১১ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৯:১০

অপরাধপ্রবণতাকে যেভাবে বুঝতে হবে

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে খুন হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাড্ডায় বাবা ও মেয়ে খুন হলেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ৪ নভেম্বর যুগান্তর ‘রাজধানীতে দু’জোড়া খুন’ শিরোনামে সম্পাদকীয় করে। রাজধানীর মতো এলাকায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সংঘটিত এ দু’জোড়া খুনসহ সারা দেশে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির মধ্যে একটি মেসেজ পাওয়া যায়। মেসেজটি হল, সমাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে সমাজের স্বাভাবিকতা ও মূল্যবোধ। অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সামাজিক অস্থিরতা। এ অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করে সমাজে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সাময়িকভাবে সুপ্ত জঙ্গি তৎপরতা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। কাজেই উল্লিখিত দু’জোড়া খুনকে কেবল পারিবারিক কলহ, দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ বা পরকীয়ার জের বিবেচনা করা যাবে না। কেন সমাজে অস্বাভাবিক হারে এমন অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে, কেন মানুষ অন্যায় পথে অবৈধ খুন-খারাবিতে জড়িত হচ্ছে, সে বিষয়ে অপরাধবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের অনেক কিছু ভাবতে হবে।

গণতন্ত্রের একটি ব্যাকরণ আছে। সে ব্যাকরণ অনুসারে, কোনো দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে। সরকার ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রচর্চার প্রতি জোর না দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ভালো ফল দেয়নি। ফলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। গণতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ও সুস্থতা সুনিশ্চিত করতে না পারলে যত অর্থনৈতিক উন্নতিই হোক না কেন, তা টেকসই হবে না। গণতন্ত্রের অন্যতম সৌন্দর্য হল পরমতসহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে এ সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ সমাজে অসুস্থ হয়ে পড়েছে নির্বাচনী গণতন্ত্র। এসব কারণে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অপহরণ, চোরাচালান, ধর্ষণ, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, মাদকাসক্তি, সিন্ডিকেটবাজি ও বিভিন্ন রকম অপরাধপ্রবণতা উন্নয়নের ইতিবাচক অর্জনকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সামাজিক অস্থিরতায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অপরাধপ্রবণতা। তবে এ কথা স্বীকার করতে হয়, অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আইনকানুন ও পুলিশ-র্যা বের ভূমিকা আছে। আবার এ সত্যও স্বীকার্য, নাগরিকদের নৈতিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত না করে কেবল আইনকানুন ও পুলিশ-র্যা ব দিয়ে সামাজিক শান্তি সুনিশ্চিত করা যায় না।

বড় বড় দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের টাকা লুট, সিন্ডিকেটবাজদের শাস্তি না দেয়া, বড় দুর্নীতিবাজদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া ইত্যাদি অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীরা প্রশ্রয় পায়। তারা তখন নিজেদের দুর্নীতি ও অপরাধকে বড় করে না দেখে অপরাধ করে রাজনৈতিক প্রশ্রয় খোঁজে। সরকার যদি দুর্বল হয়, যদি নড়বড়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার স্বার্থে নিজদলীয় লোকজনের অপরাধ, মজুতদারি, সিন্ডিকেটবাজি এবং অন্যান্য অপরাধপ্রবণতার প্রতি রক্তচক্ষু নিক্ষেপ করার পরিবর্তে তাদের প্রশ্রয় দেয়। ফলে দুর্নীতিবাজরা রাতারাতি মুনাফা করার জন্য সিন্ডিকেটবাজি করে জনগণের পকেট কাটার লক্ষ্যে কৃত্রিমভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। সাম্প্রতিক চালের মূল্য বৃদ্ধির পেছনেও এ প্রক্রিয়া কাজ করেছে বলে অনেকে ব্যাখ্যা করছেন।

সামাজিক অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ মাদকাসক্তি। আজকের তরুণ ও যুবসমাজের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকের নেশা কেবল বাড়তেই থাকে। নেশা করার অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে অনেকে সামাজিক অপরাধ করে। চুরি-ডাকাতি ও শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা বৃদ্ধির এটিও একটি কারণ। ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন এত সহজলভ্য হয়ে পড়েছে যে, এগুলো এখন নাকি অনেক পানের দোকানেও কিনতে পাওয়া যায়। যশোর, বেনাপোল, দর্শনা ইত্যাদি সীমান্ত এলাকার ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে কেবল বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফেনসিডিল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ওই কারখানাগুলোয় ‘কফ লিঙ্কার্টস’ হিসেবে তৈরি না করে নেশা করার লক্ষ্যে বিশেষভাবে ফেনসিডিল তৈরি করে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয়। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে চোরাচালানিদের অদৃশ্য সমঝোতা ভেঙে গেলে এসব মাদকের চোরাচালান ধরা পড়ে। তবে ধরা পড়লেও চোরাচালানিদের শক্তিশালী সিন্ডেকেট এসব অপরাধীকে জামিনে বের করে আবারও কাজে লাগায়।

