১৩ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১০:১৭

মহাসড়কে হঠাৎ উধাও গণপরিবহন

বিএনপির সমাবেশের দিন রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় গণপরিবহন। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় হাতেগোনা কিছু দূরপাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকেছে। আবার বিভিন্ন পয়েন্টে এসব বাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পাথরভর্তি ও খালি ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বন্ধ ছিল ঢাকাগামী বাস চলাচল। কোথাও কোথাও যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি ফেরত পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীতেও ছিল সীমিত যান চলাচল। কল্যাণপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, চিটাগাং রোড, ঢাকা-আরিচার গাবতলী, সাভার, ঢাকা-গাজীপুরের বিভিন্ন রুটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় হাজার হাজার মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বিএনপির অভিযোগ, দলের সমাবেশে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতেই গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সরকারপন্থী নেতাদের চাপ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। আবার কোনো কোনো জেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাড়ি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালিক ও শ্রমিকনেতারা।

এদিকে গাড়ি চলাচল কম থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে কর্মজীবী ও নারীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। গাড়ি না পেয়ে অসংখ্য মানুষ হেঁটে বা ভ্যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
তবে বাধা দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খতিয়ে দেখতে হবে, খোঁজ নিতে হবে বাধাটা কে কাকে দিচ্ছে। বিএনপি তো নিজেরাই নিজেদের বাধা দেয়। অতীতে আমরা যখন এসব অভিযোগের খোঁজখবর নিয়ে দেখি, তখন অনেক সময় দেখা যায়,
এসব অভিযোগের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। আসলেই কথায় কথায় নালিশ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস।
ঢাকায় প্রবেশের মুখে রাস্তায় যানবাহন সংকট এবং দূরপাল্লার পরিবহনও দেখা যাচ্ছে না, এটা কেন হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না, উনি জানেন (পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা)। এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘ঢাকায় গাড়ি এসে তা আবার ফিরে যেতে হবে। রাস্তা ব্লক থাকায় সেই সুযোগ কোথায়। এছাড়া অতীতে গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, যাত্রী পুড়িয়ে দেয়ার অভ্যাস- এটা তো কারও না কারও ছিল। এখন পরিবহন মালিকরা কোন রিস্কে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসবে? এখানে আমাদের কী করার আছে।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যা গাড়ি চলাচল কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির ভাংচুরের স্বভাব রয়েছে। রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব থাকায় অনেক মালিক ও শ্রমিক গাড়ি চালাননি। তবে আমরা কাউকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে বলিনি।

তবে নাম গোপন রাখার শর্তে একটি বাস কোম্পানির মালিক বলেন, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিএনপি উভয়পক্ষের চাপে পড়েছেন মালিকরা। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস কাউন্টারে গিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলেছে। আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ গাড়ির যাত্রীদের চেক করেছে। এতে আতঙ্কে সাভারের পরে অনেক গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করেনি। আবার অনেক স্থানে বিএনপির লোকজন কিছু বাস নিয়ে গেছে। দুই দিকের চাপের কারণে অনেক মালিক বাস নামাননি।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, রোববার সাড়ে ৯টার দিকে কল্যাণপুরে অন্তত ৮টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। ওইসব গাড়ি বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে নিয়ে যাবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভাংচুর করা হয়। এতেও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা জানান, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গাড়ি চলাচল একপ্রকার বন্ধ ছিল। নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে গুলিস্তানের আশিয়ান এবং কলাবাগান রুটের মেঘলা পরিবহনের বাস সকাল থেকেই বন্ধ ছিল। গাড়ি বন্ধ থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, চিটাগাং রোড, ঢাকা-আরিচার গাবতলী, সাভার, ঢাকা-গাজীপুরের বিভিন্ন রুটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় শত শত মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

