২৯ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার, ১১:৫৭

২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ড ইতিহাসের নির্মম নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক ঘটনা

২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে গতকাল শনিবার রাজধানীসহ সারা দেশেই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ড বিশ^ ইতিহাসের নির্মম, নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক ঘটনা। এই হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত করা হয়েছে। ফলে স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। কিন্তু শহীদানের রক্ত কখনো বৃথা যায় না বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই আদর্শবাদী আন্দোলনের বিজয় সূচিত হয়। তিনি ২৮ অক্টোবরের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন, আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং নিহতদের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
গতকাল রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশীদ ও মনিরুজ্জামান শামীম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, সরকার দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রজ্ঞাবান জাতীয় নেতাদের বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সে ধারাবাহিকতায় বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর জাফর সাদেকসহ নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়েছে। মূলত এসব ষড়যন্ত্রের সূচনা হয়েছিল ২৮ অক্টোবরের নারকীয় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এই অপশক্তিকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদসহ শীর্ষনেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র ও আধিপত্যবাদী অপশক্তির সম্মিলিত পদচারণা চলছে। এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রেই পিলখানা ট্রাজেডির মাধ্যমে দেশপ্রেমী সেনাবাহিনীকে ধ্বংস ও রাষ্ট্রীয় সীমান্তকে অরক্ষিত করা হয়েছে। শাসক দলের হাতে এখন দেশ ও গণতন্ত্র কোনটাই নিরাপদ নয়। তাই ২৮ অক্টোবর ও ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকান্ডে শুধু শোকাহত হলেই চলবে না বরং শোককে শক্তিকে পরিণত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি ২৮ অক্টোবরের খুনিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, সরকার অপশাসন ও দুঃশাসনের কারণেই গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা জনগণের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের ক্ষমতা রক্ষার জন্যই জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকার জনপ্রতিধিত্বশীল নয় বলেই দেশ ও জাতির জন্য তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। একই কারণে তারা রোহিঙ্গাসহ আন্তঃদেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন সমস্যারই সমাধান করতে পারছে না। সরকারের নির্লিপ্ততার কারণেই দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ব্যবসায়ী অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা সে দিকেই অঙ্গলী নির্দেশ করে। তাই দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থেই এই ব্যর্থ এবং জুলুমবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লগি-বৈঠার তান্ডবে নিহত শহীদদের স্মরণে গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি কনফারেন্স হলে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. হেলাল বলেন, আজ সেই ভয়াল ২৮ অক্টোবর, এগার বছর আগে ২০০৬ সালের এই দিনে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে জামায়াত-শিবিরের উপরে পরিকল্পিতভাবে তা-বলীলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সেই তান্ডবে ঢাকার রাজপথে ৬ জনসহ সারা দেশ ১৩ জন জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মী শাহাদাৎ বরন করেন এবং আহত হন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। সাপের মত পিটিয়ে হত্যা ও মৃত লাশের ওপর নৃত্য ও উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি বিবেকবান মানুষকে হতবাক করে দিয়েছিল। সেদিন জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য নির্দয়, নিষ্ঠুর ও পাশবিক কায়দায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তার বাম শরীকরা পরিকল্পিতভাবে যে নরহত্যায় মেতে উঠেছিল তা দেখে কেঁদেছে বাংলাদেশ, কেঁদেছে বিশ্বমানবতা অথচ কাঁপেনি সন্ত্রাসীদের হাত ও বুক।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত-বিএনপি জোটের রাজনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়েই আওয়ামী লীগ মূলত এই জঘন্য তা-বলীলা চালায়। এর মাধ্যমে জামায়াতকে ধ্বংস করে জোটের মনোবল ভেংগে দেওয়াই তাদের লক্ষ ছিল। কারণ বিএনপি ও জামায়াত জোটগতভাবে পরবর্তী নির্বাচন করলে কোনভাবেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারতো না। জোট ভেংগে কেবলমাত্র আলাদাভাবে নির্বাচন করলেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হতো। ফলে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই জামায়াতকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট নির্ধারণ করে এই জঘন্য মানবতাবিরোধী ঘটনা সংঘটিত করে আওয়ামী লীগ ও তার নামধারীরা।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে লগি, বৈঠা ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যে হত্যাকা- ও মানবতাবিরোধী ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছিল তা দেখে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিবসহ সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে অথচ ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতার বিচার হওয়াতো দূরের কথা, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাই প্রত্যাহার করে নেয়। তিনি অবিলম্বে এই ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, দেশে সুবিচার নিশ্চিত করার জন্যই এই হত্যাকা-ের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত এবং বর্তমান সরকার এতে ব্যর্থ হলে এই বাংলাদেশেই কোনো একদিন এই অন্যায়ের সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান, কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শূরা সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন তালুকদার, মুহ্বিŸুল্লাহ ফরিদ, আবু শাহাদাত মোহাম্মদ আলীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল, পল্টন থানা, হাজারিবাগ থানাসহ বিভিন্ন থানায় রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর কালো দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগরী উত্তর বিভিন্ন থানায় দোয়া
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ২৮ আক্টোবরের নারকীয় হত্যাকান্ড বিশ^ দরবারে দেশকে সন্ত্রাসী ও অসভ্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে এভাবে মানুষ পিটিয়ে হত্যার ঘটনা বিশ^বাসী আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। মূলত এই নারকীয় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আজও এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যান্ডের বিচার হয়নি। তিনি ২৮ আক্টোবরের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদানের মাগফিরাত কামনা দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মিরপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আব্দুল্লাহ মুয়াজের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি নাজমুস সা’দাত, জামায়াত নেতা এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম ও জসিম রেজা প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। ফলে দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুপ্তহত্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা না থাকলেও দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই জনগণের ওপর দলন-পীড়ন চালাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় বয়োবৃদ্ধ রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ সহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারকে নেতিবাচক বাচক রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।

