১২ নভেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৬:০৩

আমদানি করেও লবণের দাম কমানো যাচ্ছে না

আমদানির অনুমোদন দিয়েও লবণের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কয়েক মাস ধরেই এ পণ্যটি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে। উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ২০-২২ টাকা হলেও প্যাকেট করে লবণের দাম বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী কারসাজি করে লবণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী। তাদের ইচ্ছামতো লবণের দাম বাড়ানো বা কমানো হয়ে থাকে। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ কোনো কাজ করে না।
অভ্যন্তরীণ বাজারে লবণের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ৫ লাখ মেট্রিকটন ক্রুড (অপরিশোধিত) লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে গত জুলাই মাসে। বলা হয়, সরকারের নির্ধারিত আমদানিকারকেরা এ লবণ আমদানির করতে পারবেন। আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণের উপযুক্ত মান নিশ্চিত করে লবণ বাজারজাত করতে হবে। একই পদ্ধতিতে গত বছর দুই দফায় মোট আড়াই লাখ টন ক্রুড লবণ আমদানি করেছে সরকার।
সেই অনুযায়ী লবণ আমদানির অনুমতিও দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা লবণ আমদানি শুরু করলেও বাজারে এর দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, লবণের দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। কারণ এ বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ী প্যাকেটজাত লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। আর খোলা লবণ যা বিক্রি হয় তা সচরাচর খাওয়ার জন্য মানুষ কিনে না। তাই আমদানি করা হলেও লবণের দাম কমবে বলে মনে হয় না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর দেশে লবণের চাহিদা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টন। এর বিপরীতে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টন। ঘাটতি ২ লাখ ১২ হাজার টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা ও বৃষ্টির কারণে লবণ উৎপাদন তিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমান আমদানি নীতিতে লবণ আমদানি নিষিদ্ধ। দেশের মানুষের প্রয়োজনে এ বিধান সাময়িকভাবে স্থগিত করে এ লবণ আমদানি করা হচ্ছে। দেশের চাহিদা মোতাবেক লবণ উৎপাদনের জন্য লবণ চাষিদের সরকার সবসময়ই উৎসাহ দিয়ে আসছে। লবণ আমদানির েেত্র দেশের লবণ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রা করা হবে বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/267631