু বিনাভোটের এই সরকারের জনগণের দুঃখ-কষ্টের দিকে কোন খেয়াল নেই। নিজেরা বিত্ত-বৈভব ও সম্পদের পাহাড় গড়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত। অনতিবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মিছিল সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মো. আফজাল হোসাইন, প্রচার সেক্রেটারি ইরফানুল হক, নগর শিবির সভাপতি ইশমাম আব্দুল্লাহ, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসাইন, আবু সিনা নুরুল ইসলাম মামুন, ছাদেকুজ্জামান খান, আশরাফ আলী, কাজল, মনির হোসাইন খান, মহিউদ্দিন প্রমুখ।

ময়মনসিংহ : চাল, ডাল, আটা, পেয়াজ, তৈল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ শহর শাখা। মিছিলটি নতুন বাজার ট্রাফিক মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার রেল-ক্রসিং গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত মিছিলে জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারি, মাছ, গোশত, পিয়াজসহ সকল প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে করার দাবিতে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দসহ কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

সিলেট ব্যুরো : সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাকশালী সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করতেই জনগণের উপর জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে। দেশ পরিচালনায় তারা সর্বাত্মকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের দুঃশাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোশত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আজ দুর্বিষহ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সীমিত আয়ের নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনজীবনে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে। সীমিত আয়ের একজন চাকরিজীবী বর্তমানে প্রতিমাসে যে বেতন পান তাতে তাদের ১৫/২০ দিনের বেশি চলে না। বাকী দিনগুলো বাকীতে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করে কিংবা ধার করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সরকার সেদিকেই নজরই দিচ্ছেনা। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে বিভোর হয়ে আছে। অবৈধ সরকারে পতন ছাড়া জনগণের মুক্তির কোন পথ খোলা নেই।
গতকাল সোমবার জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, হাফিজ মশাহিদ আহমদ, মু. আজিজুল ইসলাম, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, শাহেদ আলী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থ হলে যে কোন সময় গণবিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তাতেই জাতির মঙ্গল হবে।

http://www.dailysangram.com/post/307546