মোহাম্মদপুর থানা: কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের নারকীয় হত্যাকান্ড ইতিহাসের সকল নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। সেদিন ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠার তান্ডব চালিয়ে রাজপথে নিরপরাধ মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যা আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণ বিশ^বাসী প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও এই নারকীয় হত্যাকান্ডের আজও বিচার হয়নি বরং সরকার এই হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। তিনি ২৮ অক্টোবরের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে দোয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুর থানা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা এনামুল হক, ছাত্রনেতা আব্দুর রহীম ও আসাদুজ্জামান এবং জামায়াত নেতা স ম ফারুক প্রমুখ।
দক্ষিণখান থানা: দক্ষিণখান থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলানায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মো. মনিরুল হক। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমীন, জামায়াত নেতা জাকারিয়া আদনান, হোসাইন, আবু বকর, নজরুল ইসলাম শহীদ ও ও ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভার পর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দারুসসালাম থানা: দারুসসলাম থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি আবু রায়হান। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবু নাহিয়ান, জামায়াত নেতা মাওলানা কে আলম আনসারী, ডা. রেজা, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

বিমানবন্দর থানা: বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর এডভোকেট ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তরা জোনের সহকারী পরিচালক মাওলানা মুহ্বিŸুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এ কে শিপন মোল্লা, ছাত্রনেতা মীর সিহাব, জামায়াত নেতা আবুল হাসেম, শাহ আলম ও সুজারুল হক প্রমুখ। পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
হাজীক্যাম্প: বিমানবন্দর থানার হাজীক্যাম্প ওয়ার্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি এ কে শিপন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবুল হাসেম ও সুজাউল হক সুজন প্রমূ।
আশকোনা: বিমানবন্দর থানার আশকোনা ওয়ার্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা আমীর এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শাহ আলম, মনিরুল ইসলাম, একরামুল হক ও শাহাদাত মৃধা প্রমুখ।
রমনা থানা: রমনা থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমীর এডভোকেট এম জে রহমান। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এম এ রহমান, জামায়াত নেতা আকতা হোসাইন, আবু বকর ও আসগর হোসাইন প্রমুখ।
ভাষানকেট থানা: ভাষানটেক থানার উদ্যোগে নগরীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানা আমীর আলাউদ্দীন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি শাহ আলম, আলী হায়দার ও ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
গুলশান থানা: গুলশান থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন থানা আমীর এ আর এম মনির। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আবু জুনায়েদ, জাকির হোসেন, সাইফুর রহমান ও আব্দুল গফুর খান প্রমুখ।
আদাবর থানা: আদাবর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর ডা. শফিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল হান্নান, জামায়াত নেতা হাসান আব্দুল্লাহ সাকিব, কামাল আক্তার কোরাইশী ও বশির আহমদ প্রমুখ।

