২৪ অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:৫০

মরিচ ও পিয়াজের দাম বাড়ছেই

বৃষ্টি আর রাস্তা খারাপের কারণে ঢাকার বাজারে সবজি সরবরাহ কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচ ও পিয়াজের দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায়ও এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পিয়াজের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে গেছে। বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ৫০-৬০ টাকা এবং কাঁচামরিচে ২০০ টাকার উপরে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই দাম বাড়ার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।

এতে যোগ হয়েছে আটা, সয়াবিন তেল ও মাংসসহ আরো বেশ কয়েকটি পণ্য। বিক্রেতারা বলেন, বৃষ্টিতে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে ভারতেই পিয়াজের দাম বেড়েছে। ফলে দেশি পিয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। আর এতে সব পিয়াজের দাম বেড়েছে বলে তারা জানান। কাওরান বাজারের পিয়াজ বিক্রেতা নাসিম মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পিয়াজ বিক্রি করেছি ৫৩-৫৪ টাকা দরে। এখন এই পিয়াজ বিক্রি করছি ৬৩-৬৪ টাকায়। ভারতীয় মোটা পিয়াজ গত সপ্তাহে ছিল ৪৬-৪৭ টাকা, আর ইন্ডিয়ান লম্বা পিয়াজ ছিল ৪৭-৪৮ টাকা। এখন এই পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা। তিনি বলেন, আমরা দেশি পিয়াজ নিয়ে আসি ফরিদপুর ও পাবনা থেকে। কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর জেলা থেকে দেশি পিয়াজ আসে। কিন্তু এসব হাটেই পিয়াজের দাম চড়া। নাসিম মিয়া বলেন, পাবনায় ৪০ কেজির পিয়াজের বস্তার দাম পড়ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। আড়ত চার্জ, শ্রমিক, পরিবহন, বস্তা বাঁধার সুতাসহ এক বস্তা পিয়াজ কাওরানবাজার পর্যন্ত আনতে খরচ পড়ছে আরো ২০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের মতে, নতুন পিয়াজ না ওঠা পর্যন্ত দাম এমনই থাকবে। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে পিয়াজের দামও বেড়েছে ৫২ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও রমজানে এবং কোরবানি ঈদের আগেও পিয়াজের বাজার ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। এদিকে বাজারে কাঁচামরিচ কিছুটা কমে আবার দাম বেড়েছে। টানা দুইদিন বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছ বলে বিক্রেতারা জানান। কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী করিম মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক কাওরানবাজারে আসেনি। তাই দেশি ভালো মানের কাঁচামরিচের এক পাল্লার দাম ওঠে ১ হাজার ২০০ টাকা। তবে তিন ট্রাক ভারতীয় কাঁচামরিচ আসায় দেশি কাঁচামরিচের দাম কমে ১০০০ টাকা হয়েছে বলে জানান করিম মিয়া। বাজারে দেশি হাইব্রিড এক পাল্লা কাঁচামরিচের দাম রাখা হচ্ছে ৯০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, দেশি কাঁচামরিচের জোগান আসে বগুড়া থেকে বেশি। এ ছাড়া নওগাঁ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা থেকে আসে মরিচ।

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=88903