গাড়ি চলাচল না করায় দুর্ভোগের শিকার বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আহমেদ রেজা বলেন, বিএনপির সমাবেশে যাতে কেউ অংশ নিতে না পারে, সে কারণে সরকারি দলের লোকজনের ইশারায় বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়ায় হেঁটে যেতেও কষ্ট হয়েছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গাজীপুর, কালিয়াকৈর ও কাপাসিয়া : সকাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসগুলোকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় ও ভোগড়া বাইপাস মোড়ে পুলিশ ও স্থানীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট কিছু শ্রমিক আটকে দেয়। ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন। এমনকি চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাস মোড়ে লাঠি হাতে কিছু পরিবহন শ্রমিক যাত্রীবাহী বাসগুলোকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দিতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় পাথরভর্তি ও খালি দুটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ দুটি ট্রাক দিয়ে মহাসড়কে ব্যারিকেড রেখে ট্রাকের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এতে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাক দুটি মহাসড়কের পাশে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
ময়মনিসংহ হতে আসা যাত্রী আরমান মিয়া জানান, তার বৃদ্ধা মাকে চিকৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। চান্দনা চৌরাস্তায় বাস আসার পর লাঠি হাতে লোকজন বাস থেকে সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়। তার অসুস্থ মাকে এখন কীভাবে ঢাকায় নিয়ে যাবেন, তা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে এভাবে পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কোনো পিকআপ ভ্যানেও লোকজনকে ঢাকার দিকে যেতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের এএসপি সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা কোনো গাড়িকে বাধা দিচ্ছে না। পরিবহনের লোকেরাই গাড়ি নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছেন না। গাজীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান আহমাদ সরকার জানান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা নিরাপত্তার স্বার্থেই গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে না। এদিকে ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের ৩৬ নেতকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা : সকাল থেকে জেলার ঢাকাগামী সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় নগরীর শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া ও পদুয়ার বাজার ক্যান্টনমেন্ট, চান্দিনা, মাধাইয়াসহ প্রায় ১০-১২ অস্থায়ী স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। দিনভর টার্মিনাল ও রাস্তায় অপেক্ষার পর বিকালের দিকে বাস চলাচল শুরু হলে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন যাত্রীরা। যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় জরুরি কাজ ছিল। সময় মতো যেতে না পেরে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কুমিল্লা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান টিটু বলেন, ঢাকা গেলে বাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই চালক-হেলপাররা বাস চালাতে চায়নি।
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) : সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ করে দেন পরিবহন নেতারা। এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল করলেও নির্ধারিত সময়ে কোনো ট্রেন ছাড়েনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। বিএনপির বহু নেতাকর্মী হেঁটে, বেটারিচালিত ইজিবাইকে বা ট্রাকে চড়ে ঢাকায় পৌঁছান। মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে সপরিবারে ফতুল্লায় আসেন রফিক মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না যে, বাস বন্ধ। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : শিমরাইল ইউটার্নের হাজী ইব্রাহীম খলিল শপিং কমপ্লেক্স অ্যান্ড প্রিয়ম নিবাসের সামনে সার্জেন্ট কামরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সন্দেহজনক যত্রীবাহী বাসগুলো ঢাকায় যেতে বাধা দেয়। ঢাকামুখী পরিবহনের স্বল্পতার কারণে সকাল থেকেই যাত্রীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। সাইফুল নামে এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হরতালের দিনেও এর চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করে এ মহাসড়কে।
লৌহজং : স্থানীয় প্রশাসনের অলিখিত নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান সিমিত আকারে চলাচল করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া সড়কের যাত্রীবাহী পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ করে রাখে। শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পার্কিং ইয়ার্ডে ও যাত্রী ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য যাত্রী। যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে কোনো পরিবহন না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যান।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : সকালে ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বাস না থাকায় লেগুনা, অটোরিকশা ও সিএনজি করে অনেকে যাতায়াত করছেন। বেলা ১২টার পর সীমিত আকারে ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কিছু বাস চলাচল করলেও বাসের ভেতরে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গাড়ি বন্ধ করে পুলিশি বাধার কারণে বহু নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি।
সোনারগাঁ : সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছিল অনেকটা ফাঁকা। মহাসড়কে বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার পরিবহন যাত্রী। অনেকে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছতে হেঁটে রওনা হন। সরেজমিন সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, মেঘনা ঘাট ও কাঁচপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোনারগাঁ থেকে গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী দোয়েল, বোরাক, স্বদেশ পরিবহনের সব বাস সার্ভিসের কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। দোয়েল কাউন্টারে সাদা কাগজে লেখা- ‘আজকের জন্য বাস কাউন্টার বন্ধ, আগামীকাল যথারীতি সার্ভিস চালু থাকবে।’
নারায়ণগঞ্জ : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটসহ বিভিন্ন রুটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বন্ধ রাখা হয় বাস কাউন্টারগুলোও। সকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে কিছু বাস গেলেও যাত্রাবাড়ী এলাকায় সেসব বাস আটকে দেয়া হয়। হঠাৎ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বাস না পেয়ে অনেকে ফিরে গেছেন।

সাভার ও আশুলিয়া : সকাল থেকে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। এতে গার্মেন্ট শ্রমিকসহ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান। এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) : ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সকাল থেকে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। সকাল ৭টা থেকে মহাসড়কে ঢাকামুখী কোনো যাত্রীবাহী বাস বা লেগুনা চোখে পড়েনি। বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডে অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন মরিয়ম বেগম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিরোধ আওয়ামী লীগ-বিএনপির আর তার খেসারত দিমু আমরা। মানুষ মইরা গেলে তাগো কী?’
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) : নাশকতার আশঙ্কায় অভিযান চালিয়ে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালকসহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

https://www.jugantor.com/first-page/2017/11/13/171249