তুরাগ থানা: তুরাগ থানার উদ্যোগে নগরীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মেসবাহ উদ্দীন নাঈম। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি গাজী মনির হোসেন, জামায়াত নেতা বশির আহমদ, কবির হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মাসুদ রানা, আজাদ হোসেন ও গোলজার হোসেন প্রমুখ।
উত্তরা পশ্চিম থানা: উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানা আমীর এডভোকেট বেলায়েত হোসেন সুজা। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মো. শাহজাহান, জামায়াত নেতা আজিম উদ্দীন, মাহমুদুর রহমান, মো. ইসহাক, মো. হাবিবুল্লাহ ও মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।
তেজগাঁও থানা: তেজগাঁও থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানা আমীর। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সহ স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
কাফরুল থানা: কাফরুল থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মুকুল পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল মতিন খান, জামায়াত নেতা খান হাবিব মোস্তফা, ড. রবিউল আলম ও মাইনুল হাসান প্রমুখ।
উত্তরখান থানা: উত্তরখান থানা উদ্যোগে নগরীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মাওলানা মুস্তাকিম আলম, থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মো. ঈসা, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন, ইফতেখার মোহাম্মদ আকন্দ, রেজাউল করিম রাজু ও ডা. জেড আল বারী প্রমুখ।
উত্তরা-পূর্ব থানা: উত্তরা পূর্ব থানার উদ্যোগে স্থানীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর প্রফেসর মাহ্বুব মুকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইবনে কারীম আহমদ মিঠু। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি এডভোকেট এম ফেরদৌসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
রূপনগর থানা: রূপনগর থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর নাসির উদ্দীন। জীবন্ত শহীদ খ্যাত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মো. আবু হানিফ, জামায়াত নেতা লতিফুল খবির, লিয়াকত হোসেন ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বনানী থানা: বনানী থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি খান মো: মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।


রাজশাহী অফিস : জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০৬-এর ২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকা-ের জন্য আওয়ামীজোটকে একদিন আল্লাহর আদালতে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নগর নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। তাঁরা বলেন, আওয়ামী জোট অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত শিবিরে নেতা-কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার রাজপথে ৬ জনসহ সারাদেশে জোটসরকারের ৫৪ জনকে শহীদ ও হাজার হাজার নেতা কর্মীদের আহত করে ছিল- যা ইতিহাসে বিরল। আওয়ামী জোটের এ নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকা- ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ উপলক্ষে মহানগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, শাহমখদুম, মতিহার, পবা থানা ও কাটাখালি পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভাসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে শহীদদের মাগফিরাত ও শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য আ.জ.ম. ওবায়েদুল্লাহ্ বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন ময়দানে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিমর্মভাবে মানুষ হত্যার পর লাশের উপর নৃত্য করার দৃশ্য দেখে দেশে বিদেশে গোটা বিশ^ বিবেক কেঁদেছে। আজও তার বিচার হয়নি। জামায়াতের জনসভায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ৮জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করে আওয়ামীল লগি-বৈঠাধারীরা। আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে সেই পল্টন হত্যাকান্ডের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশে খুন, গুম ও বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড অব্যাহত রেখেছে। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে দেবে ইন্শা-আল্লাহ্। তিনি অবিলম্বে পল্টন হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
কেন্দ্র ঘোষিত দিবসে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৮জন নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঢাকার পল্টন হত্যাকান্ডের শহীদ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ্,নগর কর্মপরিষদ সদস্য এম.ছিদ্দিকুর রহমান ও নগর মজলিশে শূরার সদস্য ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আ.জ.ম. ওবায়েদুল্লাহ্। বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা অফিস : কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর দেশের জাতীয় ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা হাইকমান্ডের নির্দেশে লগি-বৈঠার সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে সেদিন পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮ জনসহ ১৪ জন নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আহত করে সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীকে। সেই লোমহর্ষক ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড দেশ ও সারা বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বিস্ময়ের সাথে অবলোকন করেছে। ঐ দিন ১৪ দলসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে বর্বরতা সংঘটিত করেছে তা মানব সভ্যতার এ যুগে কল্পনাও করা যায় না। তিনি খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রহসন করে জরুরী সরকারের হাত ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন করে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালনা করছে। সরকার ক্ষমতায় বসে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করছে এবং দেশব্যাপী গণগ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অন্যয়ভাবে গ্রেফতার করে। এটা জামায়াতের নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্র। জনগণ এ ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে সেদিনের শহীদদের স্মরণ করেন এবং তাদের শাহাদাত কবুল করার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
২৮ অক্টোবরের নৃশংস ও জঘন্য হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ, খুনীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি খান গোলাম রসুল, আবুল বাশার, মো. শামিম আহমদ, দবির উদ্দীন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সিলেট ব্যুরো : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন- ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে নিরীহ জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যার বর্বরতা জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছিল। সেদিন তারা শুধু নিরীহ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। লাশের উপর উঠে নৃত্য করার দৃশ্য বিশ্ববিবেককে নাড়া দিলেও আওয়ামী লীগের বিবেক ক্ষণিকের জন্যও বাধেনি। আজ পর্যন্ত সেই নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচার না করে আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক ইসলামী নেতৃত্বকে বিচারের নামে হত্যা করেছে। এই নারকীয় উল্লাসের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে পারে না। বাংলার সবুজ জমিনের ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার তান্ডবে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের রক্তের বদলা নেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি শনিবার জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত আহুত দেশব্যাপী দোয়া দিবস কর্মসূচির অংশ হিসেবে, ভয়াল ও নৃশংস ২৮ অক্টোবরের নৃশংস লগি-বৈঠার তান্ডবে শাহাদাতবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সিলেট নগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানা জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল আলম-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে অক্টোবরের নির্মমতায় শাহাদাতবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত, জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা উত্তর জামায়াতের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, সিলেট মহানগর নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিমাবন্দর থানা আমীর মুফতি আলী হায়দার। উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর থানা জামায়াতের আমীর সুলতান খান ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জৈন উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে মহানগরীর শাহপরান পূর্ব, কোতয়ালী পূর্ব ও দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের উদ্যোগে পৃথক পৃথক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শাহপরান পূর্ব থানা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। সভাপতিত্ব করেন থানা আমীর শামীম আহমদ ও পরিচালনা করেন জামায়াত নেতা হাফিজ মাহবুবুর রহমান। কোতয়ালী পূর্ব থানা জামায়াতের আমীর হাফিজ মশাহিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রফিক মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ। দক্ষিণ সুরমা থানায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান।

