২৪ অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:২০

নানামুখী চাপে সরকার

আগামী নির্বাচন, নির্বাচনপদ্ধতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি; প্রধান বিচারপতি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে হিমশিম অবস্থা

আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন পদ্ধতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং হালের রোহিঙ্গাসহ নানা ইস্যুতে চাপের মুখে পড়েছে সরকার। এ অবস্থায় খুব একটা স্বস্তিতে নেই সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দফায় দফায় বৈঠক-আলোচনা করেও তেমন কোনো কূলকিনারা হচ্ছে না। তবে অতীতের মতো যেকোনো চাপ মোকাবেলা করেই সরকার আপন গতিতে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নয়া দিগন্তকে বলেন, নানা ধরনের চাপ ও চ্যালেঞ্জ মেকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধর্ম। এ দেশকে পিছিয়ে দিতে অতীতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। সব কিছু পেছনে ফেলে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে এ দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় বিশ্ব অবাক। বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আজ মানবিক নেত্রী হয়ে মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাবে ভূষিত হচ্ছেন। তাই তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধী জোটের অংশগ্রহণ ছাড়াই ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বেশ ভালোই যাচ্ছিল সরকারের। মাঝে সরকারবিরোধীরা আন্দোলন শুরু করলেও সরকারের মারমুখী অবস্থানের কারণে মাঠ দখলে রাখতে পারেনি তারা। হামলা, মামলা, জেল ও ধরপাকড়ের মুখে কোণঠাসা বিরোধীদের কার্যক্রম একেবারেই ঘরে আবদ্ধ। বেশ ফুরফুরে মেজাজে নীতিনির্ধারকেরা নির্বিঘেœ সরকার পরিচালনা করছেন, কিন্তু মেয়াদের শেষ দিকে এসে হঠাৎ করেই বেশ বিপাকে পড়ছেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ের সবচে ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই হাওর এলাকায় বাঁধ ভেঙে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার দুর্যোগে পড়েন হাওরবাসী। এর চরম বিরূপ প্রভাব পড়ে চাল ও নিত্যপণ্যের বাজারসহ জনজীবনে। এরই মধ্যে শুরু হয় বন্যা। এ বন্যায় তলিয়ে যায় দেশের উত্তরাঞ্চল। বানের প্রভাব পড়ে মধ্যাঞ্চলেও। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই দেশে চরম আপদ হিসেবে আবির্ভূত হয় রোহিঙ্গা ইস্যু। মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমার সরকারের বর্বর হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের স্রোত নামে। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসঙ্ঘ। শুরুর দিকে সরকার সীমান্তে ভিড় করা রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিলেও পরে মানবিক ও রাজনৈতিকসহ নানা কারণে সে অবস্থান পরিবর্তন করে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশের জনগণ বিপন্ন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার পক্ষে। রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলে এ সরকারকে মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারে দেশের জনগণ। যার চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচনে। এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বসহ বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটতে পারে সরকারের। সে জন্য পুশব্যাকের অবস্থান পরিবর্তন করে সীমান্ত খুলে দেয় সরকার। এতে মুসলিম বিশ্বসহ প্রায় পুরো বিশ্বই শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে তুরস্কসহ যেসব মুসলিম দেশের সাথে সরকারের শীতল সম্পর্ক চলে আসছিল তারাও সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করছে। বিশাল ত্রাণের ভা ার নিয়ে তুরস্কের ফার্স্টলেডি আমিনা এরদোগান স্বয়ং বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ ইস্যুতে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসাও করে গেছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে এসেছেন জর্ডানের রানী রানিয়া। অন্যান্য দেশ থেকেও আসছে বিপুল ত্রাণ। শুধু চীন ও রাশিয়া ছাড়া প্রায় পুরো বিশ্বই বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এক কথায় রোহিঙ্গা ইস্যু শুরুর দিকে সরকারের জন্য আপদ হিসেবে আবির্ভূত হলেও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে তা আশীর্বাদে রূপ নেয়।