প্রযুক্তিও সামাজিক অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির একটি কারণ। কোনো সমাজ শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে না পারলে সেখানে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। দেশে শিক্ষার হার সেভাবে বাড়ছে না, সে তুলনায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বেশি হয়ে যাচ্ছে- এমন অবস্থা হলে সামাজিক শান্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত শিশু-কিশোরদের হাতে অ্যানড্রয়েড ফোন এবং ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে সাইবার ক্যাফে গড়ে ওঠার বিষয় দুটিকে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। সমাজ ধারণ করার মতো যোগ্যতা অর্জন করার আগেই সমাজকে ওভার ডিজিটালাইজড করলে তার ফল ভালো হয় না। এ কারণে সমাজে ব্যাপক হারে প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে এবং তা অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর সমাজের খোলামেলা সামাজিক সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের দেশের তুলনামূলক রক্ষণশীল সামাজিক সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এজন্য প্রযুক্তিগত কারণে সৃষ্ট অপরাধের সংখ্যা এ দেশে বেশি। সাইবার ক্রাইমও বাড়ছে ব্যাপক হারে। তবে এ কথাও সত্য, প্রযুক্তির ব্যবহার অপরাধ দমনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা আছে। আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তাদের পরিকল্পনাসহ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে তারা অপরাধ দমনে কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম। কিন্তু পুলিশ বাহিনী কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবার আছে। সরকার পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে চায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ কারণেই হয়তো সরকার ব্রিটিশ আমলের ১৮৭০ সালের পুলিশ আইনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় না। বলা প্রাসঙ্গিক, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার আমলে পুলিশ আইন সংস্কারের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ওই সময় সাবেক আইজি মোহাম্মদ শাজাহানকে প্রধান করে পুলিশ আইন সংস্কারের জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। ওই কমিটি অনেক পরিশ্রম করে পুলিশ আইন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কার্যকর ও সময়োপযোগী সুপারিশ দিয়েছিল। সেই পুলিশ সংস্কার প্রতিবেদনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে পুলিশ একটি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ওই সুপারিশটি ফখরুদ্দীন সরকার পাস করে যেতে পারেনি।

রাজনৈতিক দলগুলো ওই সময় বলেছিল, নতুন সরকার গঠন করে তারা পুলিশ সংস্কার আইন পাস করবে। কিন্তু দলীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর সরকার সে ওয়াদা পূরণ করেনি। ফলে পুলিশ বাহিনী এখনও উল্লিখিত মান্ধাতার আমলের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা সক্রিয় করতে হলে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ আইনের সংস্কার করতে হবে। পুরনো আইনে পরিচালিত হওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ দমন করার পরিবর্তে নিজেরাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এলিট ফোর্স র্যা বের জন্য পৃথক নিয়োগ ব্যবস্থা না থাকায় এবং বিভিন্ন বাহিনী থেকে লোকবল সংগ্রহ করে বাহিনীটি পরিচালিত হওয়ায় এ বাহিনীর মধ্যেও অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ে দৃঢ়তার অভাব প্রতীয়মান হয়। অপরাধ দমনে র্যা বের প্রশংসনীয় অবদান থাকলেও এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় খুন ও মাজারের টাকা লুটের মতো অপরাধের অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে। রক্ষক যদি ভক্ষকের কাজ করে, তাহলে অপরাধ দমন কঠিন হয়ে পড়ে।

অপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েও অপরাধ কমানো যায়। অপরাধীদের শাস্তি দিলে তারা অপরাধ করা থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পুলিশি তৎপরতায় দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেও সার্বিকভাবে সব অপরাধীর বিচারের ব্যাপারে একই রকম গতি লক্ষ করা যায় না। ফলে দেশে একটি বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আইনের পরিভাষায় বলা হয়, ‘জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইড।’ কিছু অপরাধের বিচারে এত বেশি সময় লাগছে যে সাধারণ মানুষ সন্দিহান হয়ে পড়ছেন আদৌ ওই অপরাধের বিচার হবে কিনা। যেমন- সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ড, নারায়ণগঞ্জের তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ড, কুমিল্লার তনু হত্যাকাণ্ড এবং চট্টগ্রামের মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তের গতিপ্রকৃতি সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় অপরাধীরা প্রশ্রয় পায়।

সরকার যদি নিজ দলীয় অপরাধীদের শাস্তির পরিবর্তে প্রশ্রয় দেয়, তাহলে কখনও অপরাধপ্রবণতা কমানো যাবে না। সেক্ষেত্রে চতুর অপরাধীরা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে অপরাধ করে পার পেতে চাইবে। সরকার যদি হঠাৎ করে নির্বাচনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে সে কাজটি কঠিন হবে। কারণ, ইতিপূর্বে উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যারা দৃশ্যমানভাবে দুর্নীতি, কারচুপি ও সন্ত্রাস করেছিল, তাদের কারোরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। এসব সন্ত্রাসী দলীয় প্রশ্রয় পেয়েছে। এখন যদি সরকার একটি নির্বাচনে হঠাৎ করে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে, তাহলে সে প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে তা বলা কঠিন। কারণ দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনে সন্ত্রাস করে যারা শাস্তি এড়িয়ে থাকতে পেরেছে, তাদের দিয়ে হঠাৎ করে নির্বাচনে সদাচরণ করানো কঠিন।

এসব পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, সমাজের মূল্যবোধ যেমন ভেঙে পড়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও হয়ে পড়েছে নাজুক। রাজধানীর সাম্প্রতিক দু’জোড়া খুন তারই ইঙ্গিতবাহী। এ ঘটনাকে কেবল পারিবারিক কলহ, পরকীয়া বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে না দেখে সামাজিক অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির মূল কার্যকারণ খোঁজা জরুরি। স্বীকার করতে হবে, সমাজে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। বিঘিœত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুখ-শান্তি। কাজেই রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচিত হবে দু’জোড়া খুনের মেসেজ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা। নাগরিকদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ব্রিটিশ আমলের পুলিশ আইন সংস্কার করে সমাজে স্বাভাবিকতা, নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করা।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

 

https://www.jugantor.com/sub-editorial/2017/11/11/170741