পৃথক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই সকল মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবরের মত নৃশংস হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের আড়াল করেছে। বন্দুকের জোরে ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখতে আওয়ামীলীগ আজো বিভিন্ন কায়দায় ২৮ অক্টোবের পাশাবিকতাকে লালন করে তাদের ধ্বংস ডেকে আনছে। স্বৈরাচারী সরকার বেশীদিন ঠিকে থাকতে পারবেনা। জনতার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এর সাথে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে। অবিলম্বে ২৮ অক্টোবরের জঘন্য নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।
বরিশাল : ২৮ অক্টোবরের স্মরনে বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান। মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু বলেন ২৮ অক্টোরের নারকীয় হত্যাকান্ড বিশে^র দরবারে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী ও অসভ্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে এভাবে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্য পৃথিবীবাসি আর কোথাও দেখেনি। মূলত এই নারকীয় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করা হয়েছে।
বরিশাল মহানগরীর কার্যালয় কেন্দ্র ঘোষিত অক্টোবরের শহীদদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আজও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মোঃ বাবর ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মাওঃ মতিউর রহমান। তিনি সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন এবং তাদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন। বিজ্ঞপ্তি।

গাজীপুর সংবাদদাতা : ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তান্ডবে নিহতদের স্মরণে গাজীপুর মহানগর জামায়াত দুদিন ব্যাপি কর্মসূচি পালন করেছে। এউপলক্ষে শনিবার কর্মসূচির শেষ দিন সকালে মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে টঙ্গি এলাকায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে মহানগর আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এদিনের নিষ্ঠুর হত্যাকা-ের কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। একদিন খুনিদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, শাহাদাতের পথই ইসলামের পথ। শহীদেরা আমাদের সম্পদ ও প্রেরণা। যুগে যুগে শাহাদাতের রক্তের উপরই ইসলামের প্রাসাদ নির্মিত হয়েছে। এদেশেও হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি এ সময় ২৭ অক্টোবর গাজীপুরে শাহাদাত বরণকারী শহীদ রুহুল আমীনকে স্মরণ করে বলেন, গাজীপুরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে শহীদ রুহুল আমীনের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মহানগর জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি ইরফানুল হকের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা গোলামুল কুদ্দুস, টঙ্গি পশ্চিম থানা আমীর মোশারফ হোসেন, গাছা থানা আমীর হাফেজ মোতালিব হোসেন মন্ডল ও টঙ্গি পূর্ব থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মহিউদ্দিন। বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে মুনাজাত পরিচালনা করেন।