তবে বিপদ অন্য খানে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া একেবারেই উল্টোপথে রয়েছে। ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার পরও এ ইস্যুতে তারা এখনো বাংলাদেশের পক্ষে না দাঁড়িয়ে মিয়ানমারকেই প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যাতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে এ দুই প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থানও শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। এ ছাড়া বিশাল জনগোষ্ঠীর এ দেশে অতিরিক্ত আরো ১০ লাখ লোকের পুনর্বাসন বাংলাদেশের জন্য চরম দুঃসাধ্য কাজ। উখিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ পুরো সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতোমধ্যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়ে গেছে। আশ্রিত রেহিঙ্গারা অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করছে রোহিঙ্গাদের। এদের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং মৌলিক অধিকার পূরণ কেনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙামাটিসহ পুরো পর্যটন এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসবে। জীবনের তাগিদে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে রোহিঙ্গারা। দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দিতে পারে, যা সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এটিকে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এত বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপ সহ্য করা বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের সাথে অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের অন্য দেশেও স্থানান্তর করতে হবে।
এ দিকে নানা নাটকীয়তায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশে চলে যাওয়া এবং তার প্রেক্ষাপট সরকারের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। বিচারপতি অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল এবং রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরকারের সাথে প্রধান বিচারপতির বেশ দূরত্ব তৈরি হয়। শুধু তা-ই নয়, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় এবং পর্যবেক্ষণকে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে দেখেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষ করে সব বিচারপতির সর্বসম্মত রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত ‘রাজনীতিতে ব্যক্তিবাদ’, সামরিক শাসন, ‘অপরিপক্ব সংসদ’, দুর্নীতি, সুশাসন, মুক্তিযুদ্ধ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনাকে সহজভাবে নেননি সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। তারা এটিকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখেন। সে জন্য তারা প্রধান বিচারপতির স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না হলে অপসারণও দাবি করেন। প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে জাতীয় সংসদেও সরব ছিলেন সংসদ সদস্যরা। বিশেষ করে রায়ের পর্যবেক্ষণ ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সাথে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সর্বশেষ রাষ্ট্রপতিরও বৈঠক হয়। পাশাপাশি দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেন সরকারপন্থী আইনজীবীরা। অন্য দিকে রায় এবং পর্যবেক্ষণকে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে প্রধান বিচারপতির পক্ষে সরব থাকেন বিএনপিসহ সরকারবিরোধী আইনজীবীরা। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির অসুস্থতাজনিত এক মাসের ছুটির আবেদন এবং অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশত্যাগের আগে বাসভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে তার অল্প কথায় লিখিত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেখানে তিনি বলেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং বিচার বিভাগ নিয়ে শঙ্কিত। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্যে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপিতর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারিসহ ১১টি অভিযোগ এনে বিবৃতি দেয় আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরে আর পদে ফেরার সুযোগ নেই। অন্য দিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরে তার পদে যোগ দিতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক কাটছে না।

এ দিকে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সরকারের ভুল নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের বেশ ঊর্ধ্বগতি চলছে। চালের কেজি ঠেকেছে ৭০ টাকার ঘরে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরও একই অবস্থা। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থা চলতে থাকলে তার খেসারত দিতে হতে পারে সরকারকে। আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন।

অন্য দিকে এ সরকারের মেয়াদও প্রায় শেষ দিকে। ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচন। সে নির্বাচনের ফর্মুলা নিয়ে সরকারবিরোধী বিএনপি জোটের সাথে সরব হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জোর তাগিদ দিচ্ছেন। তারা নির্বাচনের ফর্মুলা নিয়ে জানতে চায় সরকারের কাছে। বর্তমান সরকারের আমলে সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে বলে দাবি করছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। অন্য দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তথা নির্দলীয় একটি নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি করছেন বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এমন মনোভাব পোষণ করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন কোন আদলে হবে তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশের মানুষ। আর সরকারের দমন-পীড়নের মুখে বিএনপি জোটসহ সরকারবিরোধীরা আপাতত ব্যাকফুটে অবস্থানে থাকলেও নির্বাচনকালীন তাদের আন্দোলনের কৌশল কী হতে পারে তা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা রয়েছে। বিরোধী জোটনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে দীর্ঘ চিকিৎসার পর ইতোমধ্যেই দেশে ফিরেছেন। বিএনপি তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিশাল শোডাউন করেছে। এটি তার ব্যক্তিগত সফর হলেও বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিবিধি সেখানেই নির্ধারিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে একান্তে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির রাজনীতির ছক তৈরি করেছেন বলে ধারণা করছেন সবাই। বিষয়টি নিয়ে সরকারও বেশ চিন্তিত। সে জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে নানা ধরনের তির্যক মন্তব্যও করেছেন তারা। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার শেষ পরিণতি কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন সচেতন মহল। দেশের অর্থনীতি, আগামী নির্বাচন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কোন দিকে যায় তা নিয়ে ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/262684