৮ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১০:৩৭

শ্রমিক লীগ কার্যালয় বলে উচ্ছেদ হয়নি

বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকায় সওজের জায়গায় শ্রমিক লীগের কার্যালয়। সোমবার তোলা ছবি l প্রথম আলোবরিশাল মহানগরের রূপাতলী এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু সেখানে শুধু শ্রমিক লীগের একটি কার্যালয় টিকে আছে।

সওজ বিভাগের বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ বাজার ও দোকানপাট স্থাপন করে একটি চক্র। গত ২৩ ও ২৫ অক্টোবর দুই দফায় মহানগরের রূপাতলী এলাকায় মহাসড়কের পাশে থাকা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ওই সময় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে জাতীয় শ্রমিক লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙানো থাকায় একটি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়নি।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে মহাসড়কের বাঁ পাশে ওই কার্যালয় রয়েছে। এর ভেতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দুজন আওয়ামী লীগ নেতার ছবি-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন রয়েছে। কার্যালয়ের আশপাশে আর কোনো স্থাপনা নেই। সব অবৈধ স্থাপনা সওজ বিভাগের অভিযান চলাকালে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে দুই দিকের খালি জায়গা দখলে নিতে মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। এর কয়েক গজ দূরে উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় আবার কাঁচাবাজার বসানো হয়েছে।

মহাসড়কের পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দলীয় কার্যালয় করা সম্পর্কে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওটা আমাদের শ্রমিক লীগের শাখা কার্যালয়। শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের বসার জায়গা নেই। তাই উচ্ছেদের সময় তাঁরা অনুরোধ করে কার্যালয়টি টিকিয়ে রেখেছেন। সওজ বিভাগের যখন দরকার হবে, তখন সরিয়ে নেওয়া হবে। টিনের একটি ঘর সরাতে এক ঘণ্টার বেশি লাগবে না।’
সওজ বিভাগের বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, সওজ বিভাগের জায়গায় নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই সময় দলীয় সাইনবোর্ড থাকায় নির্বাহী হাকিমের নির্দেশেই স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে প্রয়োজনে ওই স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1360791