এদিকে কোনাবাড়ী সাংগঠনিক জামায়াতের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানা সেক্রেটারি ডা: কবির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানসহ মুনাজাত পরিচালনা করেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ খায়রুল হাসান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আওয়ামী সরকার তাদের বিচার করছে না। তবে একদিন তাদের বিচার এদেশে হবেই। কারণ ইতিহাস কাউকে করে না।
অন্যদিকে জয়দেবপুর উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।থানা সেক্রেটারি ইউসুফ আব্দুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জয়দেবপুর উত্তর থানার আমীর মোঃ ছাদেকুজ্জামান খান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পুবাইল থানা জামায়াতের আমীর আশরাফ আলী কাজল। এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন থানার অর্থ সম্পাদক ড আবুল কাসেম, অফিস সম্পাদক মাও: আবু তাহের, ২৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সাহাজ উদ্দিন পালোয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও দেশবাসির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
এছাড়াও নগরীর কাশিমপুর, বাসন, জয়দেবপুর দক্ষিণ, গাছা ও কাউলতিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাশিমপুরে থানা সেক্রেটারির পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা আমীর আবু সীনা মামুন। আলোচনা শেষে তিনি মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বাসনে থানা সেক্রেটারির পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা আমীর মোঃ ইখলাস উদ্দিন। আলোচনা শেষে তিনি মুনাজাত পরিচালনা করেন।
জয়দেবপুর দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি এডভোকেট শরীফউদ্দিনের পরিচালনায় ও থানা আমীর মুহাম্মদ মনির হোসাইন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর জামায়াতের বাইতুলমাল সেক্রেটারি হাফেজ ইবরাহীম।

এদিকে গাজীপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর স্মরণে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর জেলা সদরে জেলা সদরে জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শেফাউল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে জেলা আমীর আবু তাসনীম বলেন, ২৮ অক্টোবরসহ এদেশে ইসলামী আন্দোলনের সকল শহীদের রক্তের বিনিময়ে ইসলামের বিজয় আসবে ইনশা আল্লাহ। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য পেশ করেন জেলা বাইতুলমাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ আলী। আলোচনা শেষে শহীদ ভাইদের শাহাদাতের কবুলিয়াত কামনায় প্রধান অতিথি আবু তাসনীম উপস্থিত সকলকে নিয়ে মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষে গতকাল শনিবার,বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের উদ্দ্যোগে উপজেলা অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দো’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা কর্মপরিষদ সদস্য,বেলকুচি উপজেলা সেক্রেটারি,উপজেলা পরিষদের ভাইস্ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা’য় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওঃ আহম্মাদ আলী,উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য,বেলকুচি পৌরসভা আমীর হোসাইন আহম্মাদ,ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন আমীর ছানোয়ার হোসাইন,ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন আমীর মাওঃ ইমরোজ হোসাইন,বেলকুচি পৌরসভা নায়েবে আমীর সাইদুল ইসলাম,ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওঃ মাহবুবুর রশিদ শামীম,জামায়াত নেতা গোলাম হোসেন,আবুল হাসনাত মু.মঞ্জু,হাজী নূরুল ইসলাম,মাওঃ আমীরুল ইসলাম,হাফেজ মাওঃ খা’লিদ সাইফুল্লাহ মানিক,সাবেক ছাত্রনেতা ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ ঘটনার কথা স্বরণ করে বলেন, মানবতা-মনুষত্ব আর পশুত্বের চরম দৃষ্টান্ত আ’লীগের লগি-বৈঠার তান্ডব ও লাশের ওপরে মনুষত্বহীন উলঙ্গ নৃত্য। যা মানবতা-মনোষত্বের ওপরে চরম কুঠার আঘাত। যে আঘাতের ক্ষত ইতিহাসের পাতা থেকে কখনোই মুছে যাবে না। সুতরাং,ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে অবশ্যই একদিন বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেদিনই মানবতা বিরোধী অপরাধে আ’লীগের বিচার করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সমাবেশ শেষে ২৮ অক্টোবরে নিহতদের স্বরণে বিশেষ দো’আ ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অক্টোবর পল্টন গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। অন্যেিদক সোনাইমুড়ী উপজেলা শাখার উদ্যোগে পল্টন হত্যাকা- স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমীর মোঃ হানিফ মোল্লার সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দ পল্টন হত্যাকা-ের দোষীদের বিচার দাবি করেন। দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পৌরসভা শাখার আয়োজনে ২৮ অক্টোবর পালিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন , ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালানো হয় তা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেদিন আওয়ামীলীগের বর্বরচিত হামলায় সারাদেশে বহু নেতা কর্মী শহীদ হয়। শহীদ নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাঃ দেলোয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর আব্দুতওয়াব, সাবেক জেলা আমীর শামসুল ইসলাম আল বরাটি, পৌর আমীর ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, পৌর নায়েবে আমীর এসএম আবুল বাশার।

http://www.dailysangram.com